অ্যাপশহর

অ্যাক্সিডেন্টে উড়ে গেল খুলি, ধাতব পাত বসিয়ে মির‌্যাকল ভারতীয় ডাক্তারদের!

বাইক দুর্ঘটনার পর বিগত কয়েক মাস তিনি করোটির তিন চতুর্থাংশ নিয়ে কোনওমতে চলছিলেন। ঝুঁকি ছিল, মাথায় সামান্য চোটও মৃত্যু ডেকে আনতে পারত।

EiSamay.Com 25 Aug 2016, 9:43 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাইক দুর্ঘটনার পর বিগত কয়েক মাস তিনি করোটির তিন চতুর্থাংশ নিয়ে কোনওমতে চলছিলেন। ঝুঁকি ছিল, মাথায় সামান্য চোটও মৃত্যু ডেকে আনতে পারত। সর্বক্ষণ তাই ডাক্তারদের নজরে নজরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। সেই তিনি, আনবাঝাগন (নাম পরিবর্তিত) এতদিনে সেই ক্ষত সারিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। যার পুরো কৃতিত্বই প্রাপ্য চেন্নাইয়ের একদল ডাক্তারের। কাস্টম-মেড স্কালে তাঁর করোটির সেই শূন্যস্থান পূরণ করে দিয়েছেন ভারতীয় ডাক্তাররা।
EiSamay.Com man who lost one fourth of his skull in chennai road accident gets metal implant
অ্যাক্সিডেন্টে উড়ে গেল খুলি, ধাতব পাত বসিয়ে মির‌্যাকল ভারতীয় ডাক্তারদের!


গত জানুয়ারিতে বাইক দুর্ঘটনার পর যখন বছর ছাব্বিশের ওই যুবক ঘরে ফেরেন, তখন বাড়ির লোকও বুঝে উঠতে পারেননি ক্ষত কতটা বিপজ্জনক ছিল। বাইরে থেকে দেখে এতটুকু বোঝার উপায় ছিল না। মাথার ডান দিকে চোট লেগেছে, এটুকু তাঁরা দেখেছিলেন। জানতেন না, উপরের পাতলা আস্তরণে কোনওরকমে মস্তিষ্কটা আটকা রয়েছে। সেখানে অতি সামন্য খোঁচাতেও মৃত্যু ছিল অবধারিত।

চেন্নাইয়ের পার্বতী হাসপাতালের ডাক্তাররা দেখেন, করোটির ডান দিকের একটা অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে দুর্ঘটনায়। তত্‍‌ক্ষণাত্‍‌ ভর্তি করে নেওয়া হয় আনবাঝাগনকে। সেখানকার সিনিয়র নিউরোসার্জেন ডা. কে ইলিয়াসাবাশা জানান, করোটির একটা অংশ চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওটিতে নিয়ে গিয়ে ছোট একটা ছিদ্র করে, করোটির সেই চূর্ণ অংশগুলোকে বের করে আনা হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থাতেই বাড়ি ফিরে আসেন সেই যুবক। অস্ত্রোপচারের কয়েকদি নের মধ্যেই ত্বকের পাতলা আবরণ সেই ছিদ্রটিকে ঢেকে ফেলে।

এই অবস্থাতেই কাটাচ্ছিলেন সেই যুবক। বাড়ি আসার আগে ডাক্তাররা বারবার সতর্ক করে দেন, ফের যেন আঘাত না লাগে। ডাক্তারদের কথায়, আমরা জানতাম, হাতে বেশি দিন সময় নেই। তাই ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি চলছিল। গত জুনে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন করোটির ওই অংশে টাইটেনিয়াম ইমপ্ল্যান্ট করা হবে। সিটি স্ক্যান করে বিভিন্ন ডায়মেনশনে ১৫০-র বেশি ছবি তোলা হয়। এরপর ওই ত্রুটি-সহই থ্রিডি করোটির মডেল বানানো হয়। সেখান থেকেই তাঁরা ধারণা পান ক্ষত সারাতে কতটা ধাতু লাগবে।

এর পরই দ্বিতীয়বারের জন্য চেন্নাইয়ের ওই যুবককে ওটিতে ঢোকানো হয়। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে অপারেশন সেরে ফেলেন ডাক্তাররা। পরদিনই ছেড়ে দেওয়া হয় রোগীকে। প্রতিস্থাপনের ঝুঁকি এড়াতেই টাইটেনিয়ামের মতো ধাতুকে বেছে নেওয়া হয়। তা ছাড়া ধাতু হিসেবেও এটি হালকা।

সবমিলিয়ে অস্ত্রোপচারে খরচ হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ টাকা।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল