অ্যাপশহর

Nagaland: নাগাল্যান্ডের এই ৬ গ্রামের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের কোনও তুলনা হয় না

উত্তর-পূর্ব ভরতের ছোট্টো রাজ্য নাগাল্যান্ডের আরেক নাম হর্নবিল ল্যান্ড। ছবির মতো সুন্দর এই রাজ্যের এক একটি গ্রাম যেন তুলি দিয়ে আঁকা এক একটি অপূর্ব সুন্দর তৈলচিত্র। নাগাল্যান্ডে রয়েছে অনেক ছোটো ছোটো সুন্দর গ্রাম। অফবিটপ্রেমী পর্যটকদের কাছে সেগুলি এক একটি যেন গুপ্তধন। গ্রামগুলির অনন্য সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই এখানকার প্রধান আকর্ষণ।

Produced byশ্রাবণী অধিকারী | Lipi 13 Jan 2023, 12:00 pm
উত্তর-পূর্ব ভরতের ছোট্টো রাজ্য নাগাল্যান্ডের আরেক নাম হর্নবিল ল্যান্ড। ছবির মতো সুন্দর এই রাজ্যের এক একটি গ্রাম যেন তুলি দিয়ে আঁকা এক একটি অপূর্ব সুন্দর তৈলচিত্র। নাগাল্যান্ডে রয়েছে অনেক ছোটো ছোটো সুন্দর গ্রাম। অফবিটপ্রেমী পর্যটকদের কাছে সেগুলি এক একটি যেন গুপ্তধন। গ্রামগুলির অনন্য সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই এখানকার প্রধান আকর্ষণ। (Representative photo credit: istock.com)
EiSamay.Com most beautiful villages in nagaland where you can see unique culture and tradition
Nagaland: নাগাল্যান্ডের এই ৬ গ্রামের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের কোনও তুলনা হয় না


​কোহিমা গ্রাম

নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা একটি অপূর্ব সুন্দর শহর। অবশ্য সরকারিভাবে একে শহর বলা হলেও আদৌ এটি একটি সাজানো গোছানো গ্রাম। নাগাল্যান্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানও হল এটি। এখানকার ঐতিহাসিক জনপদ এবং ভিক্টোরিয়া রকের মতো স্মৃতিস্তম্ভগুলি মিস করবেন না। এগুলি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময়কালে "সোফিয়া হাইমা" নামে পরিচিত ছিল। এছাড়াও রয়েছে নাগা হেরিটেজ ওয়াক (NHW), যা কোহিমা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে দুই কিলোমিটা ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত ২৯টি ঐতিহ্যবাহী স্থান প্রদর্শন করে। এই পরিবর্শনের মধ্যে রয়েছে নাগা ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিজড়িত শহরের জাদুঘর, গ্যালারি, থিয়েটার ইত্যাদি। এখানকার আরেকটি বিখ্যাত আকর্ষণ হল ডিমাপুর ওয়ার মিউজিয়াম। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ও ভারতের সম্পর্কের কথা জানতে পারবেন। (Representative photo credit: istock.com)

মোকোকচুং গ্রাম

নাগাল্যান্ডের মোকোকচুং গ্রামটি মোকোকচুং জেলার সদর দপ্তর। এটি রাজ্যের বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং সাক্ষরতার হারের জন্যও পরিচিত। উনবিংশ শতকে গোড়ার দিকে মোকোকচুং ছিল রোংমেই নাগা উপজাতি বসবাসকারী তুয়েনসাং জেলার একটি মহকুমা। পরে ১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর তুয়েনসাং জেলার কাকচিং, পেরেন জেলার জোতসোমা (বর্তমানে জুনহেবোটো) এবং কিফির জেলার লংলেং-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি স্বতন্ত্র জেলায় পরিণত হয়। (photo credit: wikimedia commons)

​ওখা গ্রাম

নাগাল্যান্ডের ওখা জেলায় অবস্থিত ওখা গ্রাম। এটি রাজ্যের বৃহত্তম গ্রাম। এখানকার জনসংখ্যা ১৩ হাজারেরও বেশি। গ্রামে বসবাস করেন আও নাগা উপজাতির লোকেরা। এটি আও নাগা সাংস্কৃতিক উৎসবের জন্য বিখ্যাত। এই পরব চালু হয়েছে ১৯৯৮ সালে৷ এই বার্ষিক অনুষ্ঠান ছাড়াও, ওখা গ্রামটি আরও কয়েকটি উৎসবের জন্যও বিখ্যাত। দশেরা উৎসব, সোহরাই উৎসব, ইউলেটাইড ফেস্টিভ্যাল এখানকার জনপ্রিয় পরব। (Representative photo credit: istock.com)

​কিফিরে গ্রাম

নাগাল্যান্ডের ইপং নদীর তীরে অবস্থিত কিফির গ্রামটি কিফিরে জেলার সদর দপ্তর। কিফিরে একসময় ছিল দুর্গম গ্রাম। যদিও বর্তমানে এটি নাগাল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৫০০০। এঁরা প্রধানত নাগা উপভাষা আও, হামার, রেংমা এবং চাখেসাং ভাষাভাষি মানুষ। (Representative photo credit: istock.com)

​লংলেং গ্রাম

নাগাল্যান্ডের আরেক অপূর্ব সুন্দর গ্রাম হল লংলেং। এটি লংলেং জেলায় অবস্থিত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে একটি সুন্দর হ্রদ এবং জলপ্রপাত সহ আরও অনেক কিছু। লংলেং হল একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক স্থান। ১৮৯২ সালে এই গ্রামের প্রতিষ্ঠা করেন লোথা নাগা উপজাতির লোকেরা। আধুনিক সংস্কৃতি বা প্রযুক্তির প্রভাব ছাড়াই এখানকার লোকেরা তাঁদের ঐতিহ্যগত জীবনযাপনের পদ্ধতি আজও সংরক্ষণ করে রেখেছেন। ঐতিহ্যবাহী নাগা গ্রামে জীবন উপভোগ করার একটি আদর্শ জায়গা এটি। (Representative photo credit: istock.com)

​পেরেন গ্রাম

নাগাল্যান্ডের পেরেন জেলার রাজধানী হল পেরেন গ্রাম। এটি একটি সুন্দর গ্রাম যার জনসংখ্যা প্রায় ৫,০০০। টিজু নদীর তীরে এই গ্রামটি অবস্থিত। পেরেন গ্রাম দেখার আদর্শ সময় হল বর্ষাকাল। এই সময় এই গ্রাম সবুজে সবুজে ছয়লাপ হয়ে পড়ে। (Representative photo credit: istock.com)

লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রাবণী অধিকারী
"শ্রাবণী অধিকারী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় একজন সাব এডিটর হিসাবে। শ্রাবণীর ব্যতিক্রমী লেখা এবং সম্পাদনা নৈপুণ্যতার প্রকাশ পায়। সংবাদ এবং লাইফস্টাইল-সহ বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। সহজ ও মনোগ্রাহী শব্দের ব্যবহারে শ্রাবণীর লেখা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যে কোনও বিষয়কে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাঁর লেখা বহুমুখী যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। লেখার মাধ্যমে কী ভাবে পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় তা তাঁর লেখনীতে প্রকাশ পায়। শ্রাবণী গত ৩ বছর ধরে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনার লাইফস্টাইল বিভাগ পরিচালনা করে আসছেন। এই বিভাগে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ পাওয়া যায়। এই সংস্থার লাইফস্টাইল বিভাগটিতে পাঠকদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক এবং চিত্তাকর্ষক লেখনী দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। লেখার প্রতি তাঁর আবেগ প্রতিটি নিবন্ধেই স্পষ্ট, যা প্রকাশনার জন্য অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে।"... আরও পড়ুন

পরের খবর