অ্যাপশহর

Relationship Tips: "নিজের পছন্দের মানুষদের নিয়ে ফূর্তি করে স্ত্রী! এখন সর্বক্ষণ নিজেকে দোষ দিই"

Relationship Suggestions: এক ৩৪ বছর বয়সি পুরুষ। তাঁর বিয়ে হয়েছে ৩ বছর হল। এখন তাঁর স্ত্রী খুব খারাপ ব্যবহার করছেন। এমনকী তাঁর পরিবারকে ছেড়ে নিজের পরিবারকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। ভালোবাসেন না বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এবার তিনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চান।

Produced byসায়ন নস্কর | EiSamay.Com 27 Jun 2022, 2:15 pm
প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৪ বছর। বিবাহিত পুরুষ। আমি ব্যাংকে কাজ করি। এক্ষেত্রে আমার বিয়ে হয়েছে ৩ বছর হল। তবে এখন আমার মনে হয় যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে আমাদের কিন্তু ভালোবেসে বিয়ে। এক্ষেত্রে ৩ মাস নিজেদের মধ্য়ে ডেট করার পর আমরা বিয়ে (Married) করি। এবার এখন বুঝতে পারি যে একজন মানুষকে মাত্র ৩ মাসে চেনা সম্ভব নয়। কারণ ওইটুকু সময়ে আমি তাঁকে একবারেই বুঝে নিতে পারিনি। আসলে আমি তখন ভেবেছি যে মানুষটিকে আমি খুব ভালো চিনি। কিন্তু বাস্তবটা অনেকটাই আলাদা বেরল। আমি বুঝতে পারলাম যে ভুল করেছি। আসলে ও একেবারেই আমার মতো নয়।
EiSamay.Com relationship tips after doing love marriage now realized i married a wrong girl
Relationship Tips: "নিজের পছন্দের মানুষদের নিয়ে ফূর্তি করে স্ত্রী! এখন সর্বক্ষণ নিজেকে দোষ দিই"


আমি হলাম একজন কেয়ারিং পার্সন। মানুষের যত্ন নেওয়াটা হল আমার কাজ। এবার ওর মধ্যে এই গুণ নেই। তাই এখন মনে হয় যে মানুষটি আমার মন মতো নয়। এছাড়া ওর স্বভাব অনেকটাই আলাদা। আসলে ও নিজের ব্যাপারেই সবসময়ই ভেবে চলে। অন্যের কথা মাথায় একবারেই আনেন না। তবে ওর কিন্তু পয়সার কোনও অভাব নেই। কিন্তু ও নিজের বেতনের সবটাই শপিং করেই শেষ করে ফেলে। এমনকী ঘুরে বেড়াতেও পছন্দ করে ও। এদিকে আমার আবার অন্য সমস্যা। আমি নিজের বেতনের বেশিরভাগ অংশই নিজের ঘর খরচ মেটাতে শেষ করে ফেলি।

তবে সমস্যা শুধু এটাই নয়। এখন ও আমার পরিবারের কাউকেই বাড়িতে ডাকে না। এমনকী একই শহরে থাকার পরও ওদের ডাকা হয় না। আসলে ও নিজের পরিবার ও বন্ধুদের নিয়েই খুশিতে রয়েছে। অনেক সময় আমার মনে হয় যে এমন মানুষের সঙ্গে রয়েছি যার কিনা আমার সঙ্গে কোনও কিছু ভাগ করে নেওয়ারও ইচ্ছে নেই।

সবথেকে বড় কথা, আমি যখন বলি যে তোমার এই আচরণ ভালো লাগে না, ঠিক তখনই ও জানায় যে আমায় ভালোবাসেন না। আমি এখন খুবই দুঃখিত। কী করতে পারি- কেউ যদি জানান (প্রতীকী ছবি)

​বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

মুম্বইয়ের রিলেশনশিপ কাউন্সিলর রচনা আভত্রামানি বলেন, আসলে মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় ভালোবাসার মাধ্যমে। এমনকী পারস্পরিক ভরসা থাকাও খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে রোম্যান্টিসিজম যতটা প্রয়োজন, ঠিক ততটাই প্রয়োজন হল পারস্পরিক বোঝাপড়া। এবার এই বিষয়গুলি না থাকলে সম্পর্ক তলানিতে যাবে। আপনাদের ক্ষেত্রেও হচ্ছে ঠিক তাই।

​পরিবর্তন খুঁজুন

আপনাদের বিয়ে হয়েছে ৩ বছর। কিন্তু এখন আপনার এসে মনে হয়েছে যে স্ত্রী আপনার যোগ্য নন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমি মনে করি যে আপনাকে নিজের দিকে একটু তাকাতে হবে। এক্ষেত্রে এই তিন বছর পর হঠাৎ করে কী পরিবর্তন এল, এই বিষয়টি খুঁজে বের করতে হবে।

​নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলুন

আপনি খুব দয়ালু স্বভাবের মানুষ। আর অপরদিকে আপনার স্ত্রীয়ের স্বভাব এমন নয়। এমনকী উনি আপনার জীবন নিয়ে একবারেই ভাবতে চান না। নিজের কাছের মানুষ নিয়েই তিনি থাকেন। এবার এমনটা রোজকার রোজ হতে থাকলে কিন্তু চলবে না। ওনাকে বলতেই হবে যে ঠিক সমস্যাটা কোথায়। এমনকী ওনাকে জিজ্ঞেস করুন কেন তিনি বলছেন ভালোবাসি না। আসলে আমি বলতে চাইছি যে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে ঠিক কেন ওনার মনে আপনার প্রতি ভালোবাসা নেই।

​বন্ড তৈরি করে নিন

আপনার অবস্থা এখন আমি বুঝতে পারছি। তবে বিশ্বাস করুন, এভাবে চলতে থাকলে বেশিদিন সম্পর্ক এগবে না। তাই এতকিছুর পরও বলব স্ত্রীয়ের সঙ্গে মানসিক যোগ তৈরি করুন। আপনাকে নিজের বিয়ের পরের পুরনো সময়টার কথা আবার মনে করতে হবে। ওনাকেও সেই বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে হবে। এমনকী আপনি চাইলে নিজের পরিবারের অন্য কোনও ব্যক্তিকেও এই কাজে সঙ্গ দিতে বলতে পারেন।

এক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে মানসিক বন্ধন শক্ত হলে অনেক সহজেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়। এছাড়া খুব সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রতিবেদন সৌজন্যে: নবভারত টাইমস

मेरी कहानी: मेरी बीवी मुझसे ऊब चुकी हैं, वह मेरे टाइप की नहीं है; अब मैं खुद को दिन-रात कोस रहा हूं

আরও পড়ুন: "৫৩ বছর বয়সে স্ত্রীকে ধোকা দিয়েছি! অপরাধবোধ হচ্ছে"

আরও পড়ুন: "স্ত্রীর পাশে শুতে পারি না, অন্য ঘরে ঘুমাই"


লেখকের সম্পর্কে জানুন
সায়ন নস্কর
"সায়ন নস্কর ৬ বছর কাজ করছেন মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রিতে। পাঠকের মনোগ্রাহী প্রতিবেদন তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পেশ করেন। সায়ন প্রিন্ট মিডিয়াতে নিজের কাজ শুরু করেন। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার বিষয়ে তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এই কয়েক বছরে তিনি মূলত হেলথ ও রিলেশনশিপ বিভাগে কাজ করেছেন। এই দুই বিভাগেই তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করেন। সায়ন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ ৬ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছেন। হেলথ ও ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন লেখেন। তিনি সহজ সরল ভাষায় বাস্তবসম্মত লেখনিতে বিশ্বাসী। তাঁর লেখা সহজেই বোধগম্য হয়। সম্পর্ক বা রিলেশনশিপ বিভাগে তিনি ১.৪ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময়কালেই তিনি এই বিভাগের প্রতিবেদন লেখনিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সম্পর্ক বিষয়ক নানা টিপস তাঁর কাছ থেকে পাঠকেরা পেয়ে থাকেন। কাজের বাইরেও সায়ন পড়তে ও লিখতে ভীষণই পছন্দ করেন। এমনকী আউটডোর গেমস খেলাতেও পারদর্শী তিনি। আর ফাঁকা সময়ে ফিল্ম দেখে সময় কাটান। বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণই তাঁর লেখনির মূল অস্ত্র। তাঁর লেখায় তথ্যের পাশাপাশি বিনোদনের ঝলকও দেখতে পাওয়া যায়। "... আরও পড়ুন

পরের খবর