এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় কদিন ধরে একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। প্রতিষেধক শিবিরে covid vaccine নিতে গিয়েছেন এক প্রৌঢ়া। চেয়ারে বসেছেন। সিরিঞ্জে প্রতিষেধক ভরে প্রস্তুতি চলছে। আর প্রৌঢ়া অঝোরে কেঁদে চলেছেন। ভ্যাক্সিন নিতে তাঁর নাকি বেজায় ভয়। হাতে সূচ ফোটাতে হবে যে। তাঁকে কেউ বুঝিয়ে উঠতে পারছেন যে এক সেকেন্ডের ব্যাপার। ব্যথা তো লাগবেই না, বরং উলটে উপকার হবে। কিন্তু তিনি বুঝলে তো? এদিকে তাঁর পিছনে বিশাল লাইন। সকলেই এসেছেন সকাল সকাল covid vaccine নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু মহিলার কান্নার চোটে তাঁরাও নার্ভাস। আসলে ওই মহিলা ঠিক vaccine-কে নয়, ভয় পাচ্ছিলেন মনে হয় হাতে সূচ ফোটাতে। সে যাই হোক। সমাজমাধ্যমের নাগরিকরা তাকেই ভ্যাক্সিনে-ভীতি বলে দিব্যি মজা লুটছেন। ইনজেকশন সিরিঞ্জের সূচ দেখে অনেকেই ভয় পান। তাতে দোষের কিছু নয়। কিন্তু covid vaccineদিতে গিয়ে ভয় পেলে তবেই বিপদ। এখনও অনেকে ভ্যাক্সিন দিতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকেরই এসবে বিশ্বাস নেই। কেউ কেউ আবার রবীন্দ্রনাথের কলেরা প্রতিষেধকে আপত্তির ইতিহাসকে নিজেদের অজুহাত হিসেবে খাঁড়া করছেন।
সে যে যেই যুক্তিকেই ঢাল করুন না কেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে যে Covid মহামারিকে কাবু করতে গেলে প্রতিষেধক ছাড়া উপায় নেই। তা vaccine ৭২ শতাংশ কার্যকর হোক বা ৯২ শতাংশ। ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবেই। তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জ্বর, গা হাত পা ব্যাথা, বমি ভাব, গা গোলানোর মতো সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে নিজে যেতে পড়ে বিপদ ডেকে আনবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর সতর্কতা ভ্যাক্সিন দিতে যাওয়ার আগে পেইন কিলার খাবেন না।
বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, covid vaccine দেওয়ার আগে নয়, বরং ভ্যাক্সিন দেয়ার পরে পেইন কিলার খেতে পারেন। পেইন কিলার মূলত ব্যাথা বেদনা দূর করে। এগুলি বেশিরভাগই নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বা NSAIDs থাকে। আর এগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রচলিত ওষুধটি হল প্যারাসিটামল। এই সব পেইনকিলার এমনিতেও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সমীক্ষা এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত পেইন কিলার বা প্যারাসিটামল খেলে NSAIDs-এর প্রভাবে হার্টের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে পেইনকিলার খেলে ভ্যাক্সিনের প্রভাব কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
শরীরের ভিতর অ্যান্টিবডি তৈরি করাই vaccine-এর প্রধান কাজ। এই কাজেই মূলত বাধা সৃষ্টি করতে পারে পেইন কিলারের স্টেরয়েড। আর এর প্রভাব একেক ব্যক্তির উপর একেক রকমভাবে দেখা দেয়। করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার পর অনেকেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে জ্বর, গা হাত পা ব্যাথা খুবই সাধারণ। এমনকি যেই জায়গায় সিরিঞ্জটি ফোটানো হয় সেখানেও অনেক সময় ব্যাথা হয়। অথবা কারও প্রেসক্রিপশনে পেইনকিলার খাওয়ার নির্দেশ আছে। এক্ষেত্রে অবশ্য পেইনকিলার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার অনেক ক্ষেত্রে আবার পেইনকিলার খেয়েও কোনও কাজ দিচ্ছে না। তখন যদিও ভ্যাক্সিনের প্রভাবে কোনও বাধা হচ্ছে না।
তবে যাই করুন না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। নিজে থেকে আগ বাড়িয়ে ওষুধ খেতে যাবেন না। হঠাৎ করে ওষুধ খাওয়া চালু বা বন্ধ করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন এক মানুষের শরীরের গঠন, প্রকৃতি এবং চাহিদা একেক রকম। রোগের প্রকৃতিও আলাদা আলাদা। তাই বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তি মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন বলে তাঁর দেখাদেখি নিজেও ওষুধ খেতে শুরু করবেন না। ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর নিজের বা পরিবারের অন্য কারও কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন। ভ্যাক্সিনের প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনার মোকাবিলা করুন জোরকদমে। আর হ্যাঁ, ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরও কিন্তু মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ কিংবা দূরত্ববিধি মেনে চলতে ভুলবেন না। ভালো থাকুন। সতর্ক থাকুন।
সে যে যেই যুক্তিকেই ঢাল করুন না কেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে যে Covid মহামারিকে কাবু করতে গেলে প্রতিষেধক ছাড়া উপায় নেই। তা vaccine ৭২ শতাংশ কার্যকর হোক বা ৯২ শতাংশ। ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবেই। তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জ্বর, গা হাত পা ব্যাথা, বমি ভাব, গা গোলানোর মতো সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে নিজে যেতে পড়ে বিপদ ডেকে আনবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর সতর্কতা ভ্যাক্সিন দিতে যাওয়ার আগে পেইন কিলার খাবেন না।
বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, covid vaccine দেওয়ার আগে নয়, বরং ভ্যাক্সিন দেয়ার পরে পেইন কিলার খেতে পারেন। পেইন কিলার মূলত ব্যাথা বেদনা দূর করে। এগুলি বেশিরভাগই নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বা NSAIDs থাকে। আর এগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রচলিত ওষুধটি হল প্যারাসিটামল। এই সব পেইনকিলার এমনিতেও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সমীক্ষা এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত পেইন কিলার বা প্যারাসিটামল খেলে NSAIDs-এর প্রভাবে হার্টের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে পেইনকিলার খেলে ভ্যাক্সিনের প্রভাব কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
শরীরের ভিতর অ্যান্টিবডি তৈরি করাই vaccine-এর প্রধান কাজ। এই কাজেই মূলত বাধা সৃষ্টি করতে পারে পেইন কিলারের স্টেরয়েড। আর এর প্রভাব একেক ব্যক্তির উপর একেক রকমভাবে দেখা দেয়। করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার পর অনেকেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে জ্বর, গা হাত পা ব্যাথা খুবই সাধারণ। এমনকি যেই জায়গায় সিরিঞ্জটি ফোটানো হয় সেখানেও অনেক সময় ব্যাথা হয়। অথবা কারও প্রেসক্রিপশনে পেইনকিলার খাওয়ার নির্দেশ আছে। এক্ষেত্রে অবশ্য পেইনকিলার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার অনেক ক্ষেত্রে আবার পেইনকিলার খেয়েও কোনও কাজ দিচ্ছে না। তখন যদিও ভ্যাক্সিনের প্রভাবে কোনও বাধা হচ্ছে না।
তবে যাই করুন না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। নিজে থেকে আগ বাড়িয়ে ওষুধ খেতে যাবেন না। হঠাৎ করে ওষুধ খাওয়া চালু বা বন্ধ করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন এক মানুষের শরীরের গঠন, প্রকৃতি এবং চাহিদা একেক রকম। রোগের প্রকৃতিও আলাদা আলাদা। তাই বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তি মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন বলে তাঁর দেখাদেখি নিজেও ওষুধ খেতে শুরু করবেন না। ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর নিজের বা পরিবারের অন্য কারও কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন। ভ্যাক্সিনের প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনার মোকাবিলা করুন জোরকদমে। আর হ্যাঁ, ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরও কিন্তু মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ কিংবা দূরত্ববিধি মেনে চলতে ভুলবেন না। ভালো থাকুন। সতর্ক থাকুন।