কথায় কথায় সম্পর্কের বাঁধন

দীর্ঘ দাম্পত্য বা সদ্য গড়ে ওঠা সম্পর্ক, যাই হোক না কেন, এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, মনে হয়ে কথা বলার কোনও বিষয়ই আর অবশিষ্ট নেই৷ অথচ কথা বলার ইচ্ছে যে নেই তা নয়৷ নতুন করে কথা জোগানোর পরামর্শ দিল ‘অন্য সময়’

দাম্পত্য জীবনে মাঝেমাঝে এমন একটা সময় আছে, যখন আর কথা বলার তেমন কোনও বিষয় থাকে না৷ নিছক সাংসারিক কথা অবশ্য এর মধ্যে ধরা হচ্ছে না৷ একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘ সহাবস্থানের ফলে দুজনের সম্পর্কের মাঝে জমে অভ্যাসের পলিমাটি৷ স্বাভাবিক ভাবেই তখন কথা কমে আসে৷ আবার যখন নতুন কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন দুপক্ষেরই কিছু আড়ষ্টতা থাকে৷ কোন কথা দিয়ে শুরু করবেন সেটা ভাবতে ভাবতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়৷ সম্পর্ক নতুন হোক বা পুরনো কিছু কিছু বিষয় আছে, যা নিয়ে যখন তখন কথা বলা যেতে পারে৷ বারবার এই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷ একঘেয়েমির ভয় পাবেন না৷ বরং দেখবেন এক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেও, প্রতিবারই একে অপরকে নতুনভাবে আবিষ্কার করছেন৷

১ পরস্পরের সঙ্গে সপ্তাহের শেষে পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে সময় কাটাবেন, একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করুন৷ এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে কোনও দিনই উত্‍সাহের কমতি হওয়ার কথা নয়৷ ছুটি কাটাতে সবাই ভালোবাসে৷ তাই ছুটির প্ল্যান করতে ভালো তো লাগবেই৷ বিশেষ করে যদি পাশে স্পেশ্যাল মানুষটি থাকেন৷ এর ফলে শুধু নতুন সম্পর্কেই নয়, পুরনো দাম্পত্য সম্পর্কে নতুন করে রোম্যান্টিক সম্পর্কের ছোঁয়া লাগবে৷

২ পরস্পরকে কমপ্লিমেন্ট দিন৷ যতবারই কমপ্লিমেন্ট দেন না কেন, ততবারই কিন্তু নতুন করে ভালো লাগা তৈরি হতে বাধ্য৷ কমপ্লিমেন্ট কিন্তু ছোট ছোট বিষয় নিয়েও দেওয়া যায়|৷ রান্নার প্রশংসা হতে পারে৷ ব্যক্তিত্বের প্রশংসা হতে পারে৷ এবং কমপ্লিমেন্টের মাধ্যমেই সেই বিষয় নিয়ে দু’জনে কথা শুরু করতে পারেন৷ মনে রাখবেন কমপ্লিমেন্ট হল এমন একটা বিষয় যা প্রতিবার আপনার সম্পর্ককে তাজা করে তোলে৷

৩ আপনি যে আপনার সঙ্গীর জন্য কেয়ার করেন, সেটা তাঁকে বুঝতে দিন৷ তাই অফিসে ঠিক মতো লাঞ্চ হল কিনা, বা কোনও ওষুধ খাওয়ার থাকলে তা সময় মতো খেয়েছেন কিনা, এই ছোটছোট বিষয়ে খোঁজ নিন৷ এর ফলে দুজনে দুজনের কাজ নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, দুজনের মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরি হবে৷ আবার একটা ফিল গুড ফ্যাক্টরও কাজ করবে৷

৪ একে অপরের কাজ নিয়ে আলোচনা করুন৷ হালকা মেজাজে চা খেতে খেতে অফিসের প্রজেক্ট নিয়ে গল্প করুন৷ বা নিজের কাজ নিয়ে আগামী পরিকল্পনার কথা শেয়ার করতে পারেন৷ এর ফলে একে অপরের কাজের জীবন নিয়ে একটা ধারণা থাকবে৷

৫ নিজেদের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে আলোচনা করুন৷ পছন্দের বই, সিনেমা, গান শোনা, প্রিয় খাবার, পছন্দের বেড়ানোর জায়গা, হবি এই ধরনের বিষয়গুলো কখনোই পুরনো হয় না৷ কখন তখন এসব বিষয় নিয়ে আড্ডা মারা যেতে পারে৷ শুধু কথা বলার ইচ্ছা খুঁজে নিতে হবে৷