আসলে ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে আপনি বেশ কিছু ভুল করে ফেলেন। তার জন্যেই বারোটা বাজে আপনার ত্বকের(Skin Care Routine)। জেনে নিন কোন কোন ভুলের কারণে সুন্দর মুখের বারোটা বাজছে… (ছবি - istock)
ফেস মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন?
বড় ভুল আর কিছু হতে পারে না। আপনার সুন্দর মুখের ক্ষতি করার জন্য এই ভুলটিই যথেষ্ট। ভুলেও এই কাজটি করবেন না। শুধুই ক্লে মাস্ক নয়, অন্যান্য যেসব মাস্ক আমরা মুখে ব্যবহার করে থাকি, তার উপরেও একই জিনিস প্রযোজ্য। কারণ প্রত্যেকটি ফেসমাস্কের জন্য়েই একটি নির্দিষ্ট সময় আগে থেকেই নির্ধারিত করা থাকে।
ফেস মাস্ক ব্যবহার করার আগে তার ডেসক্রিপশন দেখে নিন। ঠিক কতটা সময় পর্যন্ত ফেস মাস্ক মুখে রাখা প্রয়োজন, সেখানেই উল্লেখ করা থাকবে। অনেকেই মনে করেন, মুখে মাস্ক না শুকনো পর্যন্ত রেখে দিতে হবে। কিন্তু এই কাজ করবেন না। ১০-১৫ মিনিটের বেশি কোনও মাস্কই মুখে রাখা উচিত নয়।
মুখ ধোওয়ার সময় এই ভুল করছেন
এশিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে যখন এই ডবল ক্লিনজিং বিষয়টি ইন্ট্রোডিউস হল, তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এই ডবল ক্লিনজিং বছরের পর বছর ধরেই ট্রেন্ডিং। কিন্তু এই ডবল ক্লিনজিং বিষয়টি ঠিক কীরকম? আসলে আমাদের প্রত্যেকের ত্বকেই প্রয়োজন ডবল ক্লিনজিং।
বিশেষ করে রাতে অবশ্য়ই ডবল ক্লিনজিং করা প্রয়োজন। কেন? সারাদিন আপনার ত্বকে ময়লা জমে। মেকআপ থাকে। তাই প্রথমে অয়েল বেসড ক্লিন করতে হবে।
এরপর ওয়াটার বেসড ফেসওয়াশ মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে আপনার মুখ ড্রাই হয়ে যাবে না। এটা অবশ্যই মেনে চলুন।
ব্রণ সারাতে যে যা বলে তাই করেন!
কেন করেন? সবার ব্রণ হওয়ার কারণও এক নয়। নানা জনের নানা কারণে ব্রণ হতে পারে। কারও ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হওয়ার কারণে তাঁদের মুখে ব্রণ হয় বেশি। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকায় ব্রণ হতে পারে।
প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কারণ আছে। তাই আপনার মুখে কেন ব্রণ হচ্ছে, তা ঠিক করে না বুঝে যে যা বলছে, তাই মেনে চলবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
CTM রুটিন মেনে চলছেন?
ত্বকের যত্ন নেওয়ার একদম প্রাথমিক বিষয়ই হল এটি। কিন্তু এই নিয়মই যদি আপনি মেনে চলতে না পারেন, তাহলে ত্বকের বারোটা বাজতে বেশি সময় তো লাগবে না। CTM অর্থাৎ ক্লিনজিং টোনিং ময়শ্চারাইজিং। তাই মুখ পরিষ্কার করার পর অবশ্যই মুখে টোনার লাগাতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য টোনার খুবই উপযোগী। এটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়। আপনার ত্বকের পিএইচ-র ভারসাম্য বজায় থাকে। ত্বকের নানা সমস্যাই সমাধান করতে পারে টোনার।
কারণ পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হলেই ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। একটি তুলোর প্যাড নিন। তাতে টোনার নিয়ে ভালো ভাবে ত্বকে লাগিয়ে নিন। তবে ত্বকে ঘষবেন না। গোলাপ জলও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার ত্বকের ধরন কী?
নিজের ত্বকের ধরন কী, তা বোঝা খুবই প্রয়োজন। মানে আপনার ত্বকের ধরন তৈলাক্ত প্রকৃতির নাকি শুষ্ক প্রকৃতির তা আগে থাকতেই আপনাকে বুঝতে হবে। নাহলে সবার কথা মতো যা ইচ্ছে তাই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে মুখের অবস্থা আরও খারাপ করে ফেলছেন।
এটি করবেন না। আগে বুঝুন আপনার মুখ তৈলাক্ত প্রকৃতির নাকি শুষ্ক প্রকৃতির নাকি আপার কম্বিনেশন ত্বক, সেই অনুযায়ী প্রোডাক্ট বেছে নিন। সংবেদনশীল ত্বক হলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নিজের ত্বককে ভালোবাসলেই তা ভালো থাকবে। নাহলে সমস্যার অন্ত থাকবে না।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, এটি কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার অঙ্গ নয় আরও বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
আরও পড়ুন: পাকা চুল হবে উধাও! মাত্র ১ সপ্তাহে কুচকুচে কালো চুল ফিরিয়ে দিতে এই ফুল একাই একশো!
আরও পড়ুন: মুখে কোনও দাগছোপ থাকবে না, জেল্লা হবে দেখার মতো! সস্তার এই উপাদান ব্যবহার করেই দেখুন…