অ্যাপশহর

বিশ্বের এই ৬ জায়গায় মহিলাদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ, তালিকায় রয়েছে ভারতের ২টি স্থানও, নাম শুনলে অবাক হবেন

বিশ্বের এমন কিন্তু স্থান আছে যেখানে মহিলারা একেবারেই প্রবেশ করতে পারেন না। এর নিয়ম খুবই কড়া। অথচ প্রতি বছর এই স্থানগুলিতে হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে যান। তাই ভারত কিংবা তার বাইরে বা বলা ভালো বিশ্বের এই ছয় স্থানে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে চিন্তা ভাবনা করে নেবেন।

Produced byশ্রাবণী অধিকারী | Lipi 7 Mar 2023, 12:00 pm
৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। কিন্তু তার আগে এই লেখাটা পড়লে নারীবাদিরা অপ্রসন্ন হতে পারেন। হওয়ারই কথা। বেড়াতে গিয়ে যদি দর্শনীয় স্থানে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, মানে লিখিত বা অলিখিতভাবে জানানো হয়ে থাকে যে 'এখানে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ', তাহলে কার না রাগ হবে বলুন?
EiSamay.Com countries where female are allowed to enter
বিশ্বের এই ৬ জায়গায় মহিলাদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ, তালিকায় রয়েছে ভারতের ২টি স্থানও, নাম শুনলে অবাক হবেন

কেরলের শবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের দাবিতে মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মন্দিরে প্রবেশের অধিকার চান মহিলারা। আদালতের নির্দেশে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে এখন মহিলারাও প্রবেশ করতে পারেন তাও আবার মন্দিরের শর্ত সাপেক্ষে। কিন্তু বিশ্বের এমন কিন্তু স্থান আছে যেখানে মহিলারা একেবারেই প্রবেশ করতে পারেন না। এর নিয়ম খুবই কড়া। আর তার চেয়েও অদ্ভুত প্রবেশে নিষেধের কারণগুলি। অথচ প্রতি বছর এই স্থানগুলিতে হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে যান। তাই ভারত কিংবা তার বাইরে বা বলা ভালো বিশ্বের এই ছয় স্থানে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে চিন্তা ভাবনা করে নেবেন। (photo credit: istock.com)

ইরানি স্পোর্টস স্টেডিয়াম

ইরানের ক্রীড়া স্টেডিয়ামে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর এখানে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করাহয়। এবং সেই কারণটি খুবই অদ্ভুত। প্রকৃতপক্ষে, ইরান সরকারের বিশ্বাস যে, পুরুষদের শর্টস্ পরে খেলার দৃশ্য মহিলাদের দেখা উচিত নয়। এছাড়াও অনেক সময় পুরুষরা খেলা চলাকালীন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে মহিলারা সামনে থাকলে বিব্রত হতে হয়। (photo credit: wikimedia commons.com)

কার্তিকেয় মন্দির, পুষ্কর, রাজস্থান

রাজস্থানের পুষ্করে ভগবান কার্তিকেয় বা কার্তিককে ব্রহ্মচারী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। এই মন্দির প্রাঙ্গণে মহিলাদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মন্দিরে প্রবেশকারী নারীরা শ্রদ্ধা ভরে ভগবান কার্তিকের পুজো দিলেও তিনি নাকি তাঁদের আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ দেন। ঈশ্বরের এই অনুভূত আগ্রাসনে দেখার পর থেকেই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। (photo credit: wikimedia commons.com)

বার্নিং ট্রি ক্লাব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্নিং ট্রি ক্লাবটি একটি গল্ফ ক্লাব। ক্লাবটি তৈরি হয়েছে শখের খেলোয়ারদের জন্য। কোনও ধর্মীয় স্থান না হওয়া সত্ত্বেও এখানে একটি অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে। এখানে শুধুমাত্র পুরুষরা প্রবেশের অনুমতি পান। যেহেতু এই ক্লাবটি খুবই বিখ্যাত এবং এমনকি দেশের প্রেসিডেন্ট এবং বিচারকরাও এখানে গল্ফ খেলতে আসেন, তাই এখানে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। (photo credit: wikimedia commons.com)

মাউন্ট এথোস, গ্রিস

উত্তর গ্রিসের মাউন্ট এথোস পর্বত এবং উপদ্বীপটিতে বসবাস করেন প্রায় ২,০০০ সন্ন্যাসী। এটি সন্ন্যাসীদের মঠ। আর এই পর্বত ও উপদ্বীপটিতে ১,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহিলাদের দ্বারা নিষিদ্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র মহিলারা নন, এখানে প্রবেশ নিষেধ পশুদেরও। এর আগে একবার মহিলারা প্রতিবাদ আন্দোলন করে উপদ্বীপে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় সন্ন্যাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, মহিলাদের উপস্থিতি তাঁদের সম্প্রদায়ের সামাজিক জীবনধারা পরিবর্তন করে এবং তাঁদের আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথকে স্থবীর করে দেয়। (photo credit: wikimedia commons.com)

আয়াপ্পা মন্দির, শবরিমালা, কেরল

১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলা যাঁদের ঋতুচক্র চলছে তাঁদের কেরলের আয়াপ্পা মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ ছিল। অতীতে নাকি একবার ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন। তখন সেখানকার পুরোহিত মন্দিরে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান করেন। বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য আদালতের নির্দেশে মন্দিরে প্রবেশ অনুমতি মিলেছে। যদিও আইন যাই বলুন, বাস্তবে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশাধিকার নিয়ে ভয়ানক সমস্যা হয়ে থাকে।

ওকিনোশিমা দ্বীপ, জাপান

জাপানের ওকিনোশিমা নামে একটি সুন্দর দ্বীপ রয়েছে। UNESCO-র বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদাও পেয়েছে এই দ্বীপ। এখানে বসবাস করেন শিন্তো ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসীরা। তাঁদের নির্দেশেই এই দ্বীপে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, শুধু সন্ন্যাসীদের এলাকাই নয়, গোটা দ্বীপেই মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। (photo credit: wikimedia commons.com)

লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রাবণী অধিকারী
"শ্রাবণী অধিকারী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় একজন সাব এডিটর হিসাবে। শ্রাবণীর ব্যতিক্রমী লেখা এবং সম্পাদনা নৈপুণ্যতার প্রকাশ পায়। সংবাদ এবং লাইফস্টাইল-সহ বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। সহজ ও মনোগ্রাহী শব্দের ব্যবহারে শ্রাবণীর লেখা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যে কোনও বিষয়কে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাঁর লেখা বহুমুখী যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। লেখার মাধ্যমে কী ভাবে পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় তা তাঁর লেখনীতে প্রকাশ পায়। শ্রাবণী গত ৩ বছর ধরে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনার লাইফস্টাইল বিভাগ পরিচালনা করে আসছেন। এই বিভাগে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ পাওয়া যায়। এই সংস্থার লাইফস্টাইল বিভাগটিতে পাঠকদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক এবং চিত্তাকর্ষক লেখনী দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। লেখার প্রতি তাঁর আবেগ প্রতিটি নিবন্ধেই স্পষ্ট, যা প্রকাশনার জন্য অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে।"... আরও পড়ুন

পরের খবর