জল যেন কোনও ভাবেই কোথাও না জমে থাকে
জমা জলেই মশা ডিম পাড়ে। এ কথা ছোট বেলায় জীবন বিজ্ঞান বইয়ে কে না পড়েনি। তবু যাঁরা জল জমিয়ে রাখেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই জানানো, বাড়ির বাথরুম, চৌবাচ্চায় জল বেশি দিন জমিয়ে রাখা একেবারেই উচিত নয়। এমনকি যাঁদের চৌবাচ্চা, গামলা, বালতিতে জল তুলে রাখতেই হয়, তারা নিয়মিত সেই জল ব্যবহার করুন। জল ফেলে পরিষ্কার জল ভরুন। তা হলে মশা ডিম পাড়বে না সেই জলে।
মশার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন
ইতিমধ্যেই মশা জন্মে গেলে ভরসা রাখতে পারেন মশার স্প্রের ওপরে। পুরসভা থেকে অনেক সময়েই বাড়ি বাড়ি এসে মশার ওষুধ স্প্রে করে দিয়ে যায়। এতে মশা মরে যায়। কিন্তু যে সব জায়গায় সেই সুবিধে নেই, সেখানে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে মশার স্প্রে কিনে ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, স্প্রে কনটেনারের গায়ে যে সতর্কতা লেখা আছে, তা যেন অবশ্যই মেনে চলা হয়। কারও যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে, তিনি যেন এই স্প্রে করার সময়ে কাছে না আসেন। তবে স্প্রে করার পরে অন্তত তিন ঘণ্টা সেই এলাকায় না থাকা ভাল।
মশার ট্র্যাপ ব্যবহার করতে পারেন
মশা মারতে বাড়ির চারপাশে ইলেকট্রিক ইনসেক্ট ট্র্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুবই কাজের। তবে এই ট্র্যাপ থেকে নিজেদেরও সাবধানে থাকতে হবে। অনেকে অনেক সময়ে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটও ব্যবহার করেন। তবে ব্যবহার করার সময়ে খেয়াল রাখবেন তা থেকে যেন ইলেকট্রিক শক না লাগে। বহু বাড়ির জানালা মশারির নেট দিয়ে মুড়ে রাখার বন্দোবস্ত করা থাকে। সেই ব্যবস্থাও মন্দ নয়।
মশা মারতে ভরসা থাকুক প্রাকৃতিক উপাদানের ওপরেও
মশা মারার দাওয়াই হিসেবে কোনও বাড়তে কর্পূর, কোথাও রসুন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে কফির গুঁড়ো, ল্যাভেন্ডারের তেল, প্যদিনা পাতাও বেশ উল্লেখযোগ্য। মশা মারার জন্য একটি বাটিতে কর্পূর নিয়ে সেটি জ্বালিয়ে দিন। দরজা ও জানালা বন্ধ সেই ঘরে জ্বলন্ত কর্পূরের বাটটা রেখে দিন। এ বার আধ ঘণ্টা পরে গিয়ে দেখবেন, সেই ঘরে একটাও মশা নেই।
মশা বিনাশকারী গাছ লাগাতে পারেন
মশা মারার জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করা হলেও তা মোটেও সকলের জন্য ভাল নয়। সে ক্ষেত্রে মশা বিনাশকারী গাছ লাগাতে পারেন। এর জন্য যে ঘরে মসকিউটো রেপেল্যান্ট গাছ থাকবে, সেখানে আলাদা করে স্প্রে করারও দরকার পড়বে না। এর জন্য বেছে নিতে পারেন সিন্ত্রোনেল্লা, লেমন বাম, গাঁদা, বেসিল বা তুলদি, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি ইত্যাদি গাছ। মশা কামড়ালে এই ধরনের গাছের পাতা ঘষে তার রস গায়ে লাগালেও আরাম পাওয়া যায় তৎক্ষণাৎ।
মশা থেকে বাঁচার উপায় বের করতে হয় নিজেকেই। সামান্য সচেতন আর সতর্ক থাকলে মশার জন্ম কমবে। তার পাশাপাশি স্বাভাবিক ভাবেই কমবে মশার উপদ্রবও।