অ্যাপশহর

সঙ্গীর ফোন চেক করা আপনার অভ্যেস? সাবধান! হতে পারে বিচ্ছেদ...

সুযোগ পেলেই টুক করে সঙ্গীর ফোন চেক করা আপনার অভ্যেস? সাবধান, এখনই বন্ধ করুন এই অভ্যেস।

EiSamay.Com 27 Dec 2020, 12:36 pm
এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: জীবন চলছে না আর সোজা পথে...যতই আমরা সাদামাটা এবং সহজ মনে জীবন কাটানোর চেষ্টা করি না কেন মাঝে মধ্যেই তাতে এসে লাগে কালোর ছিটে। প্রত্যেকেরই সাদা মনে কাদা রয়েছে। খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা অপরের হেঁশেলে আড়ি না পেতেও নিজের মতো করে ভালো থাকতে জানেন। যে কোনও সম্পর্কের ভিত হল বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস একবার নড়ে গেলে তা ফিরিয়ে আনা খুবই কছিন। বেশ কিছু স্বামী-স্ত্রী কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা আছেন, যাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করতে ভালোবাসেন। যেমন প্রেমিকা যদি বন্ধুর সঙ্গে ডিনার করতে যান, তাঁর কথার উপর বিশ্বাস রাখতে না পেরে প্রেমিক কোনও এক আছিলায় সেখানে উপস্থিত হয়ে যান। ফলে দুই বন্ধু মিলে যে নির্ভেজাল আড্ডার প্ল্যান করেছিলেন তা চৌপাট এক নিমেষে। আবার এমন অনেক স্ত্রী আছেন, যাঁরা স্বামীর ফোন মাঝেমধ্যেই চেক করে দেখেন কার সঙ্গে কী কথা বললেন, কোনও বিশেষ মেয়েবন্ধুকে স্বামী আলাদা করে গুড নাইট বলছেন কিনা, বন্ধুদের কাছে তাঁর সম্বন্ধে কী বলেন এইসব! সঙ্গী ফোন চেক করেছেন বা ঘেঁটেছেন অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী তা বুঝতে পারেন না। আর বুঝতে পারলে অশান্তির চূড়ান্ত। সেখান থেকে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। আর তাই এমন মূর্খামির পরিচয় দিলে, আপনার জন্য রইল আমাদের টিপস।
EiSamay.Com is it ever ok to check your partners phone
সঙ্গীর ফোন চেক করা আপনার অভ্যেস? সাবধান! হতে পারে বিচ্ছেদ...


সঙ্গীর প্রাইভেসিতে গুরুত্ব দিন

বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা এই সব সম্পর্কের বাইরে গিয়ে সব মানুষেরই একটা নিজস্ব জীবন থাকে। নিজের মতো করে থাকার স্বাধীনতা থাকে। সেখানে কারোর প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমনকী প্রত্যেকের জীবনে এমন কিছু কথা থাকে, যা একান্ত তাঁরই। আর ফোন মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বলা ভালো একরকম সঙ্গী। তাই কখনও কারোর ফোনে হাত দেবেন না। সঙ্গীর ফোনেও নয়য। পাসওয়ার্ডও জানতে চাইবেন না।

সম্পর্ক নিয়ে ভীত?

সম্পর্ক নিয়ে আপনি ভয় পান? যে কোনও দিন প্রেমিকা বা প্রেমিক হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করেন? সব সময় আপনার মনে হয় যে সঙ্গী আপনার থেকে কিছু লুকোচ্ছে? আর তাই সেখান থেকেই সঙ্গীর ফোন ঘাঁটেন? এরকম মানসিকতা হলে প্রথমেই আপনার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। নইলে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন মনে হচ্ছে। প্রয়োজনে সঙ্গীকে পাশে বসিয়ে কথা বলুন।

সম্পর্কের সমতা

অনেক সম্পর্কই বাইরে থেকে দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও রকম সমতা থাকে না। অর্থাৎ মতের অমিল ছাড়াও কেউ একজন অপরের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। সবসময় ভাবেন তাঁর কথাতেই সঙ্গী চলবে। আর বেশি অভিভাবকত্ব ফলাতে গিয়ে সঙ্গীর ফোন চেক করেন। এসব কিন্তু সম্পর্কে ভাঙনের ইঙ্গিত। আর আপনি যদি সঙ্গীর এই মানসিকতা বুঝতে পারেন তাহলে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন।

নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে আনুন

কোনও কারণে আপনার সঙ্গীর উপর প্রবল সন্দেহ আর রাগ হয়েছে। আর সেখান থেকেই আপনি ভাবলেন সুযোগ পেলেই সব ফোন, এসএমএস চেক করবেন। আর তারপর বাকিটা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে বুঝে নেবেন। এই প্রথমবার নয়, আপনার সঙ্গী হয়তো আগেও আপনাকে এইভাবে মিথ্যে কথা বলেছে। আপনি তাহলে কি করবেন? ফোন ঘাঁটলেই কি সব সমস্যার সুরাহা হবে? তাই আগে নিজেকেই এই প্রশ্ন করুন। এরপর ভাববেন যে সেই সম্পর্ক আপনি আর রাখতে চান কিনা।

মুখোমুখি কথা বলুন

সম্পর্কে কোনও সমস্যা আসলে সবচেয়ে ভালো মুখোমুখি বসে কথা বলা। ফোন, ভিডিয়ো কল কোনও কিছুতেই সমস্যার কোনও সুরাহা হয় না। এছাড়াও এতে একে অপরের সমস্যা বুঝতে সুবিধে হয়। আপনার কী মনে হচ্ছে, কীভাবে সমাধান হতে পারে দুজনে মিলেই আলোচনা করুন। তবে কেউই কোনও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে চলবেন না। প্রথমেই তা কথা বলে নেবেন। কোনও সম্পর্কই ভেঙে যাওয়া কাম্য নয়। কিন্তু একেবারেই মতের মিল না হলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল