এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: টাইপ ১ ডায়াবিটিসও (Diabetes) সারে। ঠিকই পড়ছেন। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন আমেরিকার ওহিও– এর এক বাসিন্দা। তাঁর নাম ব্রায়ান শেল্টন। বয়স ৬৪ এই ব্যক্তি দীর্ঘ ৫০ বছর টাইপ ১ ডায়াবিটিসে (Type 1 Diabetes) ভোগার পর এখন এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ব্রায়ান শেল্টনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে অত্যাধুনিক স্টেম সেল চিকিৎসা ব্যবস্থা (Stem Cell Therapy। ব্রায়ানের শরীরে স্টেম সেল থেকে নতুন কোষ পেয়েছেন যা শরীরে স্বাভাবিকভাবে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করেছে। টাইপ ১ ডায়াবিটিস
টাইপ ১ ডায়াবিটসকে বলা হয় জুভেনাইল ডায়াবিটিস। অর্থাৎ ছোট বয়সেই মূলত এই রোগ হয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিন হর্মোন উৎপাদনকারী প্যাংক্রিয়াসের বিটা কোষ নষ্ট হয়। ফলে ইনসুলিন তৈরি হয় না। আর ইনসুলিন তৈরি না হওয়ায় রক্তে সুগার বাড়ে। এক্ষেত্রে চিকিৎসার একমাত্র উপায় ইনসুলিন নেওয়া।
এই চিকিৎসার আগে শেলটনের জীবন
চিকিৎসার আগে শেল্টনের স্বাস্থ্য একেবারেই ভালো ছিল না। তিনি প্রায়ই হাইপোগ্লাইসেমিয়াতে ভুগতেন। কারণ তাঁকে বারবার ইনসুলিন নিতে হতো। এই ইনসুলিন রক্তে শর্করা কমিয়ে দেয়। ফলে তাঁর হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতো প্রায়ই। একটা এমন সময় আসে যখন তাঁর রক্তে চিনির মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। এই সময়টায় বেশ ঘাবড়ে যেতেন শেল্টন। তাঁর মনোবল কমে যেত। তিনি অনেকসময় অচৈতন্য হয়ে যেতেন।
আমার জীবন ছিল খুবই কষ্টের। গোটা জীবন আমি কেবল ডায়াবিটিস মেপেছি। আর দেখেছি এই স্কোরটা ঠিক কোথায় দাঁড়ায়। তবে আমি হারিয়ে যাওয়ার পাত্র ছিলাম না, বলেন তিনি।
শেল্টন আরও জানান, জুন মাসে আমি এই নতুন চিকিৎসার শরণাপন্ন হই। আমি অংশ নিই ট্রায়ালে। সেখান থেকেই এই লাভ পাই। আজ সুগার ঠিক আছে। আসলে এতদিন ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই নতুন জীবন পেয়ে আমি খুবই খুশি।
জনসাধারণ এই চিকিৎসা কবে পাবেন?
আগেই বলেছি, এই চিকিৎসা কেবল ট্রায়ালের স্তরে রয়েছে। সমস্ত ট্রায়াল শেষ করে সব সুরক্ষাবিধি পেরিয়ে অনেকটাই সময় লেগে যাবে বাজারে আসতে। তাই এখনই এই নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। আর সবথেকে বড় কথা, টাইপ ১ ডায়াবিটিসের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবিটিসে এই চিকিৎসা কাজে দেবে কি না, তাই নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন। তাই এখনই জোর গলায় কিছু বলা যাচ্ছে না।
ডায়াবিটিস রোগীর করণীয়
ডায়াবিটিস রোগীকে সবসময় নিজের সুগার নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। চেষ্টা করতে সুগার স্বাভাবিক রাখার। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম করার। এছাড়া কম শর্করা যুক্ত খাবার খেতে হবে। তবেই শরীর থাকবে ভালো। নইলে খুব দ্রুত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্রায়ান শেল্টনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে অত্যাধুনিক স্টেম সেল চিকিৎসা ব্যবস্থা (Stem Cell Therapy। ব্রায়ানের শরীরে স্টেম সেল থেকে নতুন কোষ পেয়েছেন যা শরীরে স্বাভাবিকভাবে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করেছে।
টাইপ ১ ডায়াবিটসকে বলা হয় জুভেনাইল ডায়াবিটিস। অর্থাৎ ছোট বয়সেই মূলত এই রোগ হয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিন হর্মোন উৎপাদনকারী প্যাংক্রিয়াসের বিটা কোষ নষ্ট হয়। ফলে ইনসুলিন তৈরি হয় না। আর ইনসুলিন তৈরি না হওয়ায় রক্তে সুগার বাড়ে। এক্ষেত্রে চিকিৎসার একমাত্র উপায় ইনসুলিন নেওয়া।
এই চিকিৎসার আগে শেলটনের জীবন
চিকিৎসার আগে শেল্টনের স্বাস্থ্য একেবারেই ভালো ছিল না। তিনি প্রায়ই হাইপোগ্লাইসেমিয়াতে ভুগতেন। কারণ তাঁকে বারবার ইনসুলিন নিতে হতো। এই ইনসুলিন রক্তে শর্করা কমিয়ে দেয়। ফলে তাঁর হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতো প্রায়ই। একটা এমন সময় আসে যখন তাঁর রক্তে চিনির মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। এই সময়টায় বেশ ঘাবড়ে যেতেন শেল্টন। তাঁর মনোবল কমে যেত। তিনি অনেকসময় অচৈতন্য হয়ে যেতেন।
আমার জীবন ছিল খুবই কষ্টের। গোটা জীবন আমি কেবল ডায়াবিটিস মেপেছি। আর দেখেছি এই স্কোরটা ঠিক কোথায় দাঁড়ায়। তবে আমি হারিয়ে যাওয়ার পাত্র ছিলাম না, বলেন তিনি।
শেল্টন আরও জানান, জুন মাসে আমি এই নতুন চিকিৎসার শরণাপন্ন হই। আমি অংশ নিই ট্রায়ালে। সেখান থেকেই এই লাভ পাই। আজ সুগার ঠিক আছে। আসলে এতদিন ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই নতুন জীবন পেয়ে আমি খুবই খুশি।
জনসাধারণ এই চিকিৎসা কবে পাবেন?
আগেই বলেছি, এই চিকিৎসা কেবল ট্রায়ালের স্তরে রয়েছে। সমস্ত ট্রায়াল শেষ করে সব সুরক্ষাবিধি পেরিয়ে অনেকটাই সময় লেগে যাবে বাজারে আসতে। তাই এখনই এই নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। আর সবথেকে বড় কথা, টাইপ ১ ডায়াবিটিসের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবিটিসে এই চিকিৎসা কাজে দেবে কি না, তাই নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন। তাই এখনই জোর গলায় কিছু বলা যাচ্ছে না।
ডায়াবিটিস রোগীর করণীয়
ডায়াবিটিস রোগীকে সবসময় নিজের সুগার নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। চেষ্টা করতে সুগার স্বাভাবিক রাখার। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম করার। এছাড়া কম শর্করা যুক্ত খাবার খেতে হবে। তবেই শরীর থাকবে ভালো। নইলে খুব দ্রুত সমস্যা দেখা দিতে পারে।