তাই পুজোর আগে পার্লরে এর জন্যে ভিড়ও হয় বেশ ভালোই। পার্লরে এই হেয়ার স্ট্রেটনিংয়ের (Hair Straightening)জন্য বেশ কিছু অফারও দেওয়া হয়। এই বছরও হয়তো আমাদের মধ্য়ে অনেকেই হেয়ার স্ট্রেটনিং করাবেন। অনেকের মধ্য়েই এই ইচ্ছেটা আছে।
কিছু টাকা বেশি খরচ হলেও হেয়ার স্ট্রেটনিং করিয়েই নিই আমরা। যাই হোক, চুল স্ট্রেটনিং করানো হয়ে গেলেই আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। তারপরেও চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর তা যদি না করতে পারেন, তাহলে দুদিনেই চুলের বারোটা বাজবে। এখন জেনে নিন, হেয়ার স্ট্রেটনিং করালে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া(Hair Straightening Side Effects) কী হতে পারে?
অতিরিক্ত চুল পড়া
পার্মানেন্ট হেয়ার স্ট্রেটনিং করার পিছনে কিছু কঠিন বাস্তবও আছে। কারণ, হেয়ার স্ট্রেটনিং করালেই আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এরপর সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। যদি সেই হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে না চলতে পারেন, তাহলে কিন্তু দুঃখের শেষ থাকবে না।
চুলের বারোটা বাজতে খুব বেশি সময় লাগবে না। যদি খারাপ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এবং সঠিক পদ্ধতিতে হেয়ার স্ট্রেটনিং না করা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই চুল খারাপ হয়ে যেতে পারে।
হট আয়রন ব্যবহার করার ফলে আপনার চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠতে পারে। আগের অবস্থায় চুল ফিরে পেতে প্রচুর সময় লেগে যায়।
হতে পারে এই ক্ষতিও!
চুল স্ট্রেটনিং করার সময়ে বিশেষ কিছু ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যা আপনার চুলের ক্ষতি করে। এমনকী আপনার স্ক্যাল্পে চুলকানির মতো সমস্যাও হয়। এছাড়া খুশকির সমস্যাও বাড়তে পারে আপনার। কারণ, আপনার স্ক্যাল্পে ইতিমধ্য়েই প্রাকৃতিক তেল আছে।
এরপর তার উপর প্রভাব পড়লে স্ক্যাল্পে চুলকানি হতেই পারে। স্ক্যাল্পে ইনফেকশনও হতে পারে আপনার। তাই হেয়ার স্ট্রেটনিং করানোর পরে অনেক মহিলাই এই স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সমস্যায় ভোগেন। তাই আপনিও যদি এরকম সমস্যায় পড়েন, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এই সমস্যা হয় অনেকের
আপনার চুল পার্মানেন্ট স্ট্রেটনিং করানোর পর নিজের আসল টেক্সচার হারিয়ে ফেলে। একবার চুল স্ট্রেটনিং করিয়ে নিলেই তার আসল চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। তখন হাজার চাইলেও আর আগের চুল ফিরে পাবেন না আপনি। এবং ধীরে ধীরে যখন চুল বাড়তে শুরু করে, তখন আপনার লুকেও তার প্রভাব পড়ে। সব মিলিয়ে খুবই খারাপ দেখায়। চাইলেও পুরনো টেক্সচার ফিরে পাওয়া যায় না তখন।
চুল রুক্ষ হয়ে যায়
যদি সঠিক ভাবে চুলের যত্ন না নিতে পারেন, তাহলে চুল রুক্ষ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না আপনার। সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতেই হবে।
কারণ, পার্মানেন্ট হেয়ার স্ট্রেটনিং করার পর চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বেশি। তার কারণ, আপনার চুলে হট আয়রন ব্যবহার করার পরেই তা ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। এমনকী আপনার স্ক্যাল্পও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, কোনও কেমিক্যাল যেন সরাসরি চুলের গোড়ায় ব্যবহার না করা হয়। এই কেমিক্যাল আপনার চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাকে ডিহাইড্রেট করে দিতে পারে। আপনার চুল যদি ইতিমধ্য়েই শুষ্ক প্রকৃতির হয় তাহলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
আপনাকে কী কী করতে হবে?
- আপনার হেয়ার এক্সপার্টকে ব্র্যান্ডেড বা হাই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে বলুন।
- ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে চুলের নিয়মিত যত্ন করুন। যাতে চুল ভালো থাকে।
- চুলে নিয়মিত তেল মাসাজ করুন। যাতে আপনার স্ক্যাল্প ডিহাইড্রেটেড না হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত গরম জল ভুলেও চুলে ব্যবহার করবেন না। সাধারণ জলেই চুল ধোবেন।
- প্রতিদিন চুল ধোবেন না। এতে কিন্তু আপনার স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে পারে। এবং আপনার স্ক্যাল্প অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধরণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ওষুধ ও চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
আরও পড়ুন: মুখের জেল্লা ফিরবে রাতারাতি, পুজোয় আপনার দিকেই তাকাবেন সবাই! সপ্তাহে শুধু ১ বার লাগান এই ফেসপ্যাক
আরও পড়ুন: দামি ক্রিমের পিছনে এত খরচ করছেন কেন? মায়েদের এই টোটকাতেই কাচের মতো চকচকে ত্বক পান মাত্র ৭ দিনে