অ্যাপশহর

Cholesterol: কোলেস্টেরল রোগীদের কোন কোন খাবার বিষের সমান? উত্তরে বিশিষ্ট চিকিৎসক

Cholesterol: কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন বেড়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে Stroke, Heart Attack-এর আশঙ্কা বাড়ে। এক্ষেত্রে LDL রাখতে হবে ১০০-এর নীচে। এই অবস্থায় খাওয়া যাবে না ফাস্টফুড, রেড মিট, চিপস ইত্যাদি খাদ্য।

Authored byসায়ন নস্কর | EiSamay.Com 26 May 2022, 4:48 pm
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন খুব বেড়েছে। অনেক মানুষ এই রোগে প্রায়ই আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই প্রতিটি মানুষকে এই রোগটি নিয়ে অবশ্যই হয়ে যেতে হবে সতর্ক। তবে এরপরও মানুষের মনে এই নিয়ে বেশি সতর্কতা দেখা যায় না। এরফলেই সমস্যা বাড়ে।
EiSamay.Com cholesterol patient should not eat these things to avoid heart attack stroke know from doctor rudrajit pal
Cholesterol: কোলেস্টেরল রোগীদের কোন কোন খাবার বিষের সমান? উত্তরে বিশিষ্ট চিকিৎসক


এই প্রসঙ্গে কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, কোলেস্টেরলের (Cholesterol) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন বেড়েছে। প্রায়ই এই রোগী দেখি। তবে এখানে প্রথমেই বলে রাখি যে কোলেস্টেরল কিন্তু শরীরের কাজেও লাগে। এমনকী কোষের মেমব্রেন তৈরি করতে কোলেস্টেরলের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিটি মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের উপস্থিতিতে থাকতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে কোলেস্টেরল শরীরে থাকার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল ১০০-এর বেশি থাকলেই সমস্যা রয়েছে ধরে নিতে হবে।

ডা: পাল আরও বলেন, কোলেস্টেরল বেশি থাকলে রক্তনালীর ভিতরে গিয়ে জমে। তখনই মূল সমস্যা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে রক্তনালীর ভিতরে জমলে ঠিকমতো রক্ত চলাচল হয় না। এই কারণেই আসল শরীর খারাপ হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack), স্ট্রোক (Stroke) সহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

কোলেস্টেরল বাড়ার নেপথ্যে খাবারের ভূমিকা রয়েছে অনেকটাই। এক্ষেত্রে এই খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (High Cholesterol Food)-

​ফাস্ট ফুড

কোলেস্টেরলের রোগীকে বাইরের ফাস্ট ফুড (Fast Food) অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। আসলে এই ধরনের ফাস্ট ফুডে ভালো পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা সমস্যা তৈরি করে থাকে। এছাড়া ফাস্ট ফুডে আরও কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে যা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলার নিদান দিলেন ডা: পাল।

​ঘি, মাখন, নারকেল তেল

আমাদের দেশে ঘি ও মাখনের ব্যবহার অনেকটাই বেশি। এক্ষেত্রে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার হয় এই উপকরণ। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ঘি, মাখন কিন্তু কোলেস্টেরল (High Cholesterol) বাড়াতে পারে। তাই এই খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আর দক্ষিণ ভারতের অনেক রান্নায় ব্যবহার হয় নারকেল তেল। এই তেলও কিন্তু ভীষণই ক্ষতিকর।

​রেড মিট

পাঠার মাংস বা খাসির মাংস খেতে প্রায় সকলেই ভালোবাসেন। তবে বিশ্বাস করুন, এই খাবার খেলে কিন্তু শরীরের ১২টা বাজাই স্বাভাবিক। কারণ এই রেড মিটে (Red Meat) চর্বির পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। তাই রেড মিট খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। বরং এর বদলে চিকেন খেতে পারেন।

​বড় মাছ

ডা: পাল জানান, এমনিতে মাছের তেল খাওয়া ভালো। তবে সেই মাছ (Fish) বড় হয়ে গেলেই সমস্যা দেখা দেয়। তখন বড় মাছে অনেকটা পরিমাণে ফ্যাট দেখা যায়। আর এই ফ্যাট শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এক্ষেত্রে বড় মাছের ফ্যাট কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এই অবস্থায় ২ থেকে ৩ কিলোর বেশি ওজনের রুই, কাতলা একেবারে নয়।

​প্যাকেটবন্দি খাবার

এখনকার দিনে প্যাকেটবন্দি খাবারের চল বড়েছে। এর মধ্যে পপকর্ন, চিপস ইত্যাদির কথা প্রথমেই আসবে। এবার এই খাবার রান্না করার সময় প্রচণ্ড তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়। এমনকী এইসব খাবারে অনেক ক্ষতিকর উপদান থাকে। তাই এই খাবারও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিলেন ডা: পাল।

এছাড়া কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে নিয়মিত ওষুধও খেতে হবে। এই ওষুধও অনেক উন্নত। এক্ষেত্রে ওষেদের দামও সাধ্যের কাছেই। তাই সমস্যা থাকলে ওষুধ এড়িয়ে যাবেন না। পাশাপাশি ব্যায়ামও করতে হবে। দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা দরকার। এক্ষেত্রে ভারী এক্সারসাইজ করতে হবে। তবেই ভালো থাকা হবে সম্ভব।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
সায়ন নস্কর
"সায়ন নস্কর ৬ বছর কাজ করছেন মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রিতে। পাঠকের মনোগ্রাহী প্রতিবেদন তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পেশ করেন। সায়ন প্রিন্ট মিডিয়াতে নিজের কাজ শুরু করেন। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার বিষয়ে তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এই কয়েক বছরে তিনি মূলত হেলথ ও রিলেশনশিপ বিভাগে কাজ করেছেন। এই দুই বিভাগেই তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করেন। সায়ন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ ৬ বছর ধরে নিরন্তর কাজ করছেন। হেলথ ও ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন লেখেন। তিনি সহজ সরল ভাষায় বাস্তবসম্মত লেখনিতে বিশ্বাসী। তাঁর লেখা সহজেই বোধগম্য হয়। সম্পর্ক বা রিলেশনশিপ বিভাগে তিনি ১.৪ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময়কালেই তিনি এই বিভাগের প্রতিবেদন লেখনিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সম্পর্ক বিষয়ক নানা টিপস তাঁর কাছ থেকে পাঠকেরা পেয়ে থাকেন। কাজের বাইরেও সায়ন পড়তে ও লিখতে ভীষণই পছন্দ করেন। এমনকী আউটডোর গেমস খেলাতেও পারদর্শী তিনি। আর ফাঁকা সময়ে ফিল্ম দেখে সময় কাটান। বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণই তাঁর লেখনির মূল অস্ত্র। তাঁর লেখায় তথ্যের পাশাপাশি বিনোদনের ঝলকও দেখতে পাওয়া যায়। "... আরও পড়ুন

পরের খবর