অ্যাপশহর

Relationship Tips: রাগের মাথায় এই কথাগুলো ভুলেও শোনাবেন না সঙ্গীকে, তাহলেই ভাঙবে প্রেমের সম্পর্ক!

Anger Issues in Relationship: অনেক সময় আমরা রাগের মাথায় ভালো-মন্দ জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সেই সময় দাঁড়িয়ে সঙ্গীকে অনেক ছোট-বড় কথা শুনিয়ে দিই। কিন্তু যতই রেগে থাকুন না কেন, এই কথাগুলো কখনও আপনার সঙ্গীকে বলবেন না। তাহলেই কিন্তু সম্পর্ক ভাঙতে পারে আপনার। জেনে নিন কী কী কথা

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 30 Jun 2022, 10:15 am
আমরা রাগের মাথায় অনেক সময় সঙ্গীকে উল্টো পাল্টা কথা বলে ফেলি। পরে হয়তো সেইসব কথা ভেবে নিজেদেরই খারাপ লাগে। কিন্তু রাগের মাথায় সঙ্গীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করাও উচিত নয় বা তাঁকে এমন কথা বলাও উচিত নয় যা ক্ষমা করা যায় না। এতে সম্পূর্ণভাবেই খারাপ হয়ে যেতে পারে আপনাদের সম্পর্ক।
EiSamay.Com 5 things never say to your partner when you are angry
Relationship Tips: রাগের মাথায় এই কথাগুলো ভুলেও শোনাবেন না সঙ্গীকে, তাহলেই ভাঙবে প্রেমের সম্পর্ক!


এমনকী ভাঙতেও পারে আপনাদের ভালোবাসা। তাই রাগের মাথাতেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। জেনে নিন রাগের মাথায় এমন কোন কোন কথা আপনি সঙ্গীকে(Partner) বলবেন না, যা তাঁকে আঘাত দিতে পারে।

“তুমি কখনও পারো না” বা “তুমি শুধু এটাই পারো”

রাগের মাথায় আমাদের অনেকেরই যেন কিছু খেয়াল থাকে না। তখন আমরা সঙ্গীকে যা ইচ্ছে তাই বলে ফেলি। অনেক সময় তাঁর বিরুদ্ধে শুধুই অভিযোগ করতে থাকি। বলে থাকি যে, তুমি কখনও এটা করতে পারো না। বা এরকমও বলি যে, তুমি শুধু এই কাজটাই পারো।

এরকমও বলে থাকেন যে, "তুমি সবসময় এটাই করো"। এই কথা শুনে আসলে মনে মনে আঘাত পান আপনার সঙ্গী। ঝগড়ার মধ্য়ে এসব কথা ইচ্ছে করেই বলে থাকি আমরা। পরে সেই জন্য আমাদের খারাপ লাগে। যদিও বা আপনার সঙ্গী এই কাজ করে থাকেন, আপনি কিন্তু তা করবেন না।

“তাতে কী হয়েছে” বা “আমি কী করব”

আপনার কোনও ব্যবহার হয়তো আপনার সঙ্গীর খারাপ লেগেছে। কিংবা আপনার কোনও পরিচিতর বা আত্মীয়র ব্যবহার আপনার সঙ্গীর খারাপ লেগেছে। লাগতেই পারে। সেই কথা তিনি আপনাকে জানালেন। আপনি যদি তার প্রেক্ষিতে উত্তর দেন, এতে কী হয়েছে বা এতে আমি কী করতে পারি!

তাহলেই কিন্তু সম্পর্কে এর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ আপনার সঙ্গী আপনার থেকে সমর্থন আশা করছেন। আর আপনি যদি তাঁকে তা না দিতে পারেন, তাহলে এরকম কথা অন্তত বলবেন না। (ছবি- istock)

মনে আঘাত দিয়ে কথা

আপনার সঙ্গীর উপর হয়তো আপনার প্রচণ্ড রাগ হয়ে আছে। ঝগড়ার মধ্য়ে কোনও কিছুই খেয়াল থাকছে না। এই সময় শান্ত হয়ে বসুন। আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নিন। মাথা ঠান্ডা হলে আবার কথা বলুন। কারণ ঝগড়ার মুহূর্তে আমরা সবসময় তর্কে জিততে চাই। বিপরীতের মানুষটিকে আঘাত করতে চাই।

আপনার ভালোবাসার মানুষটিও যেন সেই মুহূর্তে আপনার শত্রু হয়ে ওঠে। যাই হয়ে যাক না কেন, আপনি তাঁকে আঘাত দিয়ে কথা বলবেন না। আপনি তাঁর দুর্বলতা, ভয় সব জানেন। রাগের মাথায় সেই কথা টেনে এনে নিজেকে সঙ্গীর চোখে ছোট করবেন না।

পুরনো কথা টেনে আনা

এই প্রবণতা অনেকের মধ্য়েই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এর থেকে খারাপ কাজ যেন আর কিছু হয় না। তাই কখনও আপনার সঙ্গীকে পুরনো কথা টেনে আঘাত দেবেন না। তাঁর অতীতে যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। সেই কথা এখন টেনে আনার দরকার কি?

আবার এও হতে পারে যে, আপনার সঙ্গী হয়তো কখনও আপনাকে আঘাত দিয়েছিলেন। সেই পুরনো কথাও ঝগড়ার মধ্য়ে টেনে আনার কোনও প্রয়োজন নেই।

তাঁকে উদ্দেশ্য করে খারাপ শব্দ বলা

যতই রেগে থাকুন না কেন, কখনও এই কাজটি করবেন না। আপনি হয়তো প্রচণ্ড রেগে গিয়ে তাঁকে দুটো খারাপ নামে সম্বোধন করলেন। পরমুহূর্তেই তা আপনার খারাপ লাগছে। কিন্তু আপনার সঙ্গীর মনে এর মধ্যেই যা প্রভাব পড়ার, তা পড়েছে। তাই এই কাজটি করবেন না।

আরও পড়ুন: শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় কেন আগ্রহ হারাচ্ছেন আপনার সঙ্গী? চুপি চুপি জেনে নিন

আরও পড়ুন: বিবাহিত জীবনে রোম্যান্সের হবে না কমতি! কীভাবে?

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর