What Makes Raw Honey Different From Regular Honey, Know Its Benefits
উপকার অনেক তাই খান, কাঁচা মধু আর সাধারণ মধুর তফাত জানেন তো?
মৌমাছির তৈরি মৌচাকে যে মধু থাকে, সেটিই কাঁচা মধু বা 'র হানি'। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত হয় গরম করে।
EiSamay.Com13 Jul 2020, 5:54 pm
বিভিন্ন ধরনের মধু রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এনজাইম এবং পুষ্টি উপাদান যার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। ইতিহাস জুড়ে মধু ওষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে কাজ করে, গলা ব্যথা প্রশমিত করতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের মধুর স্বাদ, রং এবং সঠিক পুষ্টি নির্ভর করে মৌমাছিগুলি কোথা থেকে এগুলো সংগ্রহ করে।
সাধারণ মধুর তুলনায় কাঁচা মধুর স্বাদ বেশি। সাদা মধুর উৎপাদন ফুলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফায়ারওয়েড এবং সাদা ক্লোভার নাম সত্ত্বেও, সাদা মধু হুবহু সাদা নয়। তবে এটি ঐতিহ্যবাহী মধুর চেয়ে হালকা রঙের। কিয়াওয়ে মধু নামে সাদা মধুর আরও একটি রূপ রয়েছে, যা বিরল। এটি হাওয়াইয়ের কিয়াও গাছ থেকে এসেছে। এই মধু তরল হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। এই সাদা কিয়াওয়ে মধু যেটা কাঁচা মধু হিসেবে বিক্রি হয়।
মৌচাক থেকে সরাসরি কাঁচা মধু আসে। এতে কোনও তাপ না দিয়ে প্যাক করা, বিক্রি এবং খাওয়া হয়। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত হয় গরম করে। মধু গরম করা হয় তার রং, গঠন উন্নত করতে। তবে গরম করার ফলে কিছু উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ব্যাকটেরিয়াও মরে যায়। আপনি যদি কাঁচা মধু খেতে চান তবে এর জন্য স্থানীয় সংগ্রহকারীর কাছে যেতে হবে। কোনও মুদি দোকানে গেলে পাবেন না।
.
কাঁচা মধু আর সাধারণ মধুর তফাত জানেন তো?
বিভিন্ন ধরনের মধু রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এনজাইম এবং পুষ্টি উপাদান যার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। ইতিহাস জুড়ে মধু ওষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে কাজ করে, গলা ব্যথা প্রশমিত করতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের মধুর স্বাদ, রং এবং সঠিক পুষ্টি নির্ভর করে মৌমাছিগুলি কোথা থেকে এগুলো সংগ্রহ করে।
সাধারণ মধুর তুলনায় কাঁচা মধুর স্বাদ বেশি। সাদা মধুর উৎপাদন ফুলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফায়ারওয়েড এবং সাদা ক্লোভার নাম সত্ত্বেও, সাদা মধু হুবহু সাদা নয়। তবে এটি ঐতিহ্যবাহী মধুর চেয়ে হালকা রঙের। কিয়াওয়ে মধু নামে সাদা মধুর আরও একটি রূপ রয়েছে, যা বিরল। এটি হাওয়াইয়ের কিয়াও গাছ থেকে এসেছে। এই মধু তরল হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। এই সাদা কিয়াওয়ে মধু যেটা কাঁচা মধু হিসেবে বিক্রি হয়।
মৌচাক থেকে সরাসরি কাঁচা মধু আসে। এতে কোনও তাপ না দিয়ে প্যাক করা, বিক্রি এবং খাওয়া হয়। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত হয় গরম করে। মধু গরম করা হয় তার রং, গঠন উন্নত করতে। তবে গরম করার ফলে কিছু উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ব্যাকটেরিয়াও মরে যায়। আপনি যদি কাঁচা মধু খেতে চান তবে এর জন্য স্থানীয় সংগ্রহকারীর কাছে যেতে হবে। কোনও মুদি দোকানে গেলে পাবেন না।
কাঁচা মধু কী?
মৌমাছির তৈরি মৌচাকে যে মধু থাকে, সেটিই কাঁচা মধু বা 'র হানি'। এটি সংগ্রহ করে পাতলা সুতি বা নাইলন কাপড়ে ছেঁকে মোম বা মৃত মৌমাছি আলাদা করা হয়। বাজারে বোতলে যে প্রক্রিয়াজাত মধু পাওয়া যায় তাকে 'রেগুলার হানি' বলা হয়। এগুলো ফিল্টার করা হয়। পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে উচ্চ তাপে মধুতে থাকাছত্রাক মেরে ফেলা হয়। এতে মধু দীর্ঘদিন টেকে এবং এর স্বাদ আরোও উপভোগ্য হয়। এরপর ফিল্টারাইজেশন পদ্ধতিতে ময়লা বা বুদ্বুদ দূর হয়। আবার বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত কিছু মধুতে আরও উন্নত আলট্রাফিকেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এসব প্রক্রিয়া আরোপিত হলে মধু থেকে কিছু স্বাস্থ্যকর পরাগরেণু, পাচকরস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চলে যায়।
কাঁচা মধু বনাম সাধারণ মধু
এই দুই মধুর মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে দুটির গুণগত মান ভিন্ন। কাঁচা মধুতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পুরোপুরি মেলে। সাধারণত মধুতে ২২ ধরনের অ্যামিনো এসিড, ৩১টি ভিন্ন ধরনের খনিজ এবং অনেক ধরনের ভিটামিন ও পাচকরস থাকে। এই মধুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এতে ৩০ ধরনের জৈব যৌগ থাকে। এদের বলা হয় পলিফেনোল এবং তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধ-সহ কয়েক ক্যানসার, হৃদরোগ ও প্রদাহের ঝুঁকি কমায় কাঁচা মধু। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত হওয়ার সময় বাণিজ্যিক মধুতে এসব পুষ্টি উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি থাকে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই কাঁচা মধুতে প্রক্রিয়াজাত মধু অপেক্ষা ৪.৩ গুন বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
কাঁচা মধুর ঝুঁকি
কাঁচা মধুতে জীবাণু থেকে যায় অনেক সময়। ফলে এতে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। এটি অনেক সময় বিষাক্ত হতে পারে, যা থেকে মারাত্মক অসুস্থতা হতে পারে। এক বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কোনও প্রকারের কাঁচা মধু দেওয়া উচিত নয় এবং বয়স্কদেরও এটি এড়ানো উচিত। পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি না থাকলেও এই মধুতে ঝুঁকি রয়েছে। এতে থাকতে পারে ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম নামক ব্যাকটেরিয়া। বিশেষ করে শিশুদের জন্যে তা বেশি ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও তাই। কাঁচা মধু খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
সর্দি-কাশি-ত্বক-চুলের উপকার
কাশি কমানোর জন্য মধুর গুণ অনেক। এমনিতেই চিরকাল কাশি কমাতে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কাঁচা মধু খাওয়ানো হয়। এতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান সহজেই কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে হলুদ, আদা ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দারুণ কাজে লাগে। এটি গ্রিন টি বা লিকার চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। সৌন্দর্যের গোপন রহস্যেও মধুর অনেক প্রভাব রয়েছে। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে চুল ও ত্বক ভালো হয়। চুলের গুণমান বৃদ্ধিতে দারুণ উপকারী কাঁচা মধু।
ওজন কমানো ও ক্ষত সারানো
মধুতে থাকে জীবাণুনাশক উপাদান, যা কোথাও কেটে গেলে লাগাতে সহজেই সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। সংক্রামণ কমিয়ে ফেলে। মাংসপেশি কেটে গেলে সেখানে নতুন করে মাংস তৈরিতে সাহায্য় করে মধু। এছাড়া ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দারুণ উপকারী মধু। রোজ সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু জল খেলে শরীরের বিষ বেরিয়ে যায় এবং ওজন কমে। তবে সেটি হালকা গরম জলে খেতে হবে।
Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
We use cookies and other tracking technologies to provide services in line with the preferences you reveal while browsing the Website to show personalize content and targeted ads, analyze site traffic, and understand where our audience is coming from in order to improve your browsing experience on our Website. By continuing to browse this Website, you consent to the use of these cookies. If you wish to object such processing, please read the instructions described in our privacy policy/cookie policy.