অ্যাপশহর

ডিভোর্সের পর দ্বিতীয় ইনিংস! রইল কিছু টিপস

ডিভোর্স হওয়া মানেই এখনও একটি মেয়ের দিকেই প্রথমে আঙুল তোলা হয়। মেয়েরাই মানিয়ে থাকতে পারে না এমন প্রসঙ্গ উঠে আসে বার বার। নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর বিয়ে না হলেও সেই দোষ মেয়েদের উপরেই বর্তায়

EiSamay.Com 13 Apr 2021, 5:50 pm

হাইলাইটস

  • বিয়ের পর মেয়ে সুখী থাকল কিনা,
  • সংসারে কোনও অশান্তি হল কিনা সেটা পরের ব্যাপার, তখন মেয়ে মানিয়ে নেবে।
  • কিন্তু বিয়েটা এখন দিয়ে দাও।
  • আর বিয়ের পর যদি মেয়ে বাপের বাড়িতে এসে থাকে তখনও কিন্তু কম কথা শুনতে হয় না
EiSamay.Com জীবন যখন দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয় তখন তার সদ্ব্যাবহার করুন
জীবন যখন দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয় তখন তার সদ্ব্যাবহার করুন
এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: সমাজ আমাদের একটা নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখে। বিয়ে, ডিভোর্স, সন্তান এই সব তারই অংশ। একটি মেয়েকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করতেই হবে, সে যতই কর্মক্ষেত্রে নামী হোক না কেন। এবং এরপরই আসে সন্তান নেওয়ার একটা চাপ। আর ডিভোর্স হলে তো কথাই নেই। তখন ওই সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে মেয়েটার উপরেই। মেয়েদের চরিত্র নিয়ে টানাটানি করা হয়। খুঁত বার করা হয়। পরোক্ষ ভাবে কিছু দায় চাপানো হয় মেয়েটির মা-বাবার উপরেও। যুগ বদলালেও কিছু বদ্ধমূল ধারণা এখনও আমাদের সমাজ থেকে বদলায়নি। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকেই পাড়া প্রতিবেশী সকলে এই প্রশ্নটি করতে শুরু করে।
আর প্রশ্নবাণে জর্জরিত মা-বাবা তখন চান যেখানে হোক মেয়ের বিয়ে হয়ে যাক। বিয়ের পর মেয়ে সুখী থাকল কিনা, সংসারে কোনও অশান্তি হল কিনা সেটা পরের ব্যাপার, তখন মেয়ে মানিয়ে নেবে। কিন্তু বিয়েটা এখন দিয়ে দাও। আর বিয়ের পর যদি মেয়ে বাপের বাড়িতে এসে থাকে তখনও কিন্তু কম কথা শুনতে হয় না। ডিভোর্সের পর আবার দ্বিতীয়বার বিয়ে! শুনলে অনেকেই বাঁকা চোখে তাকান। সে ছেলেই হোক বা মেয়ে। ছেলেদের ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হয় শারীরিক কোনও সমস্যা আছে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে চরিত্রে গন্ডোগোল। কিন্তু এটা ভাবেন না যাঁরা দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তাঁদের মধ্যে কতটা মানসিক যন্ত্রণা লুকিয়ে থাকে।

*আইন, সমাজ, প্রতিবেশী সব কিছুই মনের উপর গভীর দাগ কেটে যায়। আর সন্তান থাকলে তো কোনও কথাই নেই। আর তাই জীবন যখন দ্বিতীয়বার নিজের মতো করে বাঁচার সুযোগ দিয়েছে তখন তাকে কাজে লাগান। ডিভোর্স মানে এই নয় যে এখনই আবার অন্য সম্পর্কে জড়াতে হবে। বরং নিজের মতো করে বাঁচুন, কারোর কথায় কান না দিয়ে নিজের শখ গুলোকে পূরণ করুন। শুধুমাত্র নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন।

*মেয়েদের প্রথমেই দরকার নিজের পায়ে দাঁড়ানো। নিজের হাতে মাসে একটা টাকা আসলে অনেক খানি মনের জোর বেড়ে যায়। তাই এমন কিছু কোর্স করুন বা কাজের সঙ্গে যুক্ত হোন যাতে নিজের ভালো হবে।

*বিভিন্ন রকম কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। কর্মরতা হলে কর্মক্ষেত্রে আরও উন্নতি কীভাবে আসবে সেই চেষ্টা করুন। বুঝে বন্ধুত্ব করুন। সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রাখতেই হবে এমনটা নয়। যাঁরা নেতিবাচক কথা বলেন তাঁদের স্রেফ জীবন থেকে আউট করে দিন।

*মা-বাবা ব্যাতীত পরিবারের কারোর কথায় কান দেবেন না। কারণ তাঁরা কেউ আপনাকে খাওয়াবে পরাবে না। এমনকী আপনি কেমন আছেন, দেখবেনও না। উপরন্তু নিন্দা করবেন।

*লোকে কী ভাববেন তাই দেখতে গিয়ে নিজে চুপ করে সব সহ্য করে নেবেন না। কোনও কিছুর শেষ মানেই নতুন কিছুর শুরু। তাই, সম্পর্ক ভাঙার পরেই নেগেটিভ সংসর্গ এড়িয়ে চলুন। যাঁরা আপনার প্রকৃত বন্ধু, যাঁরা আপনাকে উৎসাহ দেন, তাঁদের সান্নিধ্য প্রয়োজন। এঁরাই আপনাকে পজ়িটিভিটি দেবে।

*নিজেকে ভালো রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন সব করুন। সন্তান থাকলে ডিভোর্সের আগেই ওর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন। সন্তানের পড়াশোনা, যত্ন আত্তির ব্যাপারে কথা বলে নিন। কোথায় থাকবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই।

*যদি ইতোমধ্যেই নতুন কেউ জীবনে না আসে, তাহলে নতুন কোনও সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিজেকে খানিকটা সময় দিন। আর সেই সময়টুকু নিজেকে ভাল রাখার জন্য যা যা করতে ভাল লাগে, সেগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকুন।

টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল