অ্যাপশহর

সোনায় ‘সোহো’গা

নতুন বাংলা ছবি ‘শিকারী’আর ‘প্রেম কেন বুঝিনি-র শ্যুটিং দেখতে পৌঁছনো গিয়েছিল লন্ডনে৷ সে শহরে তখন দুই টলিউড সুন্দরী৷ শ্রাবন্তী আর শুভশ্রী৷ একদিন সকালে সোহো এলাকার ধারেকাছে শ্যুট৷

EiSamay.Com 11 Jun 2016, 12:44 pm
নাইটলাইফ এখানে অনাবিল! লন্ডন শহরে এলাকার নাম সোহো৷
EiSamay.Com night life of sosho at england
সোনায় ‘সোহো’গা


নতুন বাংলা ছবি ‘শিকারী’আর ‘প্রেম কেন বুঝিনি-র শ্যুটিং দেখতে পৌঁছনো গিয়েছিল লন্ডনে৷ সে শহরে তখন দুই টলিউড সুন্দরী৷ শ্রাবন্তী আর শুভশ্রী৷ একদিন সকালে সোহো এলাকার ধারেকাছে শ্যুট৷ এলাকাটা একটু কাটাছেঁড়া করে দেখার আগ্রহে এগোতেই ইন্টারেস্টিং তথ্য সামনে এল৷ সকালে এ অঞ্চল পৃথিবী বিখ্যাত বহু বিজ্ঞাপন সংস্থার কারখানা৷ একেবারে প্রথম সারির ফিল্ম কোম্পানিগুলোর হেডকোয়ার্টাসও বটে! চুটিয়ে চলছে ছবির প্রোস্ট প্রোডাকশনের কাজ৷ সামারে লন্ডনে ঘড়ির কাঁটা ছ’টা পেরোলেও অন্ধকার নামে না৷ অন্তত রাত আট’টা পর্যন্ত দিনের আলো৷ তাই এখানে সন্ধে নামে অনুভবে৷ অর্থাত্‍ সাতটা নাগাদ যখন মালুম হয়, আজকের মতো কাজকর্ম শেষ, তখন দল বেঁধে সোহোয়৷ ঢুকে পড়ুন কোনও ক্লাবে৷ বা পাবে৷ অথবা বিয়ার অ্যান্ড স্টাফ নিয়ে আড্ডা দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে৷ এরপর রাত যত বাড়াবে ক্রমশ রঙিন হয়ে উঠবে নিশিযাপন৷ কোন ঠিকানায় আপনি পৌঁছতে চান, প্রশ্ন সেটাই!

অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনমেন্ট এবং...

কেউ হলপ করে বলবেন না৷ কিন্ত্ত কথাবার্তায় সাহেবরাই বুঝিয়ে দেবেন, এই এলাকার ‘রেপিউটেশন’রয়েছে সেক্স ইন্ডাস্ট্রি বেস হিসেবে৷ অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনমেন্টের আয়োজন উপচে পড়ে রোজ রাতেই৷ তবে সপ্তাহে কাজের দিনগুলোতে সকলে একটু সামলে চলেন৷ উইকএন্ডে লাগামছাড়া৷ সেক্স সংক্রান্ত মেনস-উইমেনস ম্যাগাজিন যেমন আছে, তেমনই আছে সেক্স মুভিজ শপ৷ যদি সেক্স টয়-এ আগ্রহ থাকে, তা হলে ‘হরেকরকম’বোর্ড দেখার অনুভূতি হতে পারে আপনার৷ বেশ কিছু স্ট্রিপ ক্লাবও তাকলাগানো৷ ভালগার নাকি আর্টিস্টিক, তাই নিয়ে বেশ কিছুটা কনফিউশন হতে পারে৷ তবে ততক্ষণে নেশায় বুঁদ হয়ে গেলে উত্তর হাতড়াতে সময় লাগে! লন্ডনের এক বাঙালি, যাঁর আদি বাড়ি শ্যামবাজার চত্বরে, বলছিলেন,‘সোহো-তে অদ্ভুত একটা ঘটনা এখনও নিয়মিত ঘটে৷ ধরুন আপনি প্রসটিটিউশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টমার হতে চান৷ কিন্ত্ত কার কাছে যাবেন, অত বিস্তারিত কিছু জেনে আসেননি৷ গভীর রাতে সোহো ঘেঁষা এলাকার নির্দিষ্ট কিছু রাস্তায় দাঁড়িয়ে হঠাত্‍ দেখলেন একটি রিক্সা চলে এল৷ চালক হয়তো বাঙালি৷ আদি বাড়ি বাংলাদেশে৷ উনি আপনাকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেবেন৷’

নিজের ড্রিঙ্কে মজে যান...

এ শহরের সাহেবপাড়ায় কোনও রেস্তরাঁয় সন্ধেবেলা বিয়ার গ্লাস সামলে রেখে বসে হয়ত দেখলেন পাশের টেবিলের ব্যক্তি আপনাকে মাপছে৷ চেনা বেরিয়ে গেলে তো কোনও কথাই নেই, আপনি ঠিকমতো বাড়ি অবধি পৌঁছলেন কিনা, ক’টায় ঢুকলেন বাড়িতে, যাবতীয় খোঁজ নিয়ে তিনি সেদিনের মতো ক্লান্ত হবেন! সোহো-র আনাচেকানাচে মানসিকতা সম্পূর্ণ আলাদা৷ নিজেকে নিয়ে মত্ত থাকার বাইরে আর কোনও কিছুতেই মন দিতে বলে না সোহো৷ গে পাবে কাপলরা সন্ধে কাটান নিশ্চিন্তে৷ লেসবিয়ান বারেও রাত্রি জমজমাট৷ সোহো অঞ্চল তো বটেই, এমনিতে রানির শহরের সর্বত্রই পাবলিক প্লেসেও প্রেমিক বা প্রেমিকার কাঁধে মাথা রেখে দু’দণ্ড জিরিয়ে নিলে বা ভালোবাসার চুম্বনে কোনও বাধা নেই৷ সোহো অঞ্চলে কোনও ক্লাব ছেড়ে কোন রেস্তরাঁয় যাবেন, তা নিয়ে সংশয়ে পড়তে হয়...ককটেল টু স্কচে, জিভে আরাম দেওয়া বিফ, মাটন বা অন্য কোনও স্বাদের সঙ্গে লাইভ মিউজেকে ভেসে যেতে এটাই যেন অন্যতম সেরা জায়গা৷ আড়ম্বর যে খুব কিছু তা নয়, কিন্ত্ত কোথায় কী যে একটা আছে...

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল