অ্যাপশহর

বদহজম হলেই কি গ্যাসের ব্যথা বাড়ে? অবহেলা করলে কিন্তু বিপদ!

শরীরে গ্যাস ফর্ম করলেই পেটে ব্যথা হয় না। এবং যদি ব্যথা হয়, সে ব্যথা সব সময়ে পেটেই সীমাবদ্ধ থাকে না।খাবার খাওয়ার ধরন থেকেও তৈরি হয় গ্যাস। কেউ যদি খুব তাড়াতাড়ি খাবার খান, স্ট্র দিয়ে পান করেন, অনেক সময়ে গাম বা ক্যান্ডি চেবানোর ফলে গ্যাস উৎপন্ন হয়।

Lipi 21 Oct 2021, 1:50 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: খাবার খেলেই বা বদহজম হলেই যে স্টম্যাক আপসেট হয় এবং গ্যাস ফর্ম করে, এই ধারণা ঠিক নয়। বরং এটা জানা জরুরি যে, কোনও খাবার শরীরে ঢোকার পরে তা হজম করার সময়েও গ্যাস উৎপন্ন হয়। কারণ আমাদের শরীরে বিপাকীয় পাচনের ক্ষেত্রে এটা খুবই সাধারণ একটি পদ্ধতি। তা হলে গ্যাস থেকে পেটে ব্যথা হয় কেন?
EiSamay.Com Acid Reflux
প্রতীকী ছবি


গ্যাস পেন এবং তার কারণ
শরীরে গ্যাস ফর্ম করলেই পেটে ব্যথা হয় না। এবং যদি ব্যথা হয়, সে ব্যথা সব সময়ে পেটেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা জরুরি যে, যদি শরীরে উৎপন্ন হওয়া গ্যাস কোনও ভাবে নির্গত না হয়ে কোথাও আটকে থাকে বা শরীরে তা চলাচল করতে পারে না, একমাত্র তখনই গ্যাস পেন হয়। পেট ছাড়াও বুকে, মাথায়… শরীরের অনেক অংশেই এই ব্যথা হতে পারে।

গ্যাসের লক্ষণ
শরীরে গ্যাসের উৎপন্ন হওয়া কোনও খারাপ লক্ষণ নয়, এ কথা আগেও বলা হয়েছে। তবে গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার কিছু লক্ষণ দেখা যায়। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।

  1. বার্পিং বা ঢেঁকুর তোলা
  2. পাসিং গ্যাস
  3. পেটে গিঁট মারা ব্যথা বা ক্র্যাম্প
  4. ব্লোটিং অনুভূত হওয়া
  5. ডিসটেনশন বা পেট ফুলে ওঠার মতো লক্ষণ

পুজোয় বিরিয়ানি-চাইনিজ তো চলছেই! অ্যাসিডিটি থেকে রেহাই পেতে কী করবেন?

গ্যাস কেন উৎপন্ন হয়?
১) প্রথমত খাবার কাওয়া বা পান করার পরে গ্যাস উৎপন্ন হয়।

২) কিছু হাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলেও গ্যাস ফর্ম করে। যেমন বিশেষ কিছু ডাল, বিনস, ফল, হোল গ্রেনস ইত্যাদি।

৩) কেউ যদি সোডা, বিয়ার অতিরিক্ত পরিমাণে পান করলে অর্থাৎ কাররবোনেটেশ বেভারেজ থেকে শরীরে বেশি গ্যাস ফর্ম করে।

৪) খাবার খাওয়ার ধরন থেকেও তৈরি হয় গ্যাস। কেউ যদি খুব তাড়াতাড়ি খাবার খান, স্ট্র দিয়ে পান করেন, অনেক সময়ে গাম বা ক্যান্ডি চেবানোর ফলে গ্যাস উৎপন্ন হয়।

৫) অনেকে অনেক সময়ে কিছু ফাইবার সাপ্লিমেন্ট নেন। মেটামিউসিল জাতীয় সাইলাম আদতে কোলন গ্যাস বাড়ায়।

৬) সুগার ফ্রি খাবার বানানোর সময়ে অনেক সময়ে আর্টিফিশিয়াল সুগার বা সুগার সাবস্টিটিউট ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রেও গ্যাস উৎপন্ন হয়।

৭) শুধু এই অভ্যেসই নয়, কিছু রোগ বা শারীরিক সমস্যা হলেও গ্যাস উৎপন্ন হয়। যেমন ক্রনিক ইনটেস্টিনাল ডিজিজ, বাওয়েল ব্যাকটিরিয়াল ওভারগ্রোথ, কোনও বিশেষ খাবার সহ্য না হওয়ার প্রবণতা থাকলেও তা খাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

গলা-বুক জ্বালায় প্রায়ই ভোগায়? রইল ঘরোয়া সমাধান...

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
গ্যাস পেন বাড়তে থাকলে এবং শরীরে সেই সংক্রান্ত অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কী কী লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসককে দেখাবেন?

  • মলত্যাগে রক্ত থাকলে
  • মলের লক্ষণ বদলে গেলে
  • বাওয়েল মুভমেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি বদলে গেলে
  • অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে গেলে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়লে
  • ডায়রিয়ার মতো সমস্যা ক্রনিক হতে শুরু করলে
  • গ্যাস পেন যদি বুকে বাড়তে থাকে, তা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাইফস্টাইল বদলালে গ্যাস পেন থেকে রেহাই পাওয়া যায়। গ্যাস ফর্ম হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেই গ্যাস থেকে উদ্ভূত হওয়া যন্ত্রণা বেশি দিন সহ্য করা সমীচীন নয়।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল