অ্যাপশহর

Love Story: বয়সে বড় মহিলাকে বিয়ে করলেই কি সম্পর্কে ভরপুর থাকে রোম্যান্স? ৪ ব্যক্তি শোনালেন নিজের গল্প

Marrying Older Women:  বয়সে বড় মহিলাকে বিয়ে করলে কি সম্পর্কে রোম্যান্স অটুট থাকে নাকি জীবন নরক হয়ে যায়? অসম বয়সের প্রেম কাহিনী ঠিক কেমন? ৪ ব্যক্তি শোনালেন নিজের গল্প...

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 20 May 2023, 12:19 pm
Relationship Tips:প্রেম আমাদের জানান দিয়ে আসে না। গতকাল পর্যন্ত যে মানুষটি আমাদের কাছে অচেনা ছিল, আজ তাঁকে দেখে এক অন্য অনুভূতি হতেই পারে! ভালোবাসা সত্য়িই কোনও শর্ত মানে না। বয়স সেখানে একটা সংখ্যা মাত্র। যদিও অসম বয়সের প্রেমকে নানা সময়েই বিভিন্ন কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু যুগলদের তাতে সত্যিই কি কারও কিছু এসে যায়? মনে তো হয় না। কারণ প্রেম যে কোনও কালেই সমাজের বেঁধে দেওয়া গণ্ডিকে মানেনি, আগামীতেও মানবে না। প্রেম যে স্বাধীন। প্রাণচঞ্চল।
EiSamay.Com 4 men who married older women share their stories
Love Story: বয়সে বড় মহিলাকে বিয়ে করলেই কি সম্পর্কে ভরপুর থাকে রোম্যান্স? ৪ ব্যক্তি শোনালেন নিজের গল্প


কোনও ব্যক্তি তাঁর থেকে বয়সে বড় মহিলার প্রেমে পড়তেই পারেন। সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই ধরনের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের মনেই বিভিন্ন ধন্দ থাকে। এসব সম্পর্ক কি আদৌ ‘চিরস্থায়ী’ হয়? কেমন হয় তাঁদের প্রতিটি মুহূর্ত? নিজের গল্প শোনালেন চার জন পুরুষ। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য - istock)

ওর ব্যক্তিত্বেই মুগ্ধ আমি

আমার স্ত্রী আমার থেকে ছয় বছরের বড়। আর এটাই হয়তো আমার জীবনের সবথেকে সঠিক সিদ্ধান্ত। ও আমার সব কথা বোঝে। খুব ম্যাচিওর। যে কোনও পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে সামাল দেয়।

আমাদের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। ও একটু ডমিনেটিং। তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা হয় না। আমাকে কোনওদিন কিছু নিয়ে জোর করেনি। আমাকে কোনও কাজ করতে বাধ্য করেনি। ওর ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করে।

ওর নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রিত আমি

ডেটিংয়ের সময়ে আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বেশ ভালোই লাগত। কিন্তু বিয়ে করার পরে বুঝতে পারলাম, বিষয়টা এতটাও সহজ নয়। ও আমার থেকে ১০ বছরের বড়।

আমি যেন ওর হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছি! আমি কী খাব, কী পরব এবং কাদের সঙ্গে ঘুরব, সব কিছু ঠিক করে আমার স্ত্রী। আমার ভালো লাগে না। আমার বাবা-মাও বিষয়টি খেয়াল করেছেন। কিন্তু আমি কারও সামনে প্রকাশ করি না। কারণ, আমি তাঁদের মতের বিরুদ্ধেই ওকে বিয়ে করেছিলাম।

বয়স একটা সংখ্যা মাত্র!

আমার স্ত্রী পাঁচ বছরের বড়। ও খুবই ম্যাচিওর। সব পরিস্থিতি ঠিকঠাক সামাল দেয়। আমাদের কখনও এই বয়সের পার্থক্যটা মনেই থাকে না। আমরা খুব মজা করি। চিন্তাভাবনাও একইরকম। আমরা দুজনে একটি 'ভালো টিম'।

কখনও বয়সের পার্থক্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। শুধুমাত্র ডকুমেন্টশনের সময়ে কিংবা ফ্লাইট বুক করতে গিয়ে এবং ব্যাংকের কাজ করার সময়ে আমাদের বয়সের সংখ্যাটি মনে পড়ে। ওকে দেখে বয়স বোঝার উপায় নেই, এদিকে আমার চুলে কিন্তু পাক ধরে গিয়েছে!

বাবা-মা মেনে নিতে পারেনি

আমরা কোনওদিন আমাদের বয়সের পার্থক্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করিনি। কিন্তু আমার বাবা-মা এখনও বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। আমার থেকে ১৩ বছরের বড় এক মহিলাকে আমি বিয়ে করেছি। আমি খুবই সুখে আছি। আমাদের দেখে সমবয়সী মনে হয়। ওর একটি মেয়ে আছে।

এই বিষয়টিও আমার বাবা-মায়ের পছন্দ নয়। সবসময় আমাকে এই নিয়ে কথা শোনায়। আমার স্ত্রী প্রথমে চুপ করে থাকত। কিন্তু এখন আর মেনে নেয় না। ওকে সরাসরি কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। কিন্তু আমি জানি না কেন আমার বাবা-মা কেন এরকম করেন!


প্রবন্ধটি ইংরেজিতে পড়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন: সন্তানের এই কাজে কেঁদে ওঠে মায়ের মন, দুঃখ পেয়ে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেন

আরও পড়ুন: "...অন্য এক সুখে ভেসে গেলাম আমি", নিজের পরকীয়া প্রেমের গল্প শোনালেন ৫ মহিলা

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর