অ্যাপশহর

করোনা পজিটিভ মা কি সন্তানকে স্তন্যদান করতে পারেন? বিষেশজ্ঞদের যা মত...

করোনা নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। এখনও তাঁদের সামনে নিশ্চিত কোনও ধারণা নেই, কী কী করলে অথবা না করলে করোনার থাবা থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। এমন সময়ে বিশেষ চিন্তা থেকে যায় অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশুদের নিয়ে। বিশ্ব ব্রেস্ট ফিডিং উইকে এই সব নিয়ে হল আলোচনা...

EiSamay.Com 7 Aug 2020, 1:11 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুর সার্বিক গঠন এবং সুস্বাস্থ্যের জন্যে মাতৃদুগ্ধের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত স্তন্যপান করালে একদিকে যেমন তার শরীরে পৌঁছে যাবে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি তেমনই বাড়বে সন্তান ও মায়ের মধ্যে বন্ডিং। বিভিন্ন সময়ের নানা গবেষণায় এই তথ্যই প্রমাণিত হয়েছে। প্রতি বছর ১ অগস্ট থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত দুনিয়া জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ব্রেস্ট ফিডিং উইক (World Breastfeeding Week)।
EiSamay.Com doctors say breast feeding doesn’t spread coronavirus in an online session to mark world breast feeding week
করোনা পজিটিভ মা কি সন্তানকে স্তন্যদান করতে পারেন?


বর্তমানে সারা বিশ্ব জর্জরিত করোনার থাবায়। এমন অবস্থায় প্রায় একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে, এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্যে স্তন্যপান কতটা নিরাপদ। বিশ্ব ব্রেস্টফিড উইক উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি বিশেষ অনলাইন প্রেজেন্টেশনে এই বিষয়ে আলোচনা করলেন দয়ানন্দ মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালের পিডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স ও গাইনিকোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিত্‍সকরা।

বক্তাদের মতে, জন্মের প্রথম ৬ মাস তো বটেই, সম্ভব হলে পরের দু’বছর শিশুকে মায়ের স্তন্যপান করাতে পারলে ভালো হবে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বাড়বে কার্যকর অ্যান্টিবডি।

পিডিয়াট্রিক্স বিভাগের প্রধান ডা. পুনীত আউলাখ পুনি এবং অবস্টেট্রিক্স ও গাইনিকোলজি বিভাগের প্রধান ডা. অসীমা তানেজা সাধুবাদ জানান রেসিডেন্ট চিকিত্‍সক এবং অন্যান্য কর্মীদের এমন একটি বিষয়ে অনলাইন সচেতন সেশন আয়োজন করার জন্যে।

এই অনলাইন আলোচনা সভায় উঠে এলে করোনা প্যানডেমিকের মধ্যেও স্তন্যপানের প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা। কী কী গুরুত্ব রয়েছে? দেখে নিন এক ঝলকে...

১. প্রথমেই একটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। অনেকেই মনে করছেন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আর পাঁচ জনের চেয়ে বেশি। একথা ঠিক নয়।

২. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হলেও, তার বিশেষ প্রভাব গর্ভস্থ সন্তানের উপর পড়ে না। প্রাথমিক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

৩. মাতৃদুগ্ধে করোনাভাইরাস থাকে না।

৪. গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্রেস্ট মিল্কে করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্যে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি রয়েছে, যাকে ইমিউনোগ্লোবিনও বলা হয়ে থাকে। যদি কখনও কোনও শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েও পড়ে, তাহলে সংকটের কোনও লক্ষণ এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।

৫. চিকিত্‍সকরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন এই আলোচনা সেশনে। তাঁরা জানিয়েছেন, যদি মায়ের করোনা ধরা পড়েও তাতেও তিনি নিশ্চিন্তে শিশুকে স্তন্যপান করাতে পারেন। এতে শিশুর কোনও ক্ষতি হবে না।

আরও পড়ুন: হবু মায়েরা করোনা থেকে দূরে থাকবেন, পড়ুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল