Adventure Destinations In India: হাড় কাঁপানো অ্যাডভেঞ্চার চান? তাহলে বেড়িয়ে আসুন এই জায়গাগুলি থেকে...
শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান চলছে নাকি? সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারও চাই (Adventure Destinations In India) ? সর্দি কাশির ঠান্ডা লাগার অসুখ না থাকলে এই শীতকালটা কাটিয়ে আসুন শীতের দেশে। ঠিকানা দিচ্ছে টো টো কোম্পানি।
ম্যাকলিয়ড গঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এখানে যেতে গেলে কাংরা বিমানবন্দর বা রেল স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন। শহর পায়ে হেঁটে ঘোরার মজাই আলাদা। সারা শহরজুড়েই রয়েছে ব্রিটিশ আমলের বহু নিদর্শন। সেন্ট জন চার্চ, ডাল লেক (স্থানীয়), বংশুনাথের মন্দির এবং বংশু জলপ্রপাত এখানকার দ্রষ্টব্য স্থান।
মানালি, হিমাচল প্রদেশ
ভারতের অন্যতম সেরা শৈলশহর মানালি হিমাচল প্রদেশের রাজধানী। এখানকার রাস্তাঘাট, অরণ্য, পর্বত, গাছপালা সবই অপূর্ব সুন্দর। পকেট এবং ছুটি দুটোই ভর্তি থাকলে ঘুরে আসতে পারেন মানালি। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে এখানে ফূর্তি করার আনন্দই আলাদা। মানালির অপূর্ব সুন্দর পাহাড় এবং জঙ্গলের কোনও তুলনা হয় না। পরিবার কিংবা ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এখানে এসে অনেকেই সময় কাটান। আবার বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে হইচই করে মানালিতে প্যারাগ্লাইডিং, র্যাপেলিং, রিভার রাফটিং, কোয়াড বাইকিং, ট্রেকিং, ওয়াইল্ড লাইফ স্পটিং করার মজাই আলাদা
আউলি, উত্তরাখণ্ড
শীতকালের সেরা পর্যটন ক্ষেত্রের কথা বলতে গেলে উত্তরাখণ্ডের আউলির নাম করতেই হয়। ওক গাছে ঘেরা এই স্থানে জঙ্গলগুলি অনেকটা শঙ্কু আকৃতির। আসলে জঙ্গল গড়ে উঠেছে পাহাড়ের গায়ে। আর পাহাড়ের আকারের কারণ অরণ্যের আকৃতি উপরের দিকে সরু এবং নীচের দিকে মোটা। শীতে আউলি বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। আউলি থেকে মানা পর্বত, মাউন্ট নন্দাদেবী এবং নর পর্বতের ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। আউলিতে আছে মিষ্টি জলের একটি গভীর হ্রদ। নাম ছত্রকুণ্ড। আর আছে ট্রেকিং করার সেরা জায়গা কুমারী পাস। শীতে চারদিকে শুধু বরফ আর বরফ।
মুসৌরি, উত্তরাখণ্ড
মুসৌরি এমনিতেই সুন্দরী। শীতে তাঁর রূপ যেন আর খোলসা হয়ে যায়। প্রধানত গরম এবং শীতকালেই এখানেই পর্যটকরা ভিড় জমান। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁরা শীতকালে যেতেই পারেন। এই সময় পাহাড়গুলিতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া আর কেউ জানেন না। অবকাশ যাপনের জন্য এটি আদর্শ স্থান। কিংবা হোটেলের বারান্দায় বসে কফিতে চুমুক দিতে দিতে প্রকৃতির শোভা দেখার আনন্দই আলাদা। এছাড়া বেড়াতে যেতে পারেন নহাতা এস্টেট, গানহিল, কেম্পটি জলপ্রপাত মিস্ট (কুয়াশা) হ্রদ, মুসৌরি হ্রদ, ভট্ট জলপ্রপাত, ঝরিপানি জলপ্রপাত, নাগ দেবতার মন্দির, জ্বালাদেবী মন্দির (বেনোগ পর্বত), বেনোগ অভয়ারণ্য। বেনোগ অভয়ারণ্যে আছে একটি প্রাচীন দেবদারু গাছ এবং পাইন গাছের সারি। প্রচুর ওষধি গাছের চাষ হয় এখানে। তাই এখানে রয়েছে একটি আঞ্চলিক গবেষণার কেন্দ্র। অভয়ারণ্যটিতে রয়েছে হোয়াইট ক্যাপ্ড ওয়াটার রেডস্টার্ট, রেড বিল্ড ব্লু ম্যাগপাই, চিতা, হরিণ, ভাল্লুক এবং হিমালয়ান ছাগল।
পেলিং, সিকিম
শীতকালে পেলিং ঘোরার মজাই আলাদা। বিশেষ করে বড়দিনের সময় পেলিং-এর সৌন্দর্য্যই আলাদা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে পেলিং যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যায়। পেলিং থেকে কাঞ্জনজঙ্ঘার সৌন্দর্য্য অসাধারণ। কাঞ্চনজঙ্ঘা জলপ্রপাত, খেচিপেরি হ্রদ, সিংসোর সেতু ঘুরে আসুন। পেলিং থেকেই ঘুরে আসতে পারেন ইয়ংথামে। পাহাড়ি গ্রামবাসীদের সঙ্গে সময় কাটাতে দারুণ লাগবে। একদিন ঘুরে আসুন পেলিং স্কাইওয়াক থেকে। পর্যটকদের জন্য সিকিমের দরজা বেশকিছু দিন হল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
নরকন্দা, হিমাচল প্রদেশ
ফার, ওক, ম্যাপল, পপলার, হ্যাজেলনাট ইত্যাদি পাহাড়িয়া গাছে ঘেরা নরকন্দা একটি ছোট্টো গ্রাম। এটি সিমলার একটি অংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নরকন্দার আবহাওয়া অপূর্ব সুন্দর। কিন্তু শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির থেকে অনেকটাই নেমে যায়। মানে শীতে এখানে বরফ আর বরফ। পর্যটকরা সেখানে কমই যান। তাই নিরিবিলিতে ভালোই সময় কাটবে।