অ্যাপশহর

রাতের পর রাত ঘুম আসে না কিছুতেই? সতর্ক না হলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে জটিল সমস্যা!

আপনার কি ঠিক মতো ঘুম হয় না? রাত হলে সময় মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই! সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে, যাঁরা অর্ধেক ঘুমিয়েছিলেন আর যাঁদের ঘুম হয়নি তাঁদের মধ্যে ফিয়ার রিজিয়নে ব্রেন অ্যাক্টিভিটি সব চেয়ে বেশি পরিমাণে হয়েছে।

EiSamay.Com 13 Nov 2020, 12:12 pm
EiSamay.Com sleep
ঘুম আসে না কিছুতেই?
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার কি ঠিক মতো ঘুম হয় না? রাত হলে সময় মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই! ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের প্রায় অর্ধেকটাই পার হয়ে যায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে। এমন সমস্যায় যাঁরা আছেন, তাঁরা অনেকেই ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধের সাহায্য নিয়ে থাকেন। কিন্তু ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘুমের এই ঘাটতি কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর জেরে অ্যাংজাইটি অর্থাৎ উদ্বিগ্ন থাকার প্রবণতা বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (PSTD) ভুগতে পারেন আপনি। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়।

সমীক্ষা জানাচ্ছে, ঘুমের ঘাটতি আমাদের মস্তিষ্কের ফিয়ার এক্সটিংশন লার্নিংয়ের উপরে প্রভাব ফেলে। আর এর জেরে আমাদের অ্যাংজাইটি বেড়ে যায়। এই বিষয়টি গবেষণা করার জন্য একটি স্লিপ ল্যাবরেটরিতে ১৫০ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এ ক্ষেত্রে এই ১৫০ জনকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবে ঘুমোন, একটি অংশ রাতের অর্ধেক সময় ঘুমোন আর অন্য অংশটিকে ঘুমোতে দেওয়া হয়নি। সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে, যাঁরা অর্ধেক ঘুমিয়েছিলেন আর যাঁদের ঘুম হয়নি তাঁদের মধ্যে ফিয়ার রিজিয়নে ব্রেন অ্যাক্টিভিটি সব চেয়ে বেশি পরিমাণে হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, যাঁরা অর্ধেক ঘুমিয়েছিলেন তাঁদের মস্তিষ্কের আবেগ বা ইমোশন রিজিওনের থেকে ফিয়ার রিজিওনেই সব চেয়ে বেশি অ্যাক্টিভিটি হয়েছে।

আরও পড়ুন: হোটেল, রেস্তোরাঁ, জিম থেকেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, শঙ্কা নয়া গবেষণায়!

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধি করে। চিকিত্সকদের মতে আমরা না ঘুমালে আমাদের শরীরের ‘লিভিং অরগানিজম’গুলো ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। নষ্ট হতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য। বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার টেনশনের মতো সমস্যা। দীর্ঘদিন রাতে না ঘুমানো বা কম ঘুমানোর ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যহত হয়। যার ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওরেক্সিন উৎপাদনের গতি মন্থর হয়ে যায়। মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না পেলে অতিরিক্ত বিষণ্ণতা, হ্যালুসিনেশনের, স্মৃতিভ্রংশের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গবেষকরা মূল্যায়ণ করে জানিয়েছেন, রাতে অর্ধেক ঘুমোনো বা পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত না ঘুমোনো সব চেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। সারারাত না ঘুমোনোর থেকেও বেশি ক্ষতিকারক এটি। কারণ যাঁরা একেবারে ঘুমোচ্ছেন না, তাঁরা দিনের অন্য কোনও সময় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে পড়েন তা হলে কম সমস্যা হবে। কিন্তু যাঁরা দিনের পর দিন অর্ধেক ঘুমিয়ে এ ভাবে ঘুমের ঘাটতি বাড়িয়ে চলেছেন, তাঁরা নানা মানসিক রোগের শিকার হতে পারেন।

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল