অ্যাপশহর

ঠিক যে যে কারণে মেয়েরা ছেলেদের ঠকায়...

সব সম্পর্কেই সমস্যা থাকে। তবে অনেক সময় ছেলেদের ঠকায় মেয়েরা। জানেন?

EiSamay.Com 23 Nov 2020, 7:10 pm
যে কোনও সম্পর্কেই ঝগড়া, ভাঙন এসব থাকেই। থাকে ওঠাপড়া, ভুলবোঝাবুঝি। কিন্তু এসবের পরও প্রতারিত হতে হয়। মানুষ চেনা এমনই কঠিন কাজ। কেউ সারাজীবনে চিনতে পারেন না, আবার কেউ পাঁচ বছরেও চিনতে পারেন না। বদলে যাওয়া মানুষের স্বভাব। আর তাই প্রেম থেকে বিয়ে সম্পর্কে ধোঁকা দেওয়ার রীতি এখনও রয়েছে। স্বামী যেমন স্ত্রীকে ঠকায় তেমনই প্রেমিককে ঠকায় প্রেমিকা। যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। কিন্তু এখনকার সম্পর্কে সেই বিশ্বাস অনেকখানি জায়গা হারিয়েছে। সবাই নিজের স্বার্থটুকু বুঝে নিতে চান। ফলে এই ঠকানোর ট্রেন্ডও চলে আসছে যুগের পর যুগ। যদিও এই ঠকানোর ব্যাপারে ছেলেরা অনেকটাই এগিয়ে, তবুও মেয়েরা খুব একটা পিছিয়ে নেই। তবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে কিছুসময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ থাকে মেয়েদের হাতে। আবার অনেক সময় স্রেফ ভালোলাগছে না বলেও অনেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু কখন মেয়েরা ঠকায়? জানুন
EiSamay.Com 5 reasons why women cheat on their partners
ঠিক যে যে কারণে মেয়েরা ছেলেদের ঠকায়...


নতুন সঙ্গীর খোঁজে

ইদানিং অনেক মেয়েই আছেন, যাঁরা একজন সঙ্গীতে খুশি হতে পারেন না। বলা যায় খুব বেশিদিন কোনও একজনকে তাঁদের ভালো লাগে না। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাঁদের সবকিছু একঘেঁয়ে লাগতে শুরু করে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খোঁজেন। একটি সম্পর্কে থাকতে থাকতেই তাঁরা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। খুব বেশি ২ বছর তাঁরা একটি সম্পর্কে থাকতে পারেন। তারপর নানা সমস্যার দোহাই দিয়ে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। বলা ভালো সঙ্গীকে ঠকিয়ে নতুন সঙ্গী খুঁজে নেওয়াই এদের উদ্দেশ্য।

যথাযোগ্য ভালোবাসা না পেলে

অনেক ছেলেই আছেন যাঁরা বছর দুই প্রেমের পরই প্রেমিকাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড (take for granted ) নিয়ে নেন। সময়ে ফোন করা কিংবা খোঁজ নেওয়া এসব তাঁদের মধ্যে থাকে না। এমনকী প্রেমিকাকে সময় না দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সময় দিতেই ভালোবাসেন। স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা ছাড়া বন্ধুরাই তাঁদের কাছি দামি। কিন্তু কখনই এই সত্যিটা তাঁরা স্বীকার করতে চান না। এমনকী স্ত্রী বা প্রেমিকাকে আর পাঁচজনের মতোই তাঁরা দেখেন। আলাদা করে খেতে, ঘুরতে যেতে চান না। এরকম ক্ষেত্রে বেশ কিছুবার বলার পর মেয়েরা চুপচাপ সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। এবং নিজের শূন্যতা পূরণ করতে অন্য কোনও সঙ্গী খুঁজে নেন।

প্রতিশোধ নিতে

অনেকের মধ্যেই মারাত্মক প্রতিশোধ স্পৃহা থাকে। যদি মেয়েটিকে আগে কেউ ঠকিয়ে থাকে সেই মানসিক যন্ত্রণা থেকেই তার মধ্যে প্রতিশোধ স্পৃহা জেগে ওঠে। এমনকী তখন ঠান্ডা মাথায় পুরোটা পরিকল্পনা করে এই প্রতিশোধের চেষ্টা করে। এসব ক্ষেত্রে মেয়েটির মনে কিন্তু কোনও আবেগ থাকে না। পুরোটাই থাকে দেখানো। বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ অনেকেই এভাবে নিয়ে থাকেন।

যৌন সম্পর্কে সমস্যা থাকলে

যে কোনও সম্পর্কে মানসিক চাহিদার পাশাপাশি শারীরিক চাহিদাও থাকে। মুখে যে যাই বলুক সম্পর্কে যৌনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের থেকে যৌনতৃপ্তি পেতে চান। প্রেমিক-প্রেমিকাও তাই চান। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় ছেলেটি মেয়েটির সঠিক যৌন চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। দিনের পর দিন কোনও মেয়ে বিষয়টি সহ্য করবেন না। তাই বুঝতে পারলেই তাঁরা সেখান থেকে সরে আসেন।

সম্পর্কে সুখী না হলে

একটি সম্পর্কে উভয়েরই সুখী হওয়া প্রয়োজন। শারীরিক ও মানসিক দুদিক থেকেই। কথায় কথায় ঝগড়া, অশান্তি, ঝামেলা এসব কেউই পছন্দ করে না। মনে হয় আশপাশের সবাই অনেক সুখী। নিজেদের মধ্যে কোনও সুখ নেই। সেসব ক্ষেত্রে মনে হয় বেকার সময় নষ্ট করার কোনও অর্থ নেই। সব থাকা সত্ত্বেও কীসের যেন অভাবে সম্পর্কে একটা টানহীন ভাব অনুভূত হতে থাকে। এইরকম অবস্থায় মেয়েরা বেশিদিন মানিয়ে চলতে পারে না। তখনই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।

পরের খবর