অ্যাপশহর

Mother Daughter Relationship: বিয়ের পরে মেয়ের থেকে এই ছোট্ট জিনিস আশা করেন মায়েরা, না পেলে নীরবেই দূরে সরে যান

Relationship Tips: বিয়ের পর মায়ের সঙ্গে কি মেয়েদের দূরত্ব বাড়ে? কেন এমন হয় তা কি ভেবে দেখেছেন? আসলে,  মায়েরা কিন্তু ছোট ছোট জিনিস আশা করেন। না পেলে তখন মনখারাপ করেন। মা'কে দুঃখ দেবেন না। 

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 30 Mar 2023, 4:50 pm
How To Keep Your Mom Happy: সন্তানের সঙ্গে তাঁর মায়ের এক আত্মিক টান থাকে। এই অনুভূতিতে কখনও বদল হয় না। তাই বিয়ের পর মেয়ে অন্য পরিবারে চলে যাওয়ার পরেও তাঁর থেকে মায়ের সামান্য কিছু আশা থেকেই যায়। কিন্তু নতুন পরিবারে যাওয়ার পরে সেই মেয়েটি সবদিকে খেয়াল রাখতে পারে না। তাই মায়ের সব আশা হয়তো তিনিও পূরণ করতে পারেন না। আর সেই সময়েই দানা বাঁধে সমস্যা।
EiSamay.Com 5 things mothers expect from their daughters after marriage
Mother Daughter Relationship: বিয়ের পরে মেয়ের থেকে এই ছোট্ট জিনিস আশা করেন মায়েরা, না পেলে নীরবেই দূরে সরে যান

মা এবং মেয়ের মধ্যে একটু দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। মা দুঃখ পান। আপনি নিশ্চয়ই চান না, আপনার জীবনেও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হোক? তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হন। জেনে নিন, বিয়ের পরেও মেয়েদের থেকে মায়ের কী কী আশা থাকে। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য -istock)

খোঁজ নিন

মায়েরা সব সময়ই চান, হাজার ব্যস্ততার মধ্য়েও আপনি তাঁর একটু খোঁজ নিন। অফিসের কাজ এবং সংসারের কাজ সামলে সময় করে উঠতে পারেন না, তাই তো? কিন্তু দিনের শেষে একবার তো ফোন করতেই পারেন।

তাই দিনের শেষে একটা ফোন করতে ভুলবেন না। ফোনে জানতে চান, তিনি কেমন আছেন? তাঁর সারাদিন কেমন কাটল? আপনার মায়েরও ভালো লাগবে

দেখা করুন

আপনার মা চান, আপনি তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্য়ে দেখা করুন। সবকিছু সামলে প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। কিন্তু কাছাকাছি থাকলে সপ্তাহে অন্তত একবার দেখা করুন। তাঁর বাড়িতে যান। কথা বলুন। গল্প করুন। দেখবেন তাঁরও ভালো লাগছে।

মায়ের গুরুত্ব আপনি ভুলে যাননি

ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গেলেই বাবা এবং মায়ের মধ্য়ে সামান্য হলেও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। সন্তান দূরে চলে যাচ্ছে, এরকম চিন্তা কাজ করে। তাই বিয়ের পর মেয়ে অন্য বাড়ি চলে গেলে এই নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। আপনি মা’কে বুঝিয়ে দিন, তাঁর গুরুত্ব আপনি ভুলে যাননি। আগেও যেভাবে তিনি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, আজও তাই। তাঁকে ছাড়া আপনি নিজের পৃথিবীটা কল্পনা করতে পারেন না।

মায়ের জন্যে উপহার

না, তাঁরা কোনওদিন মুখ ফুটে বলবেন না! কিন্তু সন্তানের থেকে ছোট ছোট উপহার পাওয়ার ইচ্ছে সবার মধ্য়েই তো থাকে। মা মুখ ফুটে বলার আগেই আপনি হাতে করে কোনও ছোট উপহার নিয়ে যান। হয়তো, তাঁর একটা শাড়ি প্রয়োজন। আপনি সেটা লক্ষ্য করেছেন। দেখা করার সময়ে এই উপহারটি নিয়ে যান।

আপনি ভালো আছেন

আপনি কেমন আছেন, এই কথা জানার ইচ্ছে আপনার মায়ের মনে থাকে। আপনাকে নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তাও করেন। তাই মা’কে নিশ্চিত করুন যে, আপনি ভালো আছেন। তিনি যেন কোনওভাবেই আপনাকে নিয়ে চিন্তা না করেন। আপনি ভালো আছেন শুনলে তিনিও ভালো থাকেন। এটুকু বুঝুন।

মায়ের সঙ্গে মাঝেমধ্য়ে ভালো সময় কাটান। মনে রাখবেন, আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তাই নিজের সংসারের সমস্যা একাই মেটানোর চেষ্টা করুন। সংসারের সমস্যা অনুগ্রহ করে মা’কে জানাবেন না। তবে হ্যাঁ, কোনও বড় সমস্যা তৈরি হলে সেই কথা অবশ্যই জানান। ভালো থাকুন। মা’কেও ভালো রাখুন।


আরও পড়ুন: আমি চাই না আমার স্বামী অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে কথা বলুক, হিংসেয় গা জ্বলে যায়, কী করব?


আরও পড়ুন: দেখাশোনা করে আমাদের বিয়ে হয়েছে, স্বামীর কাছে একটা বড় কথা গোপন করে গিয়েছি, ও জানতে পারলে কী হবে জানি না!

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর