তাই কাজেই সম্পূর্ণ মন দিতে পারব ভেবেছিলাম। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরে আমার জীবন যে এতটা বদলে যাবে, আমি ভাবতেও পারিনি। আজ সেই গল্পই শোনাব…(প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য -istock)
অনেক আশা নিয়ে অফিসে জয়েন করি
আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ফর্মাল পোশাক পরে অফিসে যাই প্রথমদিন। তবে কাজ শুরু করার এক ঘণ্টার মধ্য়ে আমার সব আশা ধীরে ধীরে শেষ হতে থাকে। কিন্তু আমার ম্যানেজারকে খুব ভালো লেগেছিল। আসলে আমি ভেবেছিলাম, কোনও বয়স্ক মানুষই আমার ম্যানেজার হবেন। কিন্তু আমার ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়।
আমি দেখি, একজন সুপুরষ ডেস্কে এসে বসল। তার ব্যক্তিত্ব দেখে যে কোনও মেয়েই মোহিত হবে। আমি তার থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না। কিন্তু সে আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি। বরং যথেষ্ট রুড ব্যবহারই করেছিলেন। আমি যখনই আমার কোনও কথা জানাতে যেতাম, সে আমাকে অপমান করত।
পরিস্থিতি বদলাল না
দিনের পর দিন এমন চলতে থাকে। ম্যানেজার আমার কোনও চিন্তাকেই সমর্থন করত না। এমনকী গুরুত্ব পর্যন্ত দিত না। যখনই কোনও আইডিয়া দিতে যেতাম, আমায় সরিয়ে দিত। আমি তবু মনের জোর হারাইনি। শুধু ভাবতাম, সে আমাকে এতটা কেন অপছন্দ করে।
মাসের পর মাস পেরিয়ে গেল।
পরিস্থিতি বদলাল না। কখনও কখনও আমার উপর অনেক বেশি কাজ চাপিয়ে দিত। কোম্পানির সঙ্গে আমার ১ বছরের চুক্তি ছিল, তাই চাইলেও কাজ ছেড়ে দিতে পারিনি।
একদিন ম্যানেজারের ল্যাপটপে যা দেখলাম...
একদিন সে আমায় তার কেবিন থেকে ফাইল নিয়ে মিটিং রুমে আসতে বলে। আমি তার কেবিনে যাই। সেখানে কেউ ছিল না। হঠাৎ আমার তার ল্যাপটপের দিকে চোখ যায়। যেন চেনা কিছু দেখলাম মনে হয়! আমি আবার ঘুরে তাকাই।
ল্যাপটপে নিজের ছবি দেখতে পাই। আগ্রহের জন্যে ল্যাপটপ খুলে দেখি। সেখানে আমার নামে একটি ফোল্ডার ছিল। তার মধ্য়ে শুধুই আমার ছবি। আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবি ডাউনলোড করে রেখেছিল সে। আমি খুব অবাক হই।
তারপর যা হল, আগে ভাবতেও পারিনি
আমি তাড়াতাড়ি ল্যাপটপ বন্ধ করে মিটিং রুমে যাই। আমার মনে সেই কথাই চলতে থাকে। আমাদের দুজনের মধ্যে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয় সেদিন থেকেই।
এভাবেই কয়েকদিন চলতে থাকে। তারপর সে একদিন আমায় তার কেবিনে ডেকে পাঠায়। আমি কেবিনে পৌঁছাতে আমাকে বসতে বলে। তারপর বলে, “আমি জানি তুমি আমার ল্যাপটপে কিছু জিনিস দেখেছ, যা হয়তো তোমার দেখা উচিত ছিল না। যাই হোক, ঠিক আছে। আমি তোমার সঙ্গে অফিসের বাইরেও দেখা করতে চাই। ” আমি এরকম মানুষ জীবনে দেখিনি। ওর সত্যিই আমাকে ভালো লাগত? তাহলে অফিসে এত খারাপ ব্যবহার কেন করত?
আমি কিছু বলিনি। আমার সময় প্রয়োজন, সেই কথাই জানাই। লজ্জায় আমার গাল লাল হয়ে গিয়েছিল। এই সুপুরুষ ম্যানেজার সত্যিই আমায় পছন্দ করে? এটা ভাবতেও পারিনি। কখনও কখনও আমাদের চোখে চোখ পড়ত। আমার আরও লজ্জা লাগত। আসলে, সেই সময়ে আমার ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছে করত! আমার মনে হয়, আমিও ওর প্রেমে পড়ছিলাম!
আমরা ডিনারে গেলাম
এই পরিস্থিতি আরও প্রকট হতে থাকে। এরপর আমাদের মধ্যে যখনই কথা হত, সে আমার দিকে তাকাত। একদিন আমি ওর কেবিনে গেলাম। ওকে জানাই যে, আমিও ওকে পছন্দ করি। অফিসের বাইরে ওর সঙ্গে ডেটে যেতে চাই! ও হাসে। উঠে এসে আমাকে চুমু খায়। আমি আরও লজ্জা পাই। একদিন আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটি রেস্তরাঁয় দেখা হবে। সেখানে আমাদের সময় কাটবে। তারপর কী হবে? ভাবতেও পারছি না…
প্রবন্ধটি ইংরেজিতে পড়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: ভালোবেসে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি, ওর ১৩ বছরের মেয়েও আছে, জীবনটা এভাবে বদলে যাবে ভাবিনি
আরও পড়ুন: ৪০ বছরের ডিভোর্সি মহিলা আমি, আবার বিয়ে করতে চাই কিন্তু সন্তানরা মানতেই চায় না, কী করব এখন?