আমাদের জীবনের রয়েছে নানা দিক। আমরা নিজেদের মতো করে প্রধান্য ঠিক করি। এটা মানুষভেদে বদলে বদলে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তাই আপনি নিজের মতো করে চেষ্টা করুন বিয়ের সময় ঠিক করার।
তবে জীবন আমাদের নানা রঙ্গ দেখায়। আমরা এক রকমভাবে ভাবি, আর পথ অন্য দিকে এগতে থাকে। এবার মাথায় রাখতে হবে যে আপনি না চাইলেও বয়ফ্রেন্ড নিজের মতো করে চাপ দিতে পারেন। এটা একটা সমস্যার বিষয়। তখন কী ভাবে সামলাবেন গোটা পরিস্থিতি? এটাই বড় প্রশ্ন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে হার মেনে নেওয়ার কিছু নেই। আপনাকে সেই পথে সঠিক দিশা দেখাব আমরা। আসুন এবার জানা যাক বয়ফ্রেন্ড বিয়ের (Marriage) জন্য চাপ দিলে ঠিক কী করতে পারেন-
১. আপনি তাঁকে বুঝিয়ে বলুন
আপনার প্রথম কাজ হল ওনাকে বুঝিয়ে বলা। আপনি তাঁকে সময় দিন। তারপর বলুন যে কেন এখন বিয়ে করতে চাইছেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে মানুষ শুধু নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে কেন এমনটা বলছেন, এটা বোঝাতে পারেন না। আপনিও হয়তো এমনটাই করছেন। সেই পরিস্থিতিতে অবশ্যই আপনাকে নিজের সঙ্গীকে (Partner) কারণ জানাতে হবে। সেই কারণের উপর ভর করেই এই বিষয়ে আপনি খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
২. ভুল বুঝতে না বলুন
অনেক সময় দেখা যায় যে মানুষ ভুগতে থাকেন অনিশ্চয়তায়। এই চাপে ভরা জীবনে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয় একবারেই। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হয়ে যাওয়াটা সবথেকে বেশি জরুরি। হয়তো আপনি এখন বিয়ে করতে পারবেন না বলাতে তিনি সম্পর্ক (Relationship) নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। এবার এটা ঠিক নয়। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। আপনি তাঁকে আশ্বস্ত করুন যে পাশেই আছেন।
৩. কেন এমনটা করছেন?
আপনি এখন বিয়ে করতে চাইছেন না। সেই পরিস্থিতিতে কিছু কারণ নিশ্চয়ই মাথায় রয়েছে। আপনি জানেন কেন বিয়ে করতে চাইছেন না। তবে অনেকে এই কারণটা খুঁজে পান না। সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এবার নিজের সঙ্গে বসুন। জানার চেষ্টা করুন, বোঝার চেষ্টা করুন কেন আপনি বিয়ে করতে চাইছেন না। পারলে লিখে রাখুন পয়েন্টগুলো। এরপরই তাঁকে জানান গোটা বিষয়টা। আশা করছি সমস্যা কমবে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।
৪. নিজের পরিবারের কথা বলুন
আপনি নিজের পরিবারকে এই ঝামেলায় টেনে আনতে পারেন। আসলে আপনাকে না ভয় পেলেও তিনি অন্যদের নিশ্চয়ই ভয় পান। সেই পরিস্থিতিতে পরিবারের কথা বললে এই বিষয়ে তিনি পিছিয়ে আসবেন নিশ্চয়ই। এবার থেকে এই কৌশলটা একবার ব্যবহার করে দেখুন। বলুন বাবা, মা বিপক্ষে রয়েছেন এখন বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে। দেখবেন তিনি এই বিষয়ে কম কথা বলছেন। এই অস্ত্র ব্যবহার করুন।
৫. আপনি একটা সময় বলুন
অনেকসময় আমরা নিজেরাই সমস্যা তৈরি করি। একটা সম্পর্কে থাকলে আপনাকে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি বিয়ের একটা সময় তাঁকে বলতে পারেন। কখন বিয়ে করা সম্ভব, কোনও সাল, তারিখ, বয়স বলে নিন। এভাবেই সমস্যার সমাধান আপনি করে ফেলতে পারবেন। তাই নিজের বয়ফ্রেন্ডের কাছে গোটা চিত্রটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিন। আশা করছি তিনি বুঝতে পারবেন। তারপর সমস্যা কমবে।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র টাকার লোভে অনেক বয়স্ক একটা লোককে বিয়ে করেছি, ওকে একটুও ভালোবাসি না, ভুল কোথায়?
আরও পড়ুন: বিয়ের পরও ছোটদের মতো আচরণ করেন স্বামী, তাঁকে সঠিক পথে আনুন এই উপায়ে