অ্যাপশহর

High Blood Pressure: হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের কাছে বিষের মতো এই খাবার! জানাচ্ছেন চিকিৎসক

High Blood Pressure Foods to Avoid: ব্লাড প্রেশারের সমস্যা এখন বেড়েছে। এই রোগটিকে ঠিক সময়ে বাগে না আনতে পারলে কিডনি (Kidney), চোখ (Eye), হার্ট (Heart) সহ শরীরের অনেক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থায় রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিজ, ফাস্টফুড থেকে দূরে থাকতে হবে।

Authored byসায়ন নস্কর | EiSamay.Com 1 Jul 2022, 2:16 pm
প্রেশার একটি গুরুতর রোগ। এই রোগে এখন অনেক মানুষ আক্রান্ত। তবে মুশকিল হল, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ বুঝতেও পারেন না যে সমস্যা হচ্ছে। তাই রোগ অনেক ক্ষেত্রেই জানা যায় না।
EiSamay.Com these foods are bad for high blood pressure patients know from doctor rudrajit pal
High Blood Pressure: হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের কাছে বিষের মতো এই খাবার! জানাচ্ছেন চিকিৎসক


আসলে ব্লাড প্রেশার (Blood Pressure) নিয়ে অনেক কথা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ জানেন না যে এই রোগটা আদৌ কি সমস্যা! আসলে আমাদের শরীরে রক্তনালীর অন্দর হতে রক্ত প্রবাহিত হয়। এবার রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্তনালীর অন্দরের দেওয়ালে যে চাপ তৈরি হয়, তার নাম হল ব্লাড প্রেশার। এবার প্রতিটি মানুষের ব্লাড প্রেশার রয়েছে। তবে এর বেশি কম হলে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

হাই ব্লাড প্রেশার (High Blood Pressure) সম্পর্কে কলকাতার আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, অনেক সমস্যাই দেখা দেওয়া সম্ভব। আসলে এক্ষেত্রে আমাদের দুই ধরনের প্রেশার রয়েছে। প্রথমত রয়েছে সিস্টোলিক প্রেশার। এটাকে সাধারণ মানুষ উপরের প্রেশার বলেন। অপরদিকে রয়েছে ডায়াস্টোলিক প্রেশার। এটাকে সাধারণ মানুষ নীচের প্রেশার বলেন। এবার সিস্টোলিক প্রেশার ১৩০-এর বেশি বা ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৮০-এর বেশি হলেই বলা যেতে পারে হাই প্রেশার বা হাইপারটেনশন (Hypertension)। এবার এই দু’টি একসঙ্গে বেশি না থাকলেও চলবে, বরং একটি বেশি থাকলেই হাই প্রেশার বলা যায়।

প্রেশার বেশি থাকলে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease), চোখের সমস্যা (Eye Disease), স্ট্রোক (Stroke) সহ শরীরের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভব। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই রোগটি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এবার প্রেশার থাকলে এই খাবারগুলির থেকে কিছুটা দূরত্ব রাখতে হবে (High Blood Pressure Foods to Avoid)।

​নুন

প্রেশার রোগীদের কাছে নুন (Salt) হল খুবই খারাপ একটি খাবার। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নুন খেলে প্রেশার অনেকটাই বাড়তে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই নুন খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই সমস্যা থেকে বাঁচা সম্ভব। এক্ষেত্রে নুন খেলে কিডনি নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। এবার এই কাজ না করতে পারার কারণে প্রেশার বাড়তে পারে।

​চিজ

ডা: পালের কথায়, চিজ (Cheese) এখন অনেক খাবারেই ব্যবহার হয়। এবার এই খাবারেও কিন্তু অনেক সমস্যা রয়েছে। আসলে এই খাবার হল স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পাহাড়। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে কিছু চিজে নুন মেশানো থাকে। যা খাওয়া কিন্তু একবারেই চলবে না। তাই এ খাবারটা থেকেও যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। নইলে সমস্যা বাড়বে।

​ফ্রোজেন ফুড

এখনকার দিনে ফ্রোজেন ফুডের (Frozen Food) চল খুব বেড়েছে। এক্ষেত্রে এই খাবার খুব সহজেই এবং দ্রুত রান্না করা যায়। এবার তাই ব্যস্ত মানুষের কাছে এই খাবার হয়ে উঠেছে বিরাট এক মুশকিল আসান। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। তবেই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। অন্যথায় সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকটাই।

​ফাস্টফুড ও সোয়াসস

এক্ষেত্রে ফাস্টফুড (Fast Food) খাওয়া মানুষের সংখ্যাও অনেকটাই বেশি। আসলে এই সুস্বাদু খাবার মুখে তোলার ইচ্ছে প্রতিটি মানুষেরই থাকে। তবে এই খাবার খেলেই তো আর হল না। সেক্ষেত্রে ফাস্টফুড থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ফাস্টফুডে যেমন রয়েছে নুনের আধিক্য, তেমনই এর তেলও কিন্তু খারাপ। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই ফাস্টফুড থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।

এছাড়া সোয়াসস (Soya Sauce) এখন অনেকেই খেয়ে থাকেন। বিশ্বাস করুন, এই সসে থাকে অনেকটা পরিমাণে নুন। তাই সসও বেশি খাওয়া ভালো নয়। বরং সুস্থ থাকতে চাইলে এই সস থেকে দূরে থাকুন।

তবে এই রোগ থাকলে অনেকেই ওষুধ খেতে চান না। যদিও ওষুধ না খেলে এই সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না। এমনকী সারা জীবন খেতে হবে প্রেশারের ওষুধ, এমনটাই জানালেন ডা:পাল।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
সায়ন নস্কর
"সায়ন নস্কর ৬ বছর কাজ করছেন মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রিতে। পাঠকের মনোগ্রাহী প্রতিবেদন তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পেশ করেন। সায়ন প্রিন্ট মিডিয়াতে নিজের কাজ শুরু করেন। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার বিষয়ে তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এই কয়েক বছরে তিনি মূলত হেলথ ও রিলেশনশিপ বিভাগে কাজ করেছেন। এই দুই বিভাগেই তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করেন। সায়ন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ ৬ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছেন। হেলথ ও ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন লেখেন। তিনি সহজ সরল ভাষায় বাস্তবসম্মত লেখনিতে বিশ্বাসী। তাঁর লেখা সহজেই বোধগম্য হয়। সম্পর্ক বা রিলেশনশিপ বিভাগে তিনি ১.৪ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময়কালেই তিনি এই বিভাগের প্রতিবেদন লেখনিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সম্পর্ক বিষয়ক নানা টিপস তাঁর কাছ থেকে পাঠকেরা পেয়ে থাকেন। কাজের বাইরেও সায়ন পড়তে ও লিখতে ভীষণই পছন্দ করেন। এমনকী আউটডোর গেমস খেলাতেও পারদর্শী তিনি। আর ফাঁকা সময়ে ফিল্ম দেখে সময় কাটান। বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণই তাঁর লেখনির মূল অস্ত্র। তাঁর লেখায় তথ্যের পাশাপাশি বিনোদনের ঝলকও দেখতে পাওয়া যায়। "... আরও পড়ুন

পরের খবর