এই সময় জীবন যাপন ডেস্ক: করোনার কাঁটা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত অনেকেই ভারসা রাখছেন আয়ুর্বেদের ওপরে। এখনও বাজারে আসেনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এই অসুখের নির্দিষ্ট করে কোনও ওষুধও নেই এখনও। তাই ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই বারবার করে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ইমিউনিটি বাড়ানোরই বড় হাতিয়ার হতে পারে কাড়া। এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। যেখানে আয়ুশ ক্বাথের উল্লেখ রয়েছে। আরও সহজ করে বলতে গেলে একে আয়ুর্বেদিক কাড়া বা পাচন বলা চলে। মাত্র দু’মিনিট খরচ করে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যায় এই ক্বাথ। শিখে নিন এর সহজ রেসিপি।
সসপ্যানে এক গ্লাস জল ঢেলে সেটি জ্বলন্ত গ্যাসের ওপরে বসিয়ে দিন। সেটি গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলে ৮-১০টা তুলসী পাতা দিয়ে দিন। এর পর হাফ চামক শুকনো আদা এর মধ্যে দিয়ে দিন। এর মধ্যে হাফ চামচ দারুচিনি দিয়ে দিন। তারপর দিন দুই চিমটে গোলমরিচ। ইচ্ছে হলে চার-পাঁচটি কিসমিস দিতে পারেন। এবার সসপ্যানটি একটি পাত্র দিয়ে চাপা দিয়ে দিন। এভাবেই দু-তিন মিনিট রাখুন। ছাঁকনি দিয়ে যেভাবে চা ছাঁকে সেভাবে ছেঁকে ক্বাথটি কাপে ঢেলে নিন। এবার স্বাদ অনুসারে তাতে লেবু চিপে দিন অথবা এক টুকরো গুড় মিশিয়ে দিন। চাইলে দুটো একসঙ্গেও মেশাতে পারেন।
‘হার্ড ইমিউনিটি’র নামে বিধি না মানা বোকামি
এবার জেনে নেওয়া যাক এই কাড়ার উপকারিতা।
* নিয়মিত কাড়া খেলে প্রদাহ কম হয় বলে ক্রনিক অসুখের আশঙ্কা ও প্রকোপ কমে। ডায়াবিটিস, হাই প্রেসার-কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস সবই আছে এই তালিকায়। করোনা রোগীর অবস্থা খারাপ হয় প্রদাহের কারণেই। ফলে রোগ ঠেকানোর ও সারানোর যাবতীয় নিয়ম মানার পাশাপাশি নিয়মিত কাড়া খেলে বিপদের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
* আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ কাড়া জীবাণু নাশ করে। ফলে নিয়মিত খেলে সংক্রমণের আশঙ্কা ও প্রকোপ কম থাকে।
* আদা ও তুলসিপাতা থাকে বলে কাশির জন্যও কাড়া উপকারী।
তবে উপকারী বলেই যত ইচ্ছে কাড়া পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাড়ার অন্যতম উপকরণ আদায় আছে জিঞ্জেরল, তার গুণেই এত উপকার। তবে প্রচুর খেলে অম্বল, ডায়ারিয়া, মুখে-গলায়-পেটে অস্বস্তি হতে পারে। বুক ধড়ফড় করতে পারে।
এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।
সসপ্যানে এক গ্লাস জল ঢেলে সেটি জ্বলন্ত গ্যাসের ওপরে বসিয়ে দিন। সেটি গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলে ৮-১০টা তুলসী পাতা দিয়ে দিন। এর পর হাফ চামক শুকনো আদা এর মধ্যে দিয়ে দিন। এর মধ্যে হাফ চামচ দারুচিনি দিয়ে দিন। তারপর দিন দুই চিমটে গোলমরিচ। ইচ্ছে হলে চার-পাঁচটি কিসমিস দিতে পারেন। এবার সসপ্যানটি একটি পাত্র দিয়ে চাপা দিয়ে দিন। এভাবেই দু-তিন মিনিট রাখুন। ছাঁকনি দিয়ে যেভাবে চা ছাঁকে সেভাবে ছেঁকে ক্বাথটি কাপে ঢেলে নিন। এবার স্বাদ অনুসারে তাতে লেবু চিপে দিন অথবা এক টুকরো গুড় মিশিয়ে দিন। চাইলে দুটো একসঙ্গেও মেশাতে পারেন।
‘হার্ড ইমিউনিটি’র নামে বিধি না মানা বোকামি
এবার জেনে নেওয়া যাক এই কাড়ার উপকারিতা।
* নিয়মিত কাড়া খেলে প্রদাহ কম হয় বলে ক্রনিক অসুখের আশঙ্কা ও প্রকোপ কমে। ডায়াবিটিস, হাই প্রেসার-কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস সবই আছে এই তালিকায়। করোনা রোগীর অবস্থা খারাপ হয় প্রদাহের কারণেই। ফলে রোগ ঠেকানোর ও সারানোর যাবতীয় নিয়ম মানার পাশাপাশি নিয়মিত কাড়া খেলে বিপদের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
* আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ কাড়া জীবাণু নাশ করে। ফলে নিয়মিত খেলে সংক্রমণের আশঙ্কা ও প্রকোপ কম থাকে।
* আদা ও তুলসিপাতা থাকে বলে কাশির জন্যও কাড়া উপকারী।
তবে উপকারী বলেই যত ইচ্ছে কাড়া পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাড়ার অন্যতম উপকরণ আদায় আছে জিঞ্জেরল, তার গুণেই এত উপকার। তবে প্রচুর খেলে অম্বল, ডায়ারিয়া, মুখে-গলায়-পেটে অস্বস্তি হতে পারে। বুক ধড়ফড় করতে পারে।
এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।