অনেক কিছু ভেবে এগনোর পরেও অনেক সময় দেখা যায়, বিয়েটা ওয়ার্ক করছে না। অর্থাৎ দাম্পত্য়ে নানারকম সমস্য়া লেগেই আছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও অশান্তি হচ্ছে। তখন কী করবেন আপনি? আসলে বিয়ের পর আমাদের বিশেষ কয়েকটি দিক পাল্টে ফেলা প্রয়োজন। যাতে আপনার বিবাহিত জীবন সুখের হয়। কোন কোন দিক বদলে ফেলবেন আপনি
অবাস্তব প্রত্যাশা
প্রথমেই বলেছিলাম, বিয়েটা ঠিক সিনেম্যাটিক লভ স্টোরি নয়। তাই সিনেমা দেখে বিবাহিত জীবন নিয়ে ও একটি রোম্য়ান্টিক সম্পর্ক থেকে অনেক প্রত্যাশাই তৈরি হয়। কিন্তু সেই প্রত্যাশার বেশিরভাগই অবাস্তব।
আপনারা দুজন মিলে একটি ফাঁকা ক্যানভাসে আঁকা শুরু করেছেন। তাই দুজনের আকাশছোঁয়া প্রত্যাশাই আপনাদের সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। দমবন্ধ হয়ে আসতে পারে। তাই ওই অবাস্তব প্রত্যাশাকে এবার বাদ দিন। ততটাই আশা করুন যা আপনার পার্টনারের উপর কোনওভাবেই চাপ তৈরি করবে না। নাহলে আপনাদের মধ্য়ে ভুল বোঝাবুঝি শুধুই বাড়তে থাকবে।
একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করবেন না
বিয়ের প্রথম দিকে সম্পর্ক একরকম থাকে। তখন সঙ্গীর অনেক খারাপ দিকই আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সময় এগনোর সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়গুলোও প্রকট হতে থাকে। কোনও মানুষই পছন্দ করেন না, তাঁকে অন্য় কেউ নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ, প্রত্য়েক অ্যাডাল্ট পুরুষ ও নারীর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে।
আর তিনি তা করতে সক্ষম। আপনি সঙ্গীকে গাইড করে দিতে পারেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করবেন না। তা আপনাদের সম্পর্ক আরও জটিল করবে। সহজ করবে না।
সমালোচনা করা বন্ধ করুন
এটা ভীষণই টক্সিক অভ্যাস। আপনার সঙ্গীকে সমালোচনা করা বন্ধ করুন। তাঁর পক্ষেও আপনার জন্য় সবসময় সব কিছু করা সম্ভব নয়। বরং, তিনি আপনার জন্য় যেটুকু করছেন, তাকে সমর্থন করুন। তাঁকে ভালোবাসা জানান। তাঁর ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করুন। যদি তিনি কোনও বড় ভুল করে ফেলেন, তবে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। সব সময় তাঁর খারাপ দিক নিয়ে কথা বলবেন না।
বিয়ের পর মেয়েদের এই কাজ বাবার মনে খুবই দুঃখ দেয়! আপনিও তেমন কিছু করেননি তো?
পজেসিভনেস একটা সীমা পর্যন্তই ঠিক আছে
প্রত্যেক দাম্পত্য়েই একজন সঙ্গী অপরের প্রতি মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়। সামান্য় হলেও পজেসিভ হয়। আর সেই বিষয়টি অন্য় সঙ্গী উপভোগও করেন। তবে এই ধরনের পজেসিভনেস এই সীমা পর্যন্তই ভালো লাগে। তাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন না যে, আপনার সঙ্গীর দমবন্ধ হয়ে আসে। পজেসিভনেস আপনাদের সম্পর্কে সমস্য়া বাড়াবে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস কম হতে শুরু করবে।
শুধুই কি যৌনতার হাতছানি নাকি অন্য কোনও কারণ! কেন অল্পবয়সী প্রেমিকা চান বয়স্ক পুরুষেরা?
সঙ্গীকে পাল্টানোর চেষ্টা করবেন না
এই কাজ করা একদমই সহজ নয়। আপনি আপনার সঙ্গীকে বদলাতে পারবেন না। তিনি একজন অ্যাডাল্ট মানুষ, তাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে। আর আপনি সব জেনেই বিয়ে করেছিলেন। তাই সঙ্গীকে বদলাতে যাবেন না। তাঁর ভালো দিকও যেমন আছে, খারাপটিকেও গ্রহণ করুন।
দেখবেন সম্পর্ক সহজ ও সরল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর যদি কোনও টক্সিক অভ্যাস থাকে যা সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে বা যা আপনার মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।