এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পছন্দের সুরে মন ভালো হয়। গানের ধরণ অনুযায়ী কখনও শান্ত হয় তো কখনও চনমনে হয়। কিন্তু সে যে আবার অসুখবিসুখও সারাতে পারে, সে কথাও মানেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের মতে, তেমন ভাবে শোনাতে পারলে হতাশার রোগী ভুলে যেতে পারেন তাঁর কষ্টের কথা, ব্যথা–বেদনায় ভারাক্রান্ত মানুষ সাময়িক ভাবে হলেও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারেন৷ অনিদ্রার রোগীর চোখে নেমে আসতে পারে শান্তির ঘুম৷ স্ট্রেস–টেনশনে জেরবার মানুষ খুঁজে পেতে পারেন তাঁর সমস্যার হাল! বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের এক বিশেষ নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনের নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের শারীরিক ও মানসিক কষ্ট অনেকটাই কমে। মিউজিক থেরাপি গবেষণায় এটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলে দাবি প্রোফেসর ফ্যাকনারের। মিউজিক থেরাপির বিশেষজ্ঞদের মতে সুরের জাদুতে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের বাড়বাড়ন্তকে আটকে দেওয়া যায়। মনে করুন যখন আপনার শরীর খারাপ লাগছে সেই সময় জোরে গান বাজানো হয় তখন আপনার শরীরে বিপরীত প্রভাব তৈরি করবে। অজানা, উচ্চস্বরে এবং অপ্রীতিকর গান আরামের পরিবর্তে, এটি আপনাকে বিরক্ত করবে। ধীর এবং প্রশান্তি সঙ্গীত শুনলে আপনি স্বস্তি এবং সতেজ বোধ করবেন।
সংগীত আমাদের জন্য অনিবার্যভাবে উপকারী হতে পারে যদি আমরা কেবল জানি যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের সঙ্গীত শোনা উচিত। সঙ্গীত যেমন শুধু বিনোদনের উৎস নয়, তেমনি আমাদের শরীর ও হৃদয়ের জন্যও ভালো।
ভারতবর্ষ, মিশর, চিন, গ্রিস আর রোমে সভ্যতার শুরুতে সুরের সাহায্যে অসুখ সারানো হত। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বহু দিন তা ধামাচাপা পড়ে ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে চিকিৎসকেরা আহত সৈন্যদের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে মৃদু লয়ের গান-বাজনা ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য ফল পান। গান বাজনা দিয়ে চিকিৎসার সূত্রপাত তখন থেকেই। সৈন্যদের কষ্ট লাঘব হওয়ার সময় থেকেই একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানী সমীক্ষা শুরু করে তা লিপিবদ্ধ করা শুরু করেন। দেখা যায়, শরীর ও মন— দুইয়ের কষ্ট কমাতেই সুরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। বস্টনের বার্কলে কলেজ অফ মিউজিকের অধ্যাপক সুজান হ্যানসার সুর-চিকিৎসার সাহায্যে শরীর ও মনের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, সুন্দর সুর শুনলে ডোপামিন নামে নিউরোট্রান্সমিটারের নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে কষ্ট কমাতে সাহায্য করে। মিউজিক থেরাপির সাহায্যে রোগীর নাড়ির গতি (পালস রেট), হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের হার অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। তবে এটাও ঠিক যে, মিউজিক থেরাপি কোনও স্বয়ংসম্পূর্ণ চিকিৎসা নয়, সহায়ক চিকিৎসা মাত্র। মিউজিকের মাধ্যামে কী কী সুফল পাওয়া যায়-
সংগীত আমাদের জন্য অনিবার্যভাবে উপকারী হতে পারে যদি আমরা কেবল জানি যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের সঙ্গীত শোনা উচিত। সঙ্গীত যেমন শুধু বিনোদনের উৎস নয়, তেমনি আমাদের শরীর ও হৃদয়ের জন্যও ভালো।
ভারতবর্ষ, মিশর, চিন, গ্রিস আর রোমে সভ্যতার শুরুতে সুরের সাহায্যে অসুখ সারানো হত। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বহু দিন তা ধামাচাপা পড়ে ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে চিকিৎসকেরা আহত সৈন্যদের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে মৃদু লয়ের গান-বাজনা ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য ফল পান। গান বাজনা দিয়ে চিকিৎসার সূত্রপাত তখন থেকেই। সৈন্যদের কষ্ট লাঘব হওয়ার সময় থেকেই একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানী সমীক্ষা শুরু করে তা লিপিবদ্ধ করা শুরু করেন। দেখা যায়, শরীর ও মন— দুইয়ের কষ্ট কমাতেই সুরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। বস্টনের বার্কলে কলেজ অফ মিউজিকের অধ্যাপক সুজান হ্যানসার সুর-চিকিৎসার সাহায্যে শরীর ও মনের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, সুন্দর সুর শুনলে ডোপামিন নামে নিউরোট্রান্সমিটারের নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে কষ্ট কমাতে সাহায্য করে। মিউজিক থেরাপির সাহায্যে রোগীর নাড়ির গতি (পালস রেট), হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের হার অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। তবে এটাও ঠিক যে, মিউজিক থেরাপি কোনও স্বয়ংসম্পূর্ণ চিকিৎসা নয়, সহায়ক চিকিৎসা মাত্র। মিউজিকের মাধ্যামে কী কী সুফল পাওয়া যায়-
- নির্দিষ্ট কিছু সুর শোনালে রোগীর উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ কমে মন শান্ত হয়।
- শ্বাসপ্রশ্বাস ক্রমশ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
- রক্তচাপ কমে।
- হৃদপিণ্ডের অতিরিক্ত স্পন্দন কমতে শুরু করে।
- পেশির কাঠিন্য ও ব্যথার উপশম হয়।
- মন-মেজাজের তিরিক্ষি ভাব চলে গিয়ে মন শান্ত হয়।
- মাথার যন্ত্রণা, বুকে অস্বস্তি কমে।
- ডোপামিন নিঃসরণ হয় বলে ভাল ঘুম হয়।
- শারীরিক অস্বস্তি ও কষ্টের বোধ কমে যায়।
- হজমের অসুবিধা ও পেটের সমস্যা চলে যায়।
- রাগ চলে গিয়ে মন ভালো থাকে।
- ডিপ্রেশন ও অকারণ মন খারাপের হাত থেকে রেহাই মেলে।