এমনকী বিয়ের পর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত গোপন বা ব্যক্তিগত কথাও আলোচনা করেন মায়ের সঙ্গে। এরকম অভিযোগই করেন অনেক মহিলা। সেই সময়ে সংসারে অশান্তির আর শেষ থাকে না। আপনার স্বামীও কি এমন কাজই করেন? তাহলে জেনে নিন কী করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবেন? (ছবি- istock)
আপনার স্বামী তাঁর মায়ের সঙ্গে কী আলোচনা করেন?
এই অভিযোগ অনেক মহিলারই আছে। বিশেষ করে যাঁরা শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন, তাঁদের মধ্য়ে অভিযোগের সম্ভাবনাও বেশি। দেখা যায়, আপনার স্বামীর সঙ্গে ছোট বড় কোনও কথা কাটাকাটি হলে তা নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
যা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। আপনারা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। তাই নিজেদের মধ্য়ে ঝগড়া হলে, তা নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কখনও সেই কথা গিয়ে মায়ের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। এতে আপনাদের সম্পর্ক খারাপ হয় বৈ ভালো হয় না।
স্বামীকে বুঝিয়ে বলুন
অনেক সময়ই দেখা যায়, শুধুমাত্র নিজেদের ঝগড়া নয় বরং আরও গোপন কথাই স্বামীরা গিয়ে মায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন। এমনকী স্ত্রীর কোনও বিষয় খারাপ লাগলে তা তাঁকে না বলে মায়ের কাছে গিয়ে বলেন। এই অভ্যাস আসলে তাঁর ছোট থেকেই তৈরি হয়ে যায়।
কিন্তু বিয়ের পর এই অভ্যাস বদল করা প্রয়োজন। আপনার স্বামীরও যদি এমন অভ্যাসই থেকে থাকে, তবে তাঁকে সেই কথা বুঝিয়ে বলুন। বলুন যে, তাঁর কোনও খারাপ লাগার কথা যেন তিনি আপনাকেই বলেন। মায়ের সঙ্গে আলোচনা করার আগে আপনার জানা প্রয়োজন বেশি।
আপনার খারাপ লাগার কথা তাঁকে জানান
এই বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক যে, নিজেদের ব্যক্তিগত কথা যদি পাঁচকান হতে দেখেন, তবে খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার স্বামী কি সেই বিষয়টি বোঝেন?
যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে তাঁকে ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলুন। তাঁর এই অভ্যাস আপনাকে দুঃখ দেয়, সেই কথা অবশ্য়ই বলুন। তাহলে হয়তো কাজ হলেও হতে পারে।
প্রয়োজনে সঠিক পদক্ষেপ করুন
দিনের পর দিনই কি একই জিনিস চলে আসছে? আপনার ব্যক্তিগত কোনও কথা শেয়ার করলেই কি সেই কথা আপনার শাশুড়ির কানেও পৌঁছে যাচ্ছে? কিংবা আপনার জীবনের খুঁটিনাটি কথাও আপনার শাশুড়ি জানতে পারছেন? তাহলে একটু সতর্ক হন।
প্রয়োজনে আপনার স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। তাঁকে জানিয়ে দিন যে, স্বামীর এই অভ্যাস আপনি কিছুতেই মেনে নেবেন না। এই অভ্যাস আপনাদের সম্পর্ককে খারাপ করে দেবে। তখন কী করবেন আপনার স্বামী? এভাবে বলে দেখুন।
পুরুষরা কী করবেন?
এই কথা ঠিক যে, ছোট থেকেই মায়ের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। কোনও দুঃখ-কষ্ট বা আনন্দের খবর তাঁকে গিয়েই প্রথমে বলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এখন আপনার নিজস্ব একটি ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেখানে অনেক কথাই এমন হতে পারে, যা আপনার মা’কে এই মুহূর্তে জানানোর প্রয়োজন নেই।
এছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত কথা বা ঝগড়ার কথা মা’কে বললে, তাঁদের দুজনের মধ্য়ে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। সবাইকে নিয়ে চলার দায়িত্ব আপনারও। এমনকী আপনার স্ত্রীরও যদি এমন কোনও অভ্যাস থাকে, তবে অবশ্যই তাঁকে সেই কাজ করতে বারণ করুন। সম্পর্কের যাবতীয় কথা আপনারা দুজনই জানবেন। তৃতীয় ব্যক্তি যেন কখনওই সেখানে আসতে না পারেন।
আরও পড়ুন: মহিলাদের এই কথায় পুরুষের মন গলে যায়! পছন্দের মানুষকে কাছে পেতে কাজে লাগান এই কৌশল
আরও পড়ুন: সামান্য ঝগড়া থেকেও ডিভোর্স হতে পারে? তাঁদের মুখেই শুনে নিন সেসব কথা