অ্যাপশহর

হেভিওয়েট থেকে টোনড ফিগার, কীভাবে এত স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হলেন নীতা আম্বানি? জানুন গোপন রহস্য..

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকে নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে।কয়েক বছর আগে মুকেশ-নীতা আম্বানির ছেলে অনন্ত ওজন কমিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও কীভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন?

EiSamay.Com 24 Jan 2021, 10:33 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নীতা আম্বানির ফিটনেস সিক্রেট জানার জন্য সকলেই আগ্রহী। বিজনেস টাইকুন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী, নিজেও সফল ব্যবসায়ী, সঙ্গে তিন সন্তানের মা নীতা আম্বানি অনেকের কাছেই একজন অনুপ্রেরণা।
EiSamay.Com nita ambani
নীতা আম্বানি


রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকে নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তার জীবনযাপন থেকে সৌন্দর্য সব বিষয়ে জানার জন্য কৌতুহলী আমজনতা। তার চোখধাঁধানো আড়ম্বরপূর্ণ জীবন, চমকে দেয় বারেবারে। কয়েক বছর আগে মুকেশ-নীতা আম্বানির ছেলে অনন্ত ওজন কমিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। একইভাবে ওজন কমিয়েছেন নীতা আম্বানি নিজেও। সম্প্রতি আবারও লাইমলাইটে উঠে এসেছে নীতা-র নাম। আগে তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৯০ কেজি। কীভাবে এত স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হলেন নীতা আম্বানি, ৫৭ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও কীভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন? সেখানেই লুকিয়ে আসল ম্যাজিক। জেনে নিন নীতা আম্বানির ফিটনেস সিক্রেট।

বেশ কিছু বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে নীতা বলেছিলেন, যে তিনি যখন বিবাহিত ছিলেন তখন তার ওজন ছিল ৪৭ কেজি। তারপর তিন সন্তানের মা হওয়ার পরই ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯০ কেজি। তার এই স্লিম চেহারায় পিছনে রয়েছে তাক ছোট ছেলে। যার উৎসাহে তিনি নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। নীতা আম্বানি জানান, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে, যে খাবারই খান তা স্বাস্থ্যের উপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলে। তাই তিনি বেশি করে ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ খেতে শুরু করেন। কোনও ফ্যাড ডায়েট খাবারের চেয়ে বাড়ির খাবার পছন্দ করেন বলেও জানান নীতা। ডায়েট ছাড়াও নিয়মিত নাচ তাঁকে ফিট থাকতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছেন নীতা আম্বানি।

শুধু উপকারিতা নয়, রসুনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও আপনার অবশ্যই জানা উচিত!

বিটের রস ওজন হ্রাসের গোপন বিষয়
বিট পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। আমাদের দেশে বিট সহজেই প্রতিটি বাজারে পাওয়া যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে নীতা আম্বানির ওজন কমাতে বিটরুট প্রচুর সহায়তা করেছে। ওটা কমাতে প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস বিট্রুট রস পান করেন নীতা আম্বানি। বিটের রস কেবল শরীরকেই ডিটক্স করে না, পেট পরিষ্কার রাখার জন্যও কাজ করে। এটিতে কোনও ফ্যাট নেই এবং ক্যালোরিগুলিও খুব ছোট। যার কারণে এটি ওজন কমাতে খুব সহায়ক। দিনের শুরুতে বাদাম ও আখরোট খেয়ে দিন শুরু করেন নীতা। সকালের ব্রেকফাস্টে কুসুম বাদে ডিমের সাদা অংশটা অমলেট খান। দুপুরে সবুজ শাক-সবজি, স্যুপ খান। সন্ধেবেবেলায় পনির বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। এবং রাতের ডিনারে সবুজ শাকসবজি, স্যুপ কিংবা স্পাউট থাকে তাঁর মিলে।

নাচ
শুধু ওয়ার্কআউটই নয়, ক্যালোরি কমানোর জন্য নাচও করেন নীতা। নাচের পরে ৩০ মিনিট ওয়ার্কআউট করেন এবং সন্ধ্যাবেলায় যোগব্যায়াম করেন। ওজন কমানোর বিষয়ে নীতা আম্বানি জানান, ''আসলে সন্তান যা করে, মাও তাই করে। অনন্ত যখন ডায়েট করছিল, তখন ও অনেক কিছুই খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তখন আমিও ওর সঙ্গে ডায়েট করেছিলাম। নীতা আম্বানির কথায়, 'ডায়েটে থাকাকালীন অনন্ত যা কিছু খেত, আমিও তাই খেতাম। ও যখন হাঁটতে যেত, আমিও যেতাম। ও যখন শরীরচর্চা করত আমিও করতাম। ওই আমার অনুপ্রেরণা, ওর মত করে সবকিছু করতে গিয়ে আমারও ওজন কমে। যদিও আমরা এখনও স্থুলতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছি'।

পলিসিস্টিক ওভারি নিয়ে ভয়? অসুখ এড়াবেন কোন পথে? পড়ুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ...

ছেলে মাকে কীভাবে সাহায্য করেছিল
নীতা আম্বানি ইতিমধ্যে তার পুত্র অনন্ত আম্বানির ওজন হ্রাস যাত্রাকে নিজের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প বলে গেছেন। মা ও ছেলে একে অপরকে ওজন কমাতে অনেক উত্সাহিত করেছিলেন। নীতা আম্বানি একবার বলেছিলেন- 'অনন্তের মা হওয়ায় আমার ওজনও হ্রাস পেয়েছে। ওজন হারাতে তিনি আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল। কারণ আমরা এখনও স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। অনেক শিশু রয়েছে যারা স্থূলত্বের সাথে লড়াই করছেন এবং তাদের মায়েরা এখনও এটি মেনে নিতে লজ্জা বোধ করেন'।

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল