আসলে করোনা নিজেকে দ্রুত বদলে নিতে পারে। এবার এই বদলে যাওয়ার কারণেই এই ভাইরাস (Coronavirus) অনেক সমস্যা তৈরি করে ফেলতে পারে মানুষের মধ্যে। আসলে ভাবুন আপনার একবার করোনা হল। এবার সেই কারণে ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটা ইমিউনিটি তৈরি হল ঠিকই। তবে সেই ভাইরাস এই অবস্থায় আর আর থাকল না। নিজেকে বদলে ফেলল। এবার তার বদল ঘটল স্পাইক প্রোটিনে। ফলে ফের একবার মানুষের শরীরে এই ভাইরাস আক্রমণ করলে সমস্যা দেখা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে ইমিউনিটিকে ফাঁকি দিয়ে ফের হচ্ছে সংক্রমণ। তাই মানুষ বহুবার এই রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী করোনার চতুর্থ ঢেউতেই (Covid 4th Wave) এই ধরনের রোগীই বেশি থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে কয়েনের উলটো পিঠও রয়েছে। কিছু মানুষ এতগুলি ঢেউয়ের মধ্যেও কিন্তু আক্রান্ত হননি। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে নেওয়া যাক।
কারণ কী?
কোভিডের তিনটি ঢেউতে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী বহু মানুষ বারংবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অপরদিকে এমনকিছু মানুষও রয়ে গিয়েছেন যাঁরা কোনওভাবেই আক্রান্ত হননি এই রোগে। এবার এই মানুষগুলির সঙ্গে কেন করোনা পেরে ওঠেনি, এটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এনারা কেউ যে সুপার হিউম্যান নন, তা পরিষ্কার। এক্ষেত্রে মানুষগুলির অদ্ভুত শক্তির বিষয়টি লুকিয়ে আছে তাঁদের শরীরের মধ্যেই। বিজ্ঞান এখন শুধু সেই দিকটা নিয়ে ভেবে চলেছেন।
একটা তত্ত্ব
নতুন একটি তত্ত্ব বলছে, এই মানুষগুলি নিজেরা ছিলেন অত্যন্ত সচেতন। তাঁরা মাস্ক পরেছেন, সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছেন, ভিড়ে যাননি। তাই অতিমারীর আঘাত থেকে বেঁচেছেন। যদিও বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। কারণ এখন উঠে গিয়েছে সব বিধিনিষেধ। মানুষ বাইরে বেরিয়েছেন। তাঁরা বাজার করেছন, কাজে গিয়েছেন, এমনকী ঘুরতেও গিয়েছেন। তাহলে কী ভাবে সুরক্ষিত থাকা হল সম্ভব? এই প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে অনেকের মনে। এটা ভাবার বিষয়।
টিকাই কি বাঁচিয়ে রাখছে?
এই প্রশ্নও কিন্তু উঠেছে বারবার। আসলে দেখা গিয়েছে যে হাসপাতালে কাজ করার পরও বহু মানুষের করোনা হয়নি। এবার এখানেই অনেকে বলতে শুরু করেছেন যে টিকার (Vaccine) জন্যই হয়তো এই কাজটা সম্ভব হচ্ছে। এটা অনেক ক্ষেত্রে যে হতে পারে, এটা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তবে টিকা নিলে যে এই রোগ হবে না, এমনটা কিন্তু নয়। কারণ বহু ক্ষেত্রে টিক নেওয়ার পরও সমস্যা হয়েছে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
অনেকে বোঝেননি
আসলে করোনা হলেই যে সকলের শরীরে লক্ষণ বেরবে, এমনটা কিন্তু নয়। বহু মানুষের শরীরেই এই রোগের কোনও লক্ষণ বের হয় না। তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন যে কোনও সমস্যাই দেখা যায়নি। তবে এরপরও শরীরেই হয়তো লুকিয়ে আছে সমস্যা। তাই এই এনারও নিজেদের ভাবতে পারেন যে কোনওদিনও করোনা হয়নি।
গবেষণা বলছে
পরিশেষে গবেষণা বলছে যে, কোভিড ১৯ কিন্তু প্রথম করোনাভাইরাস নয়। এর আগেও বহু করোনাভাইরাস সমস্যা তৈরি করেছিল। যেমন এসেছে সার্স ও মার্স। এছাড়া সাধারণ সর্দি-কাশিও হয়েছে এই করোনাভাইরাসের জন্য। এবার এই ভাইরাসে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেরই কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে একটা ইমিউনিটি কাজ করেছে। ফলে তাঁরা এই রোগটিতে আক্রান্ত হননি। এটাও একটা বড় কারণ হলেও হতে পারে।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন