অ্যাপশহর

ভারতের এই রেলস্টেশনের নাম পড়তে গিয়ে হেসে ফেলবেন, সবার সামনে ভুলেও পড়তে যাবেন না

Shortest Name Indian Railway Station : আমাদের দেশে কয়েক হাজার রেলয়ে স্টেশন রয়েছে। সেগুলির এক একটি নাম একেক রকম। কোনও স্টেশনের নাম স্থান অনুযায়ী, আবার কোনোটির নাম বিখ্যাত ব্যক্তির নামে। আবার এমন কিছু স্টেশন রয়েছে যেগুলির নাম শুনলেই হাসি পেয়ে যায়। তা দেশের সবচেয়ে ছোটো নামের রেল স্টেশনটির নাম জানেন? এই স্টেশনের নাম ইব। স্টেশনটি রয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায়।

Authored byসায়ন নস্কর | EiSamay.Com 25 May 2023, 10:11 am
ভারতীয় রেল দেশের লাইফলাইন। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত যেতে এই রেলের উপরেই ভরসা করে। বলা বাহুল্য, রেল গাড়িতে উঠতে হয় স্টেশন থেকে। আর সেই স্টেশনে লেখা থাকে তার নাম। এই গৌরচন্দ্রিকার করার কারণ আজ কথা হবে দেশের ক্ষুদ্রতম নামের স্টেশনটি নিয়ে।
EiSamay.Com shortest and longest station railway name in india
ভারতের এই রেলস্টেশনের নাম পড়তে গিয়ে হেসে ফেলবেন, সবার সামনে ভুলেও পড়তে যাবেন না

দেশের যে কোনও স্টেশনে হলুদ বোর্ডের উপর তিনটি ভাষায় স্টেশনের নাম লেখা সকলেরই নজরে পড়ে। স্থানীয় ভাষা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে লেখা থাকে স্টেশনের নাম। যাঁরা নিয়মিত নানা জায়গায় রেলগাড়ি চেপে ঘুের বেড়ান তাঁদের চোখে নিশ্চয়ই অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত নাম পড়েছে। যেগুলির কোনোটির নাম পড়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন কেউ, কেউ আবার হেসে লুটোপাটি খেয়েছেন। আবার কেউ অদ্ভুত নাম দেখে তার ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
এরকমই এক মজাদার নাম রয়েছে ওড়িশার এক স্টেশনের। নামটি এতই ছোটো যে শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়। ছোট্টো নামটি শুনলেই হাসি পেয়ে যেতে পারে। সটেশনটির নাম হল ইব (Ib)। (photo credit:RailMinIndia@twitter)

এই স্টেশনের নাম তৈরি মাত্র দুটি অক্ষরে

দেশের ক্ষুদ্রতম নামের রেলস্টেশনের নাম ইব (Ib)। আজ্ঞে হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন, স্টেশনের নাম ইব (Ib)। নামটা শুনে অবাক লাগতেই পারে। সত্যিই তো, এ আবার কী ধরনের নাম! তবে দুই অক্ষরের এই নামটি দেওয়া হয়েছে ইব নদীর নামানুসারে। এই ইব রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতের সুন্দর রেলস্টেশনের মধ্যে অন্যতম। (All Representative photo credit: pexels.com)

কোথায় আছে এই রেলস্টেশন

ইব হল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতীয় রেলওয়ে ব্যবস্থায় সবচেয়ে ছোটো নামে স্টেশন। ১৮৯১ সালে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের নাগপুর-আসানসোল লাইনের উদ্বোধনের সময় এই স্টেশনের নামটি জানা যায়। ১৯০০ সালে ক্রস কান্ট্রি হাওড়া-নাগপুর-মুম্বই লাইনে এইস্টেশন নির্মিত হয়। ১৯০০ সালে নির্মিত এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো স্টেশন।

সবচেয়ে বড় নামের রেলস্টেশন

বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে যখন ইব নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করছিল, তখন ঘটনাক্রমে কয়লা আবিষ্কৃত হয়। এবং প্রচুর পরিমাণে কয়লা পাওয়া যাওয়ার পর সেখানে তৈরি হয় ইব কোলফিল্ড। এতো গেল ক্ষুদ্রতম নামের রেল স্টেশন, এবার বৃগত্তম নামের রেলওয়ে স্টেশনের কথায় আসা যাক। ভারতের একটি দীর্ঘতম নামের রেলস্টেশনটি হল, ভেঙ্কটনরসিংহরাজুভারিপেটা স্টেশন। এটি সম্পর্কে খুব কম লোকই জানে।

এই দীর্ঘ নামের স্টেশনটি কোথায়

ভেঙ্কটনরসিমংহরাজুভারিপেটা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন কোড হল VKZ। দক্ষিণের তামিলনাড়ুর সীমান্তে অবস্থিত অন্ধ্রপ্রদেশের রেলওয়ে স্টেশন এটি। দীর্ঘতম নামের রেল স্টেশনের তকমা অবশ্য পেয়েছে চেন্নাই সেন্ট্রাল। এর নামকরণ করা হয়েছিল পুর্চি থালাইভার ডাঃ এম জি রামচন্দ্রন সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন। বর্তমানে দ্বিতীয় দীর্ঘতম নামের স্টেশন এখন 'ভেঙ্কটনরসিসিংহরাজুভারিপেটা'।

বিশ্বের দীর্ঘতম নামের রেলস্টেশন

বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে স্টেশন নাম হল, Llanfairpwllgwyngyllgogerychwyrndrobwllllantysiliogogogoch রেলওয়ে স্টেশন। এতে মোট ৫৮টি বর্ণ রয়েছে। একবার দেখেই এই স্টেশনের নাম উচ্চারণ করা একরকম অসম্ভব।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
সায়ন নস্কর
"সায়ন নস্কর ৬ বছর কাজ করছেন মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রিতে। পাঠকের মনোগ্রাহী প্রতিবেদন তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পেশ করেন। সায়ন প্রিন্ট মিডিয়াতে নিজের কাজ শুরু করেন। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার বিষয়ে তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এই কয়েক বছরে তিনি মূলত হেলথ ও রিলেশনশিপ বিভাগে কাজ করেছেন। এই দুই বিভাগেই তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করেন। সায়ন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ ৬ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছেন। হেলথ ও ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন লেখেন। তিনি সহজ সরল ভাষায় বাস্তবসম্মত লেখনিতে বিশ্বাসী। তাঁর লেখা সহজেই বোধগম্য হয়। সম্পর্ক বা রিলেশনশিপ বিভাগে তিনি ১.৪ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময়কালেই তিনি এই বিভাগের প্রতিবেদন লেখনিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সম্পর্ক বিষয়ক নানা টিপস তাঁর কাছ থেকে পাঠকেরা পেয়ে থাকেন। কাজের বাইরেও সায়ন পড়তে ও লিখতে ভীষণই পছন্দ করেন। এমনকী আউটডোর গেমস খেলাতেও পারদর্শী তিনি। আর ফাঁকা সময়ে ফিল্ম দেখে সময় কাটান। বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণই তাঁর লেখনির মূল অস্ত্র। তাঁর লেখায় তথ্যের পাশাপাশি বিনোদনের ঝলকও দেখতে পাওয়া যায়। "... আরও পড়ুন

পরের খবর