করোনা-লকডাউনে বিয়ের নিমন্ত্রিতের তালিকায় কাটছাঁট? কিছু পরামর্শ...

বর্তমানের কঠিন করোনা পরিস্থি ইচ্ছে না হলেও আপনাকে মেনে নিতে হবে। বিয়েটা সবাই চান রূপকথার মতো হোক। আলো, ফুল, অতিথি সমাগম, সবার সঙ্গে দেখা। কিন্তু এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা কার্যত অসম্ভব। সবার ভালোর জন্যই যা যা করা দরকার তাই করুন। অত্যধিক অতিথিকে যেমন আমন্ত্রণ জানাবেন না তেমনই কেউ যেন কোনও উপহার বা ফুল না আনেন তাও উল্লেখ করে দিন। উপহার থেকে যে করোনা ছড়াবে না এমন কোনও কথা নেই।

করোনার এই পরিস্থিতে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না। জনসমাগম এড়িয়ে চলছেন। এমনকী আমন্ত্রণ জানালেও সরাসরি না বলে দিচ্ছেন। তাই আুনার ডাকে সবাই সাড়া দেবেন না, এটা ধরেই প্রস্তুতি নিন। বরং এই মহামারী শেষে আবার সকলের সঙ্গে দেখা হবে এটাই ধরে নিন।

বিয়ের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমন্ত্রণ পত্র বিলি করুন। তাহলে আপনার একটা ধারণা হয়ে যাবে যে কে আসবেন আর কে আসবেন না। যেহেতু এখন পুরোটাই প্লেট সিস্টেমে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কিছুটা পয়সা বাঁচবে। খাবারও নষ্ট হবে না।

কার্ডে আপনার ফোন নং, ইমেল সবই উল্লেখ করে দিন। এছাড়াও করোনার কারণে আপনি যে ইচ্ছে থাকলেও সকলকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছেন না সেকথা ফোন বা মেসেজে জানিয়ে দিন। সবার শুভেচ্ছা আর্শীবাদেই শুরু হোক নতুন পথ চলা।

একদম নিকট আত্মীয়-বন্ধু ছাড়া কাউকে আমন্ত্রণ জানাবেন না। যাঁদের না ডাকলেই নয়, এমন লোকজনকে ডাকুন। আপনার জীবনের এি বিশেষ দিনের সাক্ষী থাক অনেকেই, আপনি হয়তো তাই চান। কিন্তু এই পরিস্থিতি আপনাকে মেনে নিতেই হবে। আপনার যে বন্ধুকে ডাকলেন না তাঁকেও বুঝতে হবে বিষয়টা। দূর সম্পর্কের আত্মীয়, অফিসের সহকর্মী, দূরের বন্ধুদের বাদ রাখুন এই তালিকা থেকে।