অ্যাপশহর

প্লাজমা দানে কোভিড প্রতিরোধ শক্তি কমে না

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে যদি এতদিন প্লাজমা দানে বিরত থাকেন, তাহলে সেই চিন্তা দূরে রাখুন। সেরে ওঠার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার আয়ু কয়েক মাস। তাই এই ক'মাসই অন্যদের সাহায্য করার সুযোগ আপনার সামনে।

Ei Samay 17 Aug 2020, 10:23 am
এই সময়: করোনাজয়ীদের রক্তে উপস্থিত অ্যান্টিবডিতে বাঁচতে পারে কারও প্রাণ। তাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের ব্লাড প্লাজমার বিপুল চাহিদা। কিন্তু প্লাজমা সংগ্রহ অভিযান ধাক্কা খাচ্ছে কিছু মানুষের ভুল ধারণার কারণে। অনেকে মনে করছেন, প্লাজমা দান করলে শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমে যাবে। যার জেরে ফের সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়।
EiSamay.Com donation of plasma
প্লাজমা দান


জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ শ্‌মুয়েল শোহ্যাম বলেন, 'একজন মানুষের শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির খুবই সামান্য অংশ প্লাজমা সংগ্রহে নেওয়া হয়। তা ছাড়া মানবশরীর ফের তা উৎপাদনও করে নেয়।'

ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের বক্তব্য, 'প্লাজমা দানে ভবিষ্যতে শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। যা সংগ্রহ করা হয়, সেই 'ক্ষতি' দ্রুত পূরণ করে দেয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ তন্ত্র।' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্য নিউ ইয়র্ক ব্লাড সেন্টারের বক্তব্য, 'সপ্তাহে দু'বার প্লাজমা দানেও শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে না।'

মিনেসোটার রচেস্টারে মেয়ো ক্লিনিকের চিকিৎসক স্কট রাইটের কথায়, 'কোভিড থেকে সেরে ওঠার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্লাজমা সংগ্রহ করতে হয়।' সুস্থ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কেউ প্লাজমা দিলে কয়েক মাসের মধ্যে ফের তা করার সুযোগ পেতে পারেন কোনও ব্যক্তি।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল