অ্যাপশহর

রোজ রোজ দাড়ি কাটলে ত্বকের ক্ষতি হয় কি? সত্যিটা জানলে চোখ কপালে উঠবে বৈকি!

নিয়মিত দাড়ি কাটলে সত্যি কি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়, নাকি পুরোটাই গুজব? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছি আমরা। আর এই কাজ করতে গিয়ে যা জানা গেল, তা তো চমকপ্রদ!

Authored byনয়ন মুন্সী | EiSamay.Com 6 Jun 2023, 2:52 pm
EiSamay.Com benefits of shaving your face everyday
রোজ রোজ দাড়ি কাটলে ত্বকের ক্ষতি হয় কি? সত্যিটা জানলে চোখ কপালে উঠবে বৈকি!
ট্রেন্ডে যদি গা ভাসিয়ে থাকেন, তাহলে একগাল দাড়ি আর সুলতানি গোঁফে তা দিচ্ছেন নিশ্চয়ই! এখন দাড়িই ফ্যাশনে 'ইন'।তাই তো রবীন্দ্র জাদেজা থেকে বিরাট কোহলি হয়ে ধনি, হালে রণবীর কাপুরও ঘন দাড়িতে মুখ ঢেকেছেন নিজের। এইসব দেখে কে আর 'মাকুন্দ' তাকমা গায়ে সাঁটতে চায় বলুন!

এখন প্রশ্ন হল, 'ফিয়ার অব মিসিং আউট'এর জেরে দাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়লেও তাতে ত্বকের কোনও উপকার হচ্ছে কি? এই উত্তরের সন্ধান পাওয়া না গেলেও একথা প্রমাণ হয়ে গেছে যে নিয়মিত দাড়ি কাটলে ত্বকের হাল ফেরে বৈকি! বিশেষ করে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে দাড়ি ওড়ালে এক নয়, একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন… (ছবি: istock)

মৃত কোষের স্তর সরে গিয়ে ফিরবে হারিয়ে যাওয়া জেল্লা

শেভিং-এর সময় যে শুধু দাড়ি কাটা হয়, তা কিন্তু নয়! দাড়ির পাশাপাশি ত্বকের উপর জমতে থাকা মৃত কোষের স্তরও সরে যায়। ফলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরে আসতে সময় লাগে না। তাছাড়া দাড়ি কাটার পরে আফটার শেভের ছোঁয়ায় গালে এবং মনে যে ঠান্ডা হওয়া খেলে যায়, তার আরাম ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা এমন এক অনুভূতি, যা বড়ই সুখকর। তাই তো মাঝে মধ্যে ত্বক ব্লেডের ছোঁয়া পেলে কোনও ক্ষতি তো হবেই না, বরং উপকার মিলবে হাতেনাতে!

ত্বকের স্বাস্থ্য ফিরবে

শুনলে অবাক হবেন, নিয়মিত দাড়ি কাটলে ত্বক ভিতর থেকে নিজের ক্ষত সাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে ত্বকের যতটা মেলানিনের প্রয়োজন, ঠিক ততটাই উৎপাদন হয়। ফলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক জেল্লাও ফিরে আসে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে দিন পাঁচেক শেভিং করলে ত্বকে অতিরিক্ত তেলের ক্ষরণ হয় না। ফলে ব্রণয় মুখ ভরে যাওযার আশঙ্কা কমে।

​অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না

ঘন ঘন দাড়ি কাটলে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যায়। ফলে মেলানিন এবং কেরাটিনের উৎপাদন ঠিক মতো হয়, যে কারণে অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। প্রসঙ্গত, শেভিং করার সময় যে ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা হয়, তা ত্বকের অন্দরে পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এই কারণেও ত্বক টানটান থাকে এবং অসময়ে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা কমে।

'শেভিং' নিয়ে কিছু 'মিথ'

১. 'বারবার দাড়ি কাটলে দাড়ি ঘন হয়':



এটা একটা ভুল ধারণা। দাড়ির রং এবং তা ঘন হবে না পাতলা, সেটা নির্ভর করে জিনের উপর। কে কতবার দাড়ি কাটছে তার সঙ্গে এই বিষয়গুলির কোনও সম্পর্ক নেই বললেই চলে।

২. 'ক্লিন শেভের জন্য চেপে দাড়ি কাটতে হয়'

এই ধরণার সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ নই। এই কাজ করলে আলাদা করে কোনও উপকার মিলবে কিনা জানা নেই, তবে গাল কেটে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। কারণ চেপে দাড়ি কাটলে গালের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়বে। ফলে ব্লেডের চাপে গালের ইতিউতি কেটে যেতেই পারে। তাই ব্লেড ধারালো হলে ভুলেও চেপে দাড়ি কাটবেন না। আলতো হাতে দাড়ি কাটলেও 'ক্লিন শেভ' সম্ভব।

৩. 'অন্যের রেজার ব্যবহার করা যেতেই পারে'

ভুলেও এই কাজ করবেন না! অন্যের রেজার ব্যবহারের সময় কেটে গেলে সেখান থেকে ইনফেকশন হতে পারে। এমনকী কোনও সংক্রামক রোগও ছড়িয়ে পড়তে পারে এক থেকে অন্যের শরীরে। এমনকী মেয়েদের রেজারও ব্যবহার করা চলবে না। মনে রাখবেন, মেয়েদের জন্য তৈরি রেজারের কাজ আলাদা, আর পুরুষদের রেজার অন্য দায়িত্ব পালন করে। তাই ভুলেও স্ত্রীর বা গার্লফ্রেন্ডের রেজারে হাত দেবেন না।

৪. 'শেভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার না করলেও চলবে'

এই ধারণা এক্কেবারে ভুল। শেভিং ক্রিম বা জেল না লাগিয়ে কখনও দাড়ি কাটবেন না। কারণ এই ধরনের ক্রিম এবং জেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ফলে দাড়ি কাটার সময় ত্বকের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে গিয়ে নানান ধরনের ত্বকের রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য লেখা, এটি কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
নয়ন মুন্সী
"সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার হাত ধরে। তারপর প্রিন্ট এবং ওয়েব মিডিয়াতেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন নয়ন। দীর্ঘ ১২ বছরের কর্মজীবনে মূলত 'স্বাস্থ্য' সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়েই লেখালেখি করেছেন। এছাড়া 'ট্রাভেল' সাংবাদিক হিসেবেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলার প্রথমসারির এক সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হিসেবে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে গিয়ে সেখানকার ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার যেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে, তেমনই সিকিম-ভুটান এবং আন্দামান- নিকোবর দ্বীপের সৌন্দর্য এবং স্থানীয় মানুষদের জীবনশৈলি 'শব্দ' এবং 'লেন্স'এর সাহায্যে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি তিনি। লেখালেখির পাশাপাশি এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসেন। সেই সঙ্গে ছবি তোলার শখও রয়েছে। সুযোগ পেলেই ল্যান্সের চোখ দিয়ে কখনও পাহাড়ের বিশালতা, আবার কখনও শহর কলকাতার অলিগলির আলো-ছায়া ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। লেখা আর ছবি, এই দুইয়ের সাহায্যেই আজও পাঠকদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নয়ন। আপনারা যাঁরা শরীর নিয়ে সচেতন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন পড়তে ভালবাসেন, তাঁরা হয়তো এবার জেনে গিয়েছেন কোথায় আসতে হবে। কারণ আজও, নিত্যদিন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যমূলক প্রতিবেদন লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লেখক, যা আশাকরি আপনার এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজে আসবে।"... আরও পড়ুন

পরের খবর