অ্যাপশহর

Love Story: ভালোবেসে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি, ওর ১৩ বছরের মেয়েও আছে, জীবনটা এভাবে বদলে যাবে ভাবিনি

Relationship Tips: এক ১৩ বছরের মেয়ের বাবাকে বিয়ে করেছিলেন এই মহিলা। ৩ বছরে জীবন এতটা বদলে যাবে তিনি ভাবেননি। কী ভাবে সব কিছু ঠিক হল? সেই গল্পই শোনালেন তিনি।

EiSamay.Com 14 Mar 2023, 5:13 pm

I Married A Single Father: সুনীলের সঙ্গে প্রথমবার যখন দেখা হয়, এক চিলতে রোদের মতো মনে হয়েছিল। ও স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনছিল, আমি সেই সময়ে ওকে সাহায্য করি। ও খুবই ঘামছিল। ওর মনে বেশ ধন্দ চলছিল। ও সেই সময়ে আমাকে জানায় যে, ওর স্ত্রীকে হারিয়েছে সম্প্রতি। ওর একটি মেয়ে আছে, যার বয়স ১৩।

আমি ওকে পিরিয়ডের ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলি। ওকে সব বিশ্লেষণ করি। ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর ৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। জীবনটা কেমন অন্যরকম হয়ে গেল। আজ সেই গল্পই বলব…(প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য- istock)

EiSamay.Com i married a man who is single father of a teenage girl we are happy now
Love Story: ভালোবেসে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি, ওর ১৩ বছরের মেয়েও আছে, জীবনটা এভাবে বদলে যাবে ভাবিনি


আমাদের বারবার দেখা হয়

প্রথমবার দেখা হওয়ার পরে আমরা বারবার দেখা করতে শুরু করি। নানা বিষয়ে কথা হয়। আমাদের বন্ধনও মজবুত হয়। আমাদের অনেক পছন্দ মিলত। একই টিভি সিরিজ পছন্দ করতাম দুজনে।

ও খুবই ভালো মানুষ। আমাকেও খুব যত্ন করত। আমার তখনও বিয়ে হয়নি। আমি মনের মতো কাউকে খুঁজেই পাইনি। এদিকে আমার বয়সও বেড়ে যাচ্ছিল। ৩৫ বছরে মনে হল, এই প্রথম আমার মনের আঙিনায় ভালোবাসা ছুঁয়ে গেল।

আমরা একে অপরের কাছে আসতে শুরু করি

দেখা হওয়ার প্রায় ১ বছর পরে আমরা বুঝতে পারি যে, একে অপরকে ভালোবাসি। আমাদের দুজনের জন্যেই এই মুহূর্ত খুব বিশেষ ছিল। ওর স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে যে ও কাউকে এভাবে পাশে পাবে, তা ভাবেনি। আমি ওর মেয়ের সঙ্গেও দেখা করি। একসঙ্গে ডিনারে যাই।

ওর মেয়ে আমার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেনি। সেটা স্বাভাবিক। ও কিশোরী। কী ভাবে এত জটিলতা বুঝবে? আমি ধীরে ধীরে ওর কাছে আসার চেষ্টা করি। কারণ, আমি চাইনি পরিস্থিতি খারাপ হোক। আমি সম্পর্কগুলো নষ্ট করতে চাইনি।

ওর মেয়েকে কাছে টেনে নিই

আমরা অনেকবার দেখা করি। ধীরে ধীরে সুনীলের মেয়ে আমার কাছে আসতে থাকে। ও আরও একজন মা চায়নি। আমিও ওর মা হয়ে উঠতে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম ওর বন্ধু হতে। আমি ওর বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টাই করি। এর মধ্য়ে সুনীল আমায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তা খুশি হয়ে গ্রহণ করি। ওর পরিবারের অংশ হয়ে উঠতে চাই।
সুনীলের মেয়ে খুবই ভেঙে পড়ে। ও আমাদের সঙ্গে ঠিক করে কথাও বলেনি। সুনীল পরিস্থিতির সামাল দেওয়া চেষ্টা করছিল। আমরা ওকে কিছুটা সময় দিই। ও আমাদের সঙ্গে বসে খাবারও খেত না। বাড়ি ফিরে সোজা ঘরে চলে যেত। একসঙ্গে থাকতে চাইত না।

ওর সঙ্গে কথা বলি

একদিন আমি ওর সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিই। কারণ, আমার মনে হয়েছিল এভাবে চলতে পারে না। পরিস্থিতি বদলানো দরকার। আমি ওর সঙ্গে কথা বলি। হঠাৎই ও আমায় মনের কথা জানায়।

ও ওর মা’কে মিস করে। ওরা তিনজন খুব সুখে ছিল। এখন ও একা হয়ে গিয়েছে, এই কথা জানায়। সুনীল ওর মা’কে ভুলে যাবে, এই আশঙ্কাও প্রকাশ করে। খুব কাঁদতে শুরু করে।

আজ আমরা সবাই খুব খুশি

আমিও ওকে জানাই যে, সুনীল আমায় ওর গল্প করে। ওর প্রাক্তন স্ত্রীর কথাও বলে। তিনি যে খুব ভালো ছিলেন, সেই কথাও জানান। এই কথা শুনে ও আমার দিকে তাকায়। অল্প হাসে। আমি ওকে বলি যে, এই পরিবারের অংশ হতে চাই। ও আমার হাতের উপর হাত রাখে।

আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। আমাদের দেখেও সুনীলের মেয়েও খুব খুশি হয়। আমরা প্রত্যেকে খুব আনন্দে সময় কাটাতে শুরু করি। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। সুনীল আমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই।

প্রবন্ধটি ইংরেজিতে পড়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন: আমি মা হতে চাই কিন্তু স্বামী সন্তান চায় না, আমার বয়সও ৩০ পেরিয়েছে, কী ভাবে ওকে রাজি করাব?





আরও পড়ুন: ৪০ বছরের ডিভোর্সি মহিলা আমি, আবার বিয়ে করতে চাই কিন্তু সন্তানরা মানতেই চায় না, কী করব এখন?

পরের খবর