অ্যাপশহর

Relationship Tips: প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চান না অর্ধেকের বেশি পুরুষই, কেন? রিপোর্টে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Men Do Not Want Relationship:  সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। পিউ-এর তরফে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১০ জনে ৬ জন পুরুষই সম্পর্কে জড়াতে চান না। কেন? 

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 25 Feb 2023, 2:02 pm

Reasons Why Men Don’t Commit:আমাদের চারপাশে এমন অনেক পুরুষই আছেন, যাঁরা সম্পর্কে জড়াতেই চান না। অনেক মহিলাই এমন অভিযোগ করেন যে, তাঁদের মনের কথা জানিয়েও সম্পর্কে জড়াতে চাননি কোনও কোনও পুরুষ। তাঁদের নাকি 'কমিটমেন্টে ফোবিয়া' থাকে! এই কথা কতটা সত্যি, সেই নিয়ে যদিও বিপরীতের মানুষটির মনে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় কী?

এই কথাটি অসত্য নয় যে, আমাদের আশপাশের অনেক ছেলের মধ্যেই এই উদাসীনভাব দেখা যায়। তাঁরা যেন কোনওভাবেই প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চান না! সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্টেও কিন্তু এরকম তথ্যই উঠে আসছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১০ জনে ৬জন পুরুষই নিজের ইচ্ছেয় সিঙ্গল থাকতে চান! কিন্তু কেন এরকম হচ্ছে? সমীক্ষার রিপোর্টেও সেই তথ্য উঠে এসেছে। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য - istock)

EiSamay.Com 63 percent men in their 30s want to stay single shows report
Relationship Tips: প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চান না অর্ধেকের বেশি পুরুষই, কেন? রিপোর্টে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য


৬৩ শতাংশ পুরুষ সম্পর্কে জড়াতে চান না

নিউ পিউ রিসার্চ সেন্টার-এর তরফে সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৩০ বছরের নিচে পুরুষদের মধ্য়ে ৬৩ শতাংশই প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চান না। যদিও তাঁরা চাইলেই সম্পর্কে জড়াতে পারেন।

কিন্তু নিজের ইচ্ছেতেই তাঁরা সম্পর্কে জড়াতে চান না। ২০১৯ সালে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময়ে সংখ্যাটি ছিল ৫১ শতাংশ। এরপরের রিপোর্টে যে তথ্য এল, তাতে বোঝা গেল এক ধাক্কায় সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এরকম হল? সেই উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও।

কারণ কী?

মনোবিদ ফ্রেড ব়্যাবিনোউটজ দায়ি করেছেন অনলাইন এরটিক সময় কাটানোকেই। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, "যুবকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা সময় কাটান। তাঁরা অতিরিক্ত পরিমাণে পর্ন ছবি দেখেন। না চাইতেই অনেক চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পারছেন তাঁরা। একা থাকার অন্যতম কারণ এটিই। আমার মনে হয় এটা তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।"

কোভিডের পরবর্তী সময়ে তাঁদের উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে। সেই সময়ে মানুষ অনেকটা সময় একা কাটিয়েছেন। তাই পরবর্তীতে তাঁরা জীবনের স্বাভাবিক ছন্দের পরিবর্তে একা থাকতেই পছন্দ করছেন বেশি।

পুরুষদের মধ্য়ে হতাশা দেখা যাচ্ছে

সিঙ্গল পুরুষদের মধ্য়ে মাত্র অর্ধেক পুরুষই কিন্তু সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন কিংবা শুধুই কোনও বান্ধবীর সঙ্গ চাইছেন। তাঁরা সম্পর্কের কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই প্রজন্মের পুরুষদের বিষয়ে এই সত্যিটি বেশ হতাশাজনক।

কিন্তু মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। NYU-এর এক অধ্যাপকের মতে, "আমরা সংযোগ রক্ষা করতে ভুলে যাচ্ছি। সবকিছু থেকে সবার থেকে নিজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে একা থাকতে চাইছি আমরা। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।"

মহিলারাও সম্পর্ক চাইছেন না

তবে শুধু পুরুষদের মধ্য়েই যে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এরকম কিন্তু নয়। মহিলাদের মধ্য়েও এই প্রবণতা রয়েছে। ৩৪ শতাংশ মহিলা যাঁদের বয়স ৩০-এর কম, তাঁরা সিঙ্গল থাকতেই পছন্দ করছেন। অনেকের মতে, কারও সঙ্গে রোম্যান্টিক ডেটে গিয়ে সময় নষ্ট করার থেকে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোই ভালো! পুরুষদের প্রতি মহিলাদের কিছু প্রত্যাশা আছেন। সেই প্রত্যাশাও পূরণ হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আসলে পুরুষদের আর নতুন করে কিছুর দেওয়া নেই।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পুরুষরা এক অদ্ভুত একাকিত্বে ভুগছেন! তাঁরা একা থাকত চাইছেন। তাঁদের সামাজিক কাজের উপরেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। মহিলাদের থেকেও তাঁরা আরও বেশি একাকী। শুধুই নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছেন তাঁরা।

কী ভাবে সংযোগ বাড়াবেন?

আপনার বয়সও কি ৩০-এর কম? আপনিও কি সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন না, কিন্তু ভবিষ্যতে জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে? তবে এখন থেকেই বিপরীতের মানুষের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।

সামাজিক যোগ বাড়াতে হবে। ধীরে ধীরে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারলে এই গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।


আরও পড়ুন: চাহিদা মেটাতে পারি না বলে যাচ্ছেতাই করে কথা শোনায় স্ত্রী, এখন ওর সঙ্গে ঘুমাতেও ভয় পাই

আরও পড়ুন: স্বামীর মধ্য়ে এই ৫ গুণ দেখলেই ভরে যায় মহিলাদের মন, সংসারে রোম্যান্সের ঘাটতি হয় না!

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর