Cardiac Symptoms During Exercise: জিমে এই লক্ষণ দেখলেই থামুন, নইলে রাজু শ্রীবাস্তবের মতো হৃদরোগের আশঙ্কা, জানালেন চিকিৎসক
Heart Attack While Exercising at Gym: জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা হয় Raju Srivastav-এর। তাঁর প্রাণ যায় Heart Attack-এ। এবার ব্যায়াম করার সময় কোন লক্ষণে হয়ে যাবেন সতর্ক, জানালেন চিকিৎসক।
জানা যাচ্ছে, জিম করার সময় রাজু শ্রীবাস্তবের বুকে খুব ব্যথা হয়। তখন তিনি করছিলেন ট্রেডমিল। তারপর তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির ৪৩ দিনের মাথায় তিনি প্রাণ হারান।
এবার সেলিব্রিটিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু মিছিলের পর সকলকেই সাবধান হতে হবে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমনকী বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক। তাই হার্টের রোগের লক্ষণ (Heart Attack Symptoms) জানতে হবে। এমনকী হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা যায় হাতেও।
বারবার কেন জিম বা ব্যায়াম করার সময় এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আসলে এটা নতুন কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ খুব বেশি এক্সারসাইজ করলে হতে পারে অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia)। তখন খুব বাড়ে বা কমে যায় হার্ট রেট। এর থেকেই সমস্যা হয়।
জিমে হার্ট অ্যাটাক এড়াতে চাইলে কী করবেন? (Heart Attack Prevention)
ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, জিম করতে গেলে সঠিক জায়গায় করতে হবে। এমনকী নিতে হবে সঠিক ট্রেনার ও চিকিৎসকের পরামর্শ। তবেই জিম করা উচিত, ট্রেডমিলে দৌড়ানো উচিত। কারণ আপনার শরীর এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা, তা আপনি বুঝতে পারবেন না। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
জিম করলে হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে কেন? (Exercise and Heart Attack)
ডা: রুদ্রজিৎ পাল, এটা একটা মস্ত সমস্যা। এক্ষেত্রে শরীর আপনার জিমের গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। সাধারণ হাঁটা, জগিং বা ফ্রি হ্যান্ডে এমন হয় না। বরং কিছু কঠিন ব্যায়ামে এই সমস্যা হচ্ছে। আসলে জিমে মানুষ কঠিন ব্যায়াম করে। ভারী ওজন তোলেন, ট্রেডমিল করেন। এতে সমস্যা তৈরি হয়ে যায় অনেকের। তবে জিম করা শরীরের জন্য ভালো।
জিমে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী কী? (Cardiac Symptoms During Exercise)
ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, এই কয়েকটি লক্ষণ জিমে হলেই একদম সরাসরি বসে পড়ুন-
- বুকে ব্যথা হলে। বিশেষত বুকে চাপ চাপ ব্যথা।
- শ্বাসকষ্ট শুরু হলে। মনে হবে যেন দম আটকে গিয়েছে।
- মাথা ঘুরছে।
- চোখে অন্ধকার দেখছেন।
কেন কম বয়সেই বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক? (Heart Attack In Early Age)
এটা একটা বড় বিষয়। মানুষ এখন ফ্যাট জাতীয় খাবার খান। এছাড়া মাথায় রাখতে হবে যে ওজন অনেকের বেশি। পাশাপাশি মদ্যপান, ধূমপানও কিন্তু হার্টের ১২টা বাজাচ্ছে বলে জানালেন ডা: রুদ্রজিৎ পাল। এগুলি কমতে পারলেই হার্টের রোগের আশঙ্কা কমবে।
কী ভাবে সুস্থ থাকবেন হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে? (Precaution)
ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, এখানে মাথায় রাখতে হবে যে ডায়েট ঠিকমতো রাখা দরকার। এছাড়া জিম (Gym) করতে হবে ভালো জায়গায়। এমনকী মাঝেমাঝেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা দরকার। বিশেষত বয়স বাড়লে আপনাকে বছরে একবার ইকো (ECO) বা ইসিজি (ECG) করতেই হবে। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের অকাল মৃত্যুর কারণ Heart Attack! কোন লক্ষণে হবেন সচেতন? জানুন চিকিৎকের থেকে
আরও পড়ুন: আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার ভুল নয়! ইমিউনিটি বাড়ায়, হার্ট ভালো রাখে...