অ্যাপশহর

Durga Puja 2022: সাবেকিয়ানাতেই বেশি পছন্দ? তবে আপনার জন্য রইল এই ৫টি সেরা বনেদি বাড়ির খোঁজ

Bonedi Bari Durga Puja 2022: এখন শহর ও শহরতলিতে চলছে থিমপুজোর রমরমা। কোথাও বুর্জ খলিফা, কোথাও পৃথিবী আবার শান্ত হবে কোথাও আবার থিম শাপমোচন। উৎসবের আনন্দে গা ভাসান সব মানুষ। এর মধ্যে অনেকেই আছন যাঁদের থিমপুজো একেবারেই না-পসন্দ। তাঁদের মতে, সাবেকিয়ানাকেই বেশি পছন্দ করেন। আপনিও যদি এর মধ্যে পড়েন তাহলে আপনার জন্য রইল শহরের বেশ কয়েকটি সেরা বনেদি বাড়ির খোঁজ। পুজো দেখতে চলে যেতে পারেন...

Produced byশ্রাবণী অধিকারী | EiSamay.Com 29 Sep 2022, 2:09 pm
Durga Puja 2022: বাংলা ও বাঙালির কথা যখন আসে জোড়শব্দ হয়ে দাঁড়ায় তখন এর সঙ্গে সমার্থক শব্দরূপে যুক্ত হয় বাঙালির প্রিয় দুর্গাপুজো। দেবীর বোধন থেকে বিসর্জন সবেতেই মেতে থাকে বাঙালি।
EiSamay.Com durga puja 2022 top 5 bonedi bari durga puja in kolkata
Durga Puja 2022: সাবেকিয়ানাতেই বেশি পছন্দ? তবে আপনার জন্য রইল এই ৫টি সেরা বনেদি বাড়ির খোঁজ


দুর্গাপুজো নিয়ে নানা কাহিনি বর্ণিত থাকলেও শরৎকালের রামচন্দ্র এই পুজোকে অকালবোধন রূপে চিহ্নিত করা হয়। এখন তো শহর বা শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় চলে থিমের রমরমা। আর আপনি যদি এই থিমপুজো ভালো না লাগে তাহলে বেড়িয়ে আসতে পারেন শহরের বনেদি বাড়ির পুজোগুলোতে (Bonedi Bari Durga Puja) । যেখানে থিম না থাকলেও সাবেকিয়ানার স্বাদ এখনও বর্তমান। ষষ্ঠীতে আমন্ত্রণ ও অধিবাস পর্ব দিয়ে শুরু করে সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান, অষ্টমীতে কুমারীপুজো, সন্ধিপুজো এবং নবমীতে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে দশমীতে সিঁদুর খেলার সব কিছুই সাবেকিয়ানায় মতে দেখতে পারবেন। আপনার জন্য রইল সেই হদিশ।

​সাবর্ণ রায়চৌধুরির পুজো

সাবর্ণ রায়চৌধুরির বাড়ির পুজো এই শহরের সবচেয়ে পুরনো পুজো বলে মনে করা হয়। এখানকার পুরনো দিনের সেই দুর্গাদালান বা আটচালার প্রতিমা আপনাকে অবাক করবেই। বরিষার এই পুজো আজও সাবেকিয়ানার প্রমাণ রাখে যা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রায় ৪০০ বছর কেটে গিয়েছে এই পুজোর। লাল রঙের সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো থামগুলো পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী।

​শোভাবাজার রাজবাড়ি

উত্তর কলকাতার শোভাবাজার এলাকা, এবং বিশেষ করে সেই এলাকায় অবস্থিত এই রাজবাড়ি। ২৬১ বছরের পুরনো এই পুজো শহরের দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে একটি। শোনা যায় এই শোভাবাজার রাজবাড়িতেই আয়োজিত হয় কলকাতার প্রথম জমকালো, বড়মাপের পুজো। অনেক নিয়মকানুনের মধ্যে এই বাড়ির প্রতিমা পুজো ও নিরঞ্জন করা হয়। তাই আজও এই পুজোর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।

​বদনচন্দ্র রায় বাড়ির পুজো

কলকাতার পুজোর বনেদিয়ানার স্বাদের ভাগ নিতে হলে অবশ্যই মধ্য কলকাতার বদনচন্দ্র রায়ের বাড়ির পুজো দেখেত হবে আপনাকে। এখানেও বৈষ্ণব মতে দেবীর আরাধনা করা হয়। পশুবলি হয় না এই পুজোয়। এই পুজো শহরের প্রায় দেড়শো বছর হয়ে গিয়েছে। তাই চাইলে আপনিও এই পুজোয় সাক্ষ্মী হতে পারেন। যেতেই পারেন মধ্য কলকাতার এই পুজোতে।

​পাথুরিয়াঘাটার পুজো

কলকাতার সবচেয়ে বড় ঠাকুরদালান যদি দেখতে হয় তবে আপনাকে আসতেই হবে উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের খেলাট ঘোষ বাড়িতে। এখনকার প্রতিমাতেও রয়েছে বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও নবপত্রিকা বা বিসর্জনের সময় বিশেষ রীতি পালন করা হয়। আজও এখানে বাড়ির মহিলাদের হাতে তৈরি মিষ্টিই নৈবেদ্য হিসাবে দেবীর কাছে দেওয়া হয়।

​রানি রাসমণিরপুজো

মধ্য কলকাতায় অন্যতম আকর্ষণ এই রানি রাসমণির পুজো। উনিশ শতকের এই বাড়িতে আজও নিষ্ঠাভরে পুজার্চনা হয়। জানবাজারের বাড়িতেও চলে সাবেকিয়ানার পুজো। এখানে ২২ ফুটের প্রতিমার গায়ের রং হয় শিউলি ফুলের বোঁটার মতো। সরস্বতীর মুখ হয় সাদা। অসুরের মুখ সবুজ। তাই চাইলে আপনিও সামিল হতে পারেন এই পুজোতে।

সপ্তমী থেকে নবমী, এবার এসি বাসে চড়েই পুজো পরিক্রমা করার সুযোগ পাবেন আপনিও

লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রাবণী অধিকারী
"শ্রাবণী অধিকারী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় একজন সাব এডিটর হিসাবে। শ্রাবণীর ব্যতিক্রমী লেখা এবং সম্পাদনা নৈপুণ্যতার প্রকাশ পায়। সংবাদ এবং লাইফস্টাইল-সহ বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। সহজ ও মনোগ্রাহী শব্দের ব্যবহারে শ্রাবণীর লেখা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যে কোনও বিষয়কে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাঁর লেখা বহুমুখী যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। লেখার মাধ্যমে কী ভাবে পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় তা তাঁর লেখনীতে প্রকাশ পায়। শ্রাবণী গত ৩ বছর ধরে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনার লাইফস্টাইল বিভাগ পরিচালনা করে আসছেন। এই বিভাগে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ পাওয়া যায়। এই সংস্থার লাইফস্টাইল বিভাগটিতে পাঠকদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক এবং চিত্তাকর্ষক লেখনী দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। লেখার প্রতি তাঁর আবেগ প্রতিটি নিবন্ধেই স্পষ্ট, যা প্রকাশনার জন্য অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে।"... আরও পড়ুন

পরের খবর