কিডনি আমাদের শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই অঙ্গটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দেয়। এরপরই আমরা ভালো থাকি। তবে অনেক সময় এই কাজটা ঠিকমতো হয় না। তখন কিডনিতে জমতে থাকে নানা রাসায়নিক। এবার এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে কিডনি স্টোন কিন্তু বহু সমস্যার কারণ। মুশকিল হল, কিডনি স্টোন থাকার পরও মানুষ অনেক সময় বুঝতে পারেন না রোগ সম্পর্কে। সেক্ষেত্রে কিডনি স্টোনের লক্ষণ জানা হল জরুরি। কারণ প্রথমদিকে রোগ ধরা পড়লে সহজে এরসঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, কিছু মানুষের এই সমস্যা বেশি হয়। এক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম অক্সালেট জমে এই স্টোন হয়। জল খেলে কিডনি স্টোন বেরিয়ে যেতে পারে।
কিডনি স্টোন কাদের বেশি হয়?
ডা: রুদ্রজিৎ পাল জানান, কিডনি স্টোন অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। দেখা গিয়েছে ইউরিক ইনফেকশন বেশি হলে, ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বেশি থাকলে বা ক্যালশিয়াম অক্সালেট শরীরে বেশি থাকলে এই সমস্যা বেশি হয়। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।
কী ভাবে বুঝবেন কিডনি স্টোন হয়েছে?
কিডনি স্টোন হয়েছে কিনা বুঝতে গেলে প্রথমে করা হয় ইউএসজি। এই টেস্ট করার পরও অনেক সময় ধরা পড়ে না স্টোন। সেক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে কিডনির সিটি স্ক্যান। এতে সহজে ধরা পড়ে রোগ। এই তথ্য জেনে রাখা জরুরি।
জল খেলে কি কিডনি স্টোন বেরিয়ে যায়?
কিডনি স্টোন বেরিয়ে যেতে পারে জল খেলেই। আসলে জল খেলে শরীর সুস্থ থাকতে পারে। মাথায় রাখার বিষয় হল কিডনি স্টোনের আকার ১০ এমএম-এর ছোট হতে হবে। তবে বারবার প্রস্রাব হলে তা বেরিয়ে যেতে পারে। এবার এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।
কতটা বেশি জল পান করতে হবে কিডনি স্টোন হলে?
ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, সাধারণত তেমন কোনও নির্দিষ্ট মাপ নেই। তবে যতটা জল খান, তার থেকে বেশি খেতে হবে। আর এটা মানুষে মানুষে আলাদা। এক্ষেত্রে তৃষ্ণা পেলে জল পান করুন। এভাবেই আপনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
জল খেয়ে কিডনি স্টোন না কমলে চিকিৎসা কী?
জলপান করার পরও কিডনি স্টোন না কমতে পারে। সেক্ষেত্রে কিডনি স্টোনের নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। এই অবস্থায় করতে হয় সার্জারি। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্টোন ভেঙে দেওয়া যায় শক ওয়েভ দিয়ে। তাই সতর্ক হয়ে যান। এর মাধ্যমেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এই ৫ শরবত বানিয়ে খেলেই কিডনি স্টোন গলে বেরিয়ে যায়, সন্ধান দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।