অ্যাপশহর

খাবার গলিয়ে ফেলতে তার ওপর বমি করে মাছি!

তরল খাদ্য গ্রহণ করার কারণে তা চটপট হজমও হয়ে যায়। এর ফলে প্রতিদিন অসংখ্য বার মলত্যাগ করে মাছি।

EiSamay.Com 4 Dec 2022, 9:02 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সৃষ্টি বড়ই অদ্ভূত। পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনও ধারণাই আমাদের নেই। বেশি দূরে যেতে হবে না। 'ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া'ই যে কত সৃষ্টি, কত ঘটনা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তা-ই অনেক সময় আমাদের গোচরে আসে না। এধরনের অজানা-অচেনার খোঁজে আমাদের যাত্রা চলছে। এই সফরে প্রতি রবিবার আমরা ধারাবাহিকভাবে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরি, যা শুনে তাজ্জব হতে হয়। এবারের পর্বে থাকল সাধারণ মাছি বা House Fly সম্পর্কে এমনই কিছু কম জানা তথ্য।
EiSamay.Com Flies
খাবার গলিয়ে ফেলতে তার ওপর বমি করে মাছি!


১) খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য পা-কে কাজে লাগায় মাছি। মানুষের জিভের তুলনায় এক কোটি গুণ বেশি সংবেদনশীল মাছির পা। খাবারের স্বাদ পেতে পায়ের মধ্যে থাকা কেমোসেনসিলিয়া নামের এক ধরণের টেস্ট রিসেপ্টর্সকে কাজে লাগায় এই পতঙ্গ। জঞ্জাল, বিষ্ঠা বা মানুষের খাদ্য, উড়ে এসে নিশানার ওপর হেঁটে বেড়ায় মাছিষ এই ভাবেই সেই জিনিসের স্বাদ সে চেখে দেখে।



২) তরল পদার্থ ছাড়া মাছি কিছু খেতে পারে না। তার মুখগহ্বরের সামনে থাকে স্পঞ্জের মতো নরম অংশ, যা দিয়ে তরল শুষে নিতে সুবিধে হয়। এই কারণে তরল খাদ্যের প্রতিই মাছির নজর থাকে। এমনকি কোনও আপাত শক্ত খাদ্যবস্তুর ওপর এসে বসলেও তাকে তরলে পরিণত করে সে। শক্ত খাদ্যকে তরলে পরিণত করতে তার ওপর বমি করে মাছি। সেই বমিতে থাকে প্রয়োজনীয় হজমকারী উত্‍‌সেচক, যা কঠিন খাবারকে তরলে পরিণত করতে সাহায্য করে। একবার খাবার নরম হয়ে গেলে মাছি তার মুখের সাহায্যে তা শুষে নেয়।

৩) তরল খাদ্য গ্রহণ করার কারণে তা চটপট হজমও হয়ে যায়। এর ফলে প্রতিদিন অসংখ্য বার মলত্যাগ করে মাছি। যখনই কোনও খাদ্যবস্তুর ওপর এসে বসে, তখনই সে মলত্যাগ করে। অর্থাত্‍ যেখানে সে খায়, সেখানেই বমি ও মলত্যাগ করা মাছির অভ্যাস।



৪) যেহেতু নোংরা জায়গা মাত্রই মাছির পছন্দসই, সেই কারণে বেশ কিছু রোগের জীবাণু সে সর্বদা বহন করে চলে। প্রতিটি সাধারণ মাছির শরীরে প্রায় ২০ লক্ষ ব্যাক্টেরিয়া থাকে। কলেরা, আমাশা, জিয়ারডিয়াসিস, টাইফয়েড, কুষ্ঠ, কনজাংক্টিভাইটিসের মতো প্রায় ৬৫ রকম রোগ মাছির দ্বারা সংক্রামিত হয়।

৫) মাছির প্রজনন সীমা বিস্ময়কর। স্বাভাবিক পরিবেশে প্রতিটি মাছির আয়ু ৬ দিন। কিন্তু এই স্বল্প জীবনকালের মধ্যেই প্রতি বার একসঙ্গে ১২০টি ডিম পাড়ে স্ত্রী মাছি। আবহাওয়া ও তাপমাত্রাজনিকত কারণে অবশ্য এই প্রজনন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয়। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রজনন ও আয়ুর সীমাবদ্ধতা না থাকলে মাত্র ৫ মাসে একটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ মাছি মোট ১৯১,০১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হত, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর আপাদমস্তক কয়েক মিটার মাছির নীচে চাপা পড়ে যেত।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল