অ্যাপশহর

Relationship Tips: স্বামীর মধ্যে এই ৫ গুণ দেখলেই ভরে যায় মহিলাদের মন, সংসারে রোম্যান্সের ঘাটতি হয় না!

Husband Material Men:  প্রতিটি সংসারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে স্বামী-স্ত্রীর দুজনের ভূমিকাই সমান সমান থাকে। মহিলারা স্বামীর মধ্য়ে কয়েকটি গুণের সন্ধান করে থাকেন। যা দেখে তাঁদের মন ভরে যায় 

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 22 Feb 2023, 9:08 am

5 Best Qualities Of Husband: সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’...এই কথা আমাদের মধ্য়ে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু একটি সংসার বাঁচিয়ে রাখার জন্যে বা পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে শুধুই কি এক মহিলারই ভূমিকা থাকে?

সেই বাড়ির পুরুষ সদস্যের কি কোনও ভূমিকা থাকে না? বর্তমান প্রজন্ম কিন্তু ঠিক সেভাবে ভাবে না। আসলে সংসার ভালো রাখার জন্য়ে ও সেখানে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে দুজনের ভূমিকাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।

সংসারে দুজন মানুষের সমান ভূমিকা এবং সমান গুরুত্ব থাকা উচিত। একজন ভালো স্ত্রীর যেমন প্রয়োজন, একইভাবে একজন ভালো স্বামীরও কিন্তু ভূমিকা অনেক!

আপনি কি জানেন, একজন মহিলা তাঁর স্বামীর মধ্য়ে কোন পাঁচ গুণ দেখতে চান? কোন পাঁচটি বিষয় তাঁরা স্বামীর মধ্য়ে দেখলে মনে হয় যে, তাঁদের জীবনে সুখের কোনও ঘাটতি হবে না! আলোচনা করলাম সেই নিয়েই…(প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য - istock)

EiSamay.Com 5 qualities women look for in a husband
Relationship Tips: স্বামীর মধ্যে এই ৫ গুণ দেখলেই ভরে যায় মহিলাদের মন, সংসারে রোম্যান্সের ঘাটতি হয় না!


মন দিয়ে কথা শোনেন

সব মহিলাই চান, তাঁর স্বামী যেন একজন ভালো শ্রোতা হন। বিপরীতের মানুষটি কী বলছেন, সেই কথা তিনি যেন মন দিয়ে শোনেন এবং তারপরই কোনও সিদ্ধান্ত নেন। স্ত্রীর কথা না শুনলে বা গুরুত্ব না দিলে কিন্তু আপনার প্রতি ধীরে ধীরে বিব্রত হয়ে উঠবেন তিনি।

আপনার প্রতি আশাও থাকবে না। বরং, এরপর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হবে। তাই স্ত্রীর কথা অবশ্যই মন দিয়ে শুনুন। তারপর নিজের মতামত জানান। কথা শোনা আর কথা মেনে চলার মধ্য়েও পার্থক্য আছে, তা ভুললে চলবে না।

সংসারের দায়িত্ব ভাগ করে নেন

কোনও পরিবার এবং সংসারের সুখ-শান্তির দায়িত্ব কিন্তু প্রত্যেকের। সেই বিষয়ে আপনাকেই ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। আপনার স্ত্রী যেমন সংসারের কাজ করবেন, একইভাবে আপনাকেও কিন্তু সেই দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।

আপনারা দুজনেই যদি চাকুরিজীবী হন, তবে এটি আরও বেশি করে খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। তিনি যদি রান্না করেন, তাহলে আপনি সবজি কেটে গুছিয়ে দিন। এভাবেই কাজ ভাগ করে নিতে হবে।

স্ত্রী’কে ভালো বন্ধু মনে করেন

একজন মহিলার কিন্তু এই আকাঙ্খা মনে থাকেই। তিনি স্বামীকে বন্ধু হিসেবে পেতে চান। আসলে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে দুজনের অধিকার সমান হয়। দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।

স্বামী যদি বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে নিশ্চিন্তে সব মনের কথা বলা যায়। কোনও অসুবিধায় পডতে হয় না। কোনও কাজ করার আগে দশবার ভাবতে হয় না। বরং, দুজনে যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব দায়িত্ব নিতে পারেন, একইভাবে মনের কথা খুলে বলতেও দুবার ভাবতে হয় না।

হাতটি ছাড়বেন না

একটি পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে এবং সাংসারিক ঝগড়া এড়িয়ে যাওয়ার জন্যে একে অপরকে সম্মান করা প্রয়োজন। দাম্পত্যে সম্মান ও শ্রদ্ধা কিন্তু ভিতের মতো হয়ে ওঠে।

আপনাদের সম্পর্কের এই দুটি দিক যদি মজবুত হয়, তবে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তাই স্ত্রীকে, স্ত্রীর মতামতকে সম্মান করুন। তিনি আপনার থেকে এইটুকুই আশা করেন। দুজনে খুব ভালো থাকুন। সংসার সুখের হোক দুজনের গুণেই।


আরও পড়ুন: আমার নামে স্বামীর কান ভাঙায় শাশুড়ি, ও কিচ্ছু বলে না উল্টে আমার দোষ খোঁজে, আর পারছি না

আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দিন রাত ফোনে কথা বলে স্ত্রী, ওদের কথা শুনে পায়ের তলায় মাটি সরে গেল…

স্ত্রীকে সমর্থন করেন

আপনার সঙ্গে স্ত্রীর সমস্যা হতেই পারে। তাঁর কোনও জিনিস আপনার অপছন্দ হতেই পারে। মতামতেরও পার্থক্য হতে পারে। কিন্তু তাঁকে সেইসব কথা ব্যক্তিগত ভাবে জানান। আপনাদের অন্য ব্যক্তিগত মুহূর্তও যেমন থাকবে, একইভাবে ঝগড়াও করবেন ব্যক্তিগত ভাবে।

সবার সামনে স্ত্রীর উপর চিৎকার করবেন না। সবার সামনে অপমান করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন, আপনি এবং আপনার স্ত্রী একটি টিম। তাই তাঁর প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া আপনার কর্তব্য। অন্য কারও সামনে স্ত্রীকে সমর্থন করুন। ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে খারাপ লাগার কথা জানান।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর