আমাদের মধ্যে বহু মানুষই নিয়মিত কফি পান করেন। এবার নিয়মিত কতটা কফি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো, এই নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে বর্তমানে একটি গবেষণা (Research) অবশ্য কফি প্রেমীদের জন্য নিয়ে এল সুখবর। এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, দিন ২ থেকে ৩ কাপ কফি পান করলে হার্টের স্বাস্থ্য (Heart Health) ভালো হতে পারে। এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির ৭১ তম বার্ষিক সায়েন্টিফিক সেশনে। এই গবেষণায় বলা হয়, হার্টের রোগ থাকুক বা না থাকুক, কফি খেলে হৃৎপিণ্ডের (Heart) স্বাস্থ্য ভালো থাকতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: গবেষকরা দেখতে চেষ্টা করেন, হার্টের রোগ ও মৃত্যুর সঙ্গে কফির কোনও যোগ রয়েছে কি না! গবেষণা শেষে দেখা যায়, কফি হার্টের সমস্যা বাড়ায় না। বরং হৃৎপিণ্ডের খেয়াল রাখতে পারে এই পছন্দের পানীয়টি (Coffee Benefits)।
এই গবেষণার অন্যতম লেখক ও অস্ট্রেলিয়ার আলফ্রেড হসপিটাল অ্যান্ড বেকার হার্ট ইনস্টিটিউট মেলবোর্নের প্রফেসর অ্যান্ড হেড অ্যারিদমিয়া রিসার্চ ডা: পিটার এম কিসলার বলেন, কফি হৃদগতি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কারণে অনেকেই ভাবেন যে কফি বোধহয় হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর থেকেই বহু চিকিৎসকও রোগীকে কফি পান করতে বারণ করেন। তবে আমাদের তথ্য অবশ্য কফি খাওয়া বন্ধ করার কথা বলছে না। বরং কফি পানকে হার্টের রোগীদের ডায়েটে ঢুকিয়ে দিলে ভালোই হবে বলে আমাদের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও জানান, আমরা দেখেছি কফি খেলে নিউট্রাল এফেক্ট হতে পারে। অর্থাৎ ভালো খারাপ কিছুই হয় না। আবার ভালো ফলাফলও মিলতে পারে। তবে খারাপ কিছু সাধারণত হয় না। তাই কফি চলতেই পারে।
এই গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইউকে বায়োব্যাংকের তথ্য। এখানে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের দশ বছরের তথ্য গবেষণার আওতায় আনা হয়। গবেষকরা দেখার চেষ্টা করেন, ১ কাপ কফি পান করা থেকে শুরু করে দিনে ৬ কাপ কফি খেলে অ্যারিদমিয়া, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, স্ট্রোক, হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ইত্যাদি বিষয়গুলি কতটা প্রভাবিত হয়। এই গবেষণার জন্য রোগীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ০, ১, ২-৩,৪-৫ এবং ৫ কাপ প্রতিদিন- এই ভাবে রোগীদের ভাগ করে দেওয়া হয়।
গবেষকরা দেখেন, কফি পানের সঙ্গে তেমন কোনও হার্টের সমস্যার যোগ নেই। আবার মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া, এক্সারসাইজ, ডায়াবিটিস, প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কফি খেলে এই কার্ডিওভাস্কুলার রোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, দিনে ২ থেকে ৩ কাপ কফি পানেই করোনারি আর্টারি হার্ট ডিজিজ (Coronary Artery Disease), হার্ট ফেলিওর (Heart Failure), হার্টের রিদমের (Heart Rhythm) সমস্যা প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে।
আরও পড়ুন: রোজ কফি তো খান, কিন্তু দিনের ঠিক কোন সময় পান করা উচিত, জানেন?
আসলে কফির মধ্যে রয়েছে ১০০-এর বেশি বায়োলজিক্যাল অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড। এই যৌগগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে, কমাতে পারে প্রদাহ, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়, বিপাকের হার বাড়ায়। এমনকী অনিয়মিত হৃদগতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রিসেপটরকেও আটকায় এই যৌগগুলি। ফলে সার্বিকভাবে হার্ট ভালো থাকে।
বিদ্র: এই লেখাটি কোনও ডাক্তারি পরামর্শ নয়। তাই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন:
এই গবেষণার অন্যতম লেখক ও অস্ট্রেলিয়ার আলফ্রেড হসপিটাল অ্যান্ড বেকার হার্ট ইনস্টিটিউট মেলবোর্নের প্রফেসর অ্যান্ড হেড অ্যারিদমিয়া রিসার্চ ডা: পিটার এম কিসলার বলেন, কফি হৃদগতি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কারণে অনেকেই ভাবেন যে কফি বোধহয় হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর থেকেই বহু চিকিৎসকও রোগীকে কফি পান করতে বারণ করেন। তবে আমাদের তথ্য অবশ্য কফি খাওয়া বন্ধ করার কথা বলছে না। বরং কফি পানকে হার্টের রোগীদের ডায়েটে ঢুকিয়ে দিলে ভালোই হবে বলে আমাদের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও জানান, আমরা দেখেছি কফি খেলে নিউট্রাল এফেক্ট হতে পারে। অর্থাৎ ভালো খারাপ কিছুই হয় না। আবার ভালো ফলাফলও মিলতে পারে। তবে খারাপ কিছু সাধারণত হয় না। তাই কফি চলতেই পারে।
এই গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইউকে বায়োব্যাংকের তথ্য। এখানে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের দশ বছরের তথ্য গবেষণার আওতায় আনা হয়। গবেষকরা দেখার চেষ্টা করেন, ১ কাপ কফি পান করা থেকে শুরু করে দিনে ৬ কাপ কফি খেলে অ্যারিদমিয়া, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, স্ট্রোক, হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ইত্যাদি বিষয়গুলি কতটা প্রভাবিত হয়। এই গবেষণার জন্য রোগীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ০, ১, ২-৩,৪-৫ এবং ৫ কাপ প্রতিদিন- এই ভাবে রোগীদের ভাগ করে দেওয়া হয়।
গবেষকরা দেখেন, কফি পানের সঙ্গে তেমন কোনও হার্টের সমস্যার যোগ নেই। আবার মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া, এক্সারসাইজ, ডায়াবিটিস, প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কফি খেলে এই কার্ডিওভাস্কুলার রোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, দিনে ২ থেকে ৩ কাপ কফি পানেই করোনারি আর্টারি হার্ট ডিজিজ (Coronary Artery Disease), হার্ট ফেলিওর (Heart Failure), হার্টের রিদমের (Heart Rhythm) সমস্যা প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে।
আরও পড়ুন: রোজ কফি তো খান, কিন্তু দিনের ঠিক কোন সময় পান করা উচিত, জানেন?
আসলে কফির মধ্যে রয়েছে ১০০-এর বেশি বায়োলজিক্যাল অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড। এই যৌগগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে, কমাতে পারে প্রদাহ, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়, বিপাকের হার বাড়ায়। এমনকী অনিয়মিত হৃদগতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রিসেপটরকেও আটকায় এই যৌগগুলি। ফলে সার্বিকভাবে হার্ট ভালো থাকে।
বিদ্র: এই লেখাটি কোনও ডাক্তারি পরামর্শ নয়। তাই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।