চিতকুল, হিমাচল প্রদেশ
তিব্বতের সীমান্তবর্তী ছোট্টো গ্রাম চিতকুল। গ্রামের বাস হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায়। প্রধানত কিন্নর আদিবাসীরা এই গ্রামে বসবাস করেন। এই গ্রামের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করেন। গ্রামে আছে প্রচুর আপেল বাগান, পাহাড়ি তুষার মৃত্তিকা এবং বসপা নদী। খুব কম লোকেই এই চিতকুল গ্রামের খোঁজ রাখেন। গ্রামটি আগাগোড়া শান্তিপূর্ণ। গ্রামের বাসিন্দারা বেশ অতিথি পরায়ন। গ্রামের লোকগাঁথাগুলি বেশ জনপ্রিয়। সেই গ্রামে বেড়াতে গেলে গ্রামবাসীরা যেমন আপনাকে খোলা মনে আপ্যায়ন করবেন তেমনই গল্প শুনিয়ে আপনার মনকে ভালো করে তুলবেন। এই গ্রামেই রয়েছে ভারতের শেষ ধাবা। পর্যটকরা সেই ধাবায় খাবার ও চা খেতে সেখানে গিয়ে হাজির হন।
মোরে, মণিপুর
ভারতের অন্যতম গুরুপূর্ণ অর্থনৈতিক পথ হল মণিপুরের মোরে গ্রাম। এটি ভারত-মায়ানমার সীমান্ত অবস্থিত। শান্তশিষ্ট মোরে গ্রামে রয়েছে একাধিক কমার্শিয়াল হাব। অপূর্ব সুন্দর এই গ্রামে যে কোনও ভ্রমণপ্রেমীর একবার অন্তত ঘুরে আসা উচিত। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি রাস্তার ধারে ধারে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলিতে কেনাকাটা করতে দারুণ লাগে। এখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রা বেশ আকর্ষণীয়। কদিন সেখানে ছুটি কাটালে মনটা শান্ত হয়। মোরে গ্রাম থেকে মায়ানমারের তামু শহরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার।
ধনুশকোডি, তামিলনাড়ু
শ্রীলঙ্কা সীমান্তের শেষ শহর তামিলনাড়ুর ধনুশকোডি। এর চারধারে ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগর। ধনুশকোডি গ্রাম থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সাল নাগাদ ভয়াবহ সাইক্লোনের পর থেকে এই এলাকায় বিশেষ লোকজনের বাস নেই। যে কয়জন থাকেন তাঁরা সকলেই শান্তিপ্রিয়। শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার এবং পম্বন সেতুর সাহায্যে ভারত ভূখণ্ড যুক্ত করেছে তামিলনাড়ুর এই ধনুশকোডি গ্রামটি।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর এই মন্দিরে ৮৩ বছর ধরে চলে আসছে অদ্ভুদ এক নিয়ম, এখানে অভিষেক করা হয় লঙ্কাবাটা দিয়ে
ঝুলাঘাট, উত্তরাখণ্ড
উত্তরাখণ্ডের ঝুলাঘাট একটি প্রাকৃতিক আন্তর্জাতিক সীমান্ত দ্বারা বিভক্ত। নদী দ্বারা ঝুলাঘাট দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ভারতের ঝুলাঘাট অন্যদিকে নেপালের ঝুলাঘাট। এই দুই ঝুলাঘাটকে সংযুক্ত করেছে নদীর উপরে ঝুলন্ত সেতুটি। আর এই সেতুটিই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ঝুলাঘাট উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় অবস্থিত একটি ছোটো শহর। নদী এবং হিমালয়ের উচ্চ শিখর দ্বারা এই স্থানটি সুসজ্জিত। তীর্থযাত্রী এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছে এই স্থান অত্যন্ত জনপ্রিয়।
তুরতুক, লাদাখ
লাদাখের ছোট্টো শহর তুরতুকের গা ঘেঁষেই আছে পাকিস্তানের গিলগিট-বালুচিস্তান সীমান্ত। শহর না বলে একে গাঁ বলাই ভালো। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই তুরতুক ভারতের মানচিত্রে অন্তর্বুক্ত হয়। অথচ লাদাখের এই গ্রামে সদাই শান্তি বিরাজ করে। গ্রামবাসীরা জীবনযাপন করেন খুব সরলসিধে নিয়মে। লাদাখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তেমনই তার ছোট্টো গাঁ তুরতুকের সৌন্দর্যও অবর্ণনীয়। বিশেষ করে সূর্যাস্তের সময় গ্রামটিকে দেখতে লাগে অসাধারণ। শীতল পরিবেশে চা খেতে খেতে সূর্যাস্ত দেখার কোনও তুলনা হয় না।
আরও পড়ুন: শুধু বিদেশিদেরই নয় আমাদের দেশের এই অপূর্ব সুন্দর হ্রদটি দেখতে ভারতীয় পর্যটকদেরও ভিসা নিতে হয়