অ্যাপশহর

Not Allowed To Cut Hair: চুল কাটলেই কঠিন শাস্তি! এই ধর্মের মেয়েদের যা যা নিয়ম মেনে চলতে হয়, শুনলে আঁতকে উঠবেন

Amish Women Hair Rules: নিজের ইচ্ছেয় চুল কাটতে পারেন না আমিশ মহিলারা। এই সম্প্রদায়ের মহিলাদের আরও অনেক কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয়। এমন নিয়ম মানতে হয় যে, আপনি শুনে অবাক হতে পারেন। পড়ুন বিস্তারিত।

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 13 Oct 2022, 11:47 am
‘নিজের শরীর, নিজের অধিকার’...এই বার্তা যখন সারা বিশ্বে আগুনের ফুলকির মতো ছড়িয়ে পড়ছে, ঠিক একই সময়ে এই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে যে, বাস্তবে তার প্রভাব কত গভীর? সত্যিই কি মহিলারা নিজের মর্জিতে ও ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? নিজের পছন্দমতো পোশাক বেছে নেওয়া থেকে শুরু করে নিজের ইচ্ছেয় চুল কাটার সিদ্ধান্ত(Hair Cut) , কোনটা করতে সক্ষম তাঁরা? কী কী নিয়ম আজও মেনে চলতে হয় তাঁদের।
EiSamay.Com amish women are not allowed to cut their hair by own choice 5 things need to know
Not Allowed To Cut Hair: চুল কাটলেই কঠিন শাস্তি! এই ধর্মের মেয়েদের যা যা নিয়ম মেনে চলতে হয়, শুনলে আঁতকে উঠবেন


নানা ধর্মে নানারকম নিয়ম আছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোনও কোনও পরিবারে শিশুর জন্মের পর একটা নির্দিষ্ট সময়ে তার চুল কেটে ফেলা হয়। সেরকমই অন্যান্য ধর্মেও রয়েছে এরকম বিশেষ নিয়ম। যেমন, এমন একটি ধর্মও রয়েছে, যে ধর্মের মহিলারা নিজের ইচ্ছেমতো তাঁদের চুল কাটতে পারেন না(Not Allowed To Cut Hair)। এমনকী শরীরের কোনও অংশের লোমও তুলতে পারেন না তাঁরা। আপনি এই কথা শুনে অবাক হতেই পারেন, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে ঠিক এই নিয়মই মেনে আসছেন সেই ধর্মের মহিলারা(Amish Women)।

সময় এগিয়েছে, কিন্তু সেই সম্প্রদায়ের এই অভ্যাসে কোনও পরিবর্তন আসেনি। অ্যানাব্যাপটিজম খ্রিস্টান চার্চের সঙ্গে যুক্ত আমিশ সম্প্রদায়ের মহিলারা(Amish Women Rules) এই নিয়ম মেনে চলেন। তাই এই আধুনিক যুগেও তাঁদের জীবনধারণের এই নিয়মে কোনও পরিবর্তন আসেনি। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্যে- istock)

চুল কাটা লজ্জাজনক মনে করা হয়

আমিশ সম্প্রদায়ের মহিলারা তাঁদের চুলের বিষয়ে বাইবেলের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করেন। এই অনুসারে, তাঁদের চুল কাটার অনুমতি নেই। এর পাশাপাশি মহিলাদের চুল বেঁধে রাখতে হয়।

কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। তিনি কেবল ঘরের ভিতরেই চুল খুলতে পারেন। নারীরা চুল কাটলে তা বেশ লজ্জাজনক বলে মনে করা হয়।

ওয়্যাক্সিংয়ের(Waxing) কী নিয়ম

এই নিয়মের অধীনে মহিলাদের শেভ করারও অনুমতি নেই। অর্থাৎ তাঁরা তাঁদের শরীরের লোম ইচ্ছেমতো তুলতে পারে না। হাত-পা ঢেকে রাখার জন্য, আমিশ মহিলারা এক বিশেষ ধরনের পোশাক পরেন। তাঁরা প্রায়ই ফুল স্লিভ পোশাক পরেন। তাঁদের পোশাকের ঝুল প্রায় পা পর্যন্ত হয়। এর পাশাপাশি, তাঁরা পায়ে গাঢ় রঙের মোজা পরেন।

চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে কী নিয়ম মেনে চলেন

চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই । অর্থাৎ তাঁরা যে কোনওভাবেই নিজেদের চুল ধুতে পারেন। চুলে শ্যাম্পু করতে পারেন। তার জন্য তাঁদের আলাদা করে কোনও নিয়ম মেনে চলতে হয় না। কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তাঁরা? সেজন্যও বাঁধাধরা কোনও নিয়ম নেই। বাজারচলতি যে কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন তাঁরা। অন্যান্য় মহিলা যেসব শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তাঁরাও একই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকেন।

রোদে প্লাস্টিকের মতো পুড়ে গেল ২৫ বছরের মেয়ের মুখ! কী ভাবে? জানালেন চিকিৎসক

শেভ করলে শাস্তি!

যেহেতু মহিলাদের তাঁদের আন্ডারআর্মস শেভ করার অনুমতি নেই, তাই তাঁদের বগলে ঘাম হয় বেশি। এতে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেতে পারে। সে জন্য তাঁরা নানা ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। এই সুগন্ধি ব্যবহারে কোনওরকম বাধ্যবাধকতা নেই।

কোনও বাধাও দেওয়া হয় না। তাঁদের সুগন্ধি ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁরা চাইলে এই সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এই সুগন্ধি ব্যবহারের পরিবর্তে যদি তাঁরা আন্ডার আর্ম ওয়্যাক্স করে থাকেন, তাহলে খুব বড় শাস্তি হতে পারে। এরকম নিয়মই চাপিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের উপর।

এই কথাও সত্যি

এই সমস্ত নিয়মই খুব কড়া। যা সেই সম্প্রদায়ের নারীদের মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। চুল কাটতে দেওয়া হয় না। সব সময় মাথা ঢেকে রাখতে হয়। ঢাকা পোশাকও পরতে হয়। কিন্তু এই নিয়মে এখন সামান্য হলেও শিথিলতা এসেছে। এই ধর্মের অনুসারী ধর্মের কিছু অংশে আমিশ নারীদের শেভিং সংক্রান্ত ছাড় রয়েছে। অন্যদিকে, কারও যদি চুল যদি খুব ঘন হয়, তবে তাঁকে চুল পাতলা করার চিরুনি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। যাতে মাথার ভার কিছুটা হালকা হতে পারে।

নাকের হাড় ভাঙা থেকে চোখ কাটা! 'সুন্দর' হতে কোরিয়ানরা যা যা করেন, শুনলে আঁতকে উঠবেন

চোখের পলকেই লম্বা হবে আপনার চুল, কোনও খরচ নেই, শুধু এই ঘরোয়া প্যাক সপ্তাহে ১ দিন মাথায় লাগান!

প্রবন্ধটি হিন্দিতে পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

ডিসক্লেইমার: প্রবন্ধে উল্লেখ করা সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে পাওয়া গিয়েছে। 'এই সময় ডিজিটাল' এর সত্যতা যাচাই করেনি।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর