অ্যাপশহর

Eating Papaya On Empty Stomach: খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়া কি আদৌ উচিত? বিজ্ঞান কী বলছে জেনে নিন

সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে একটি হল পেঁপে। পুষ্টিগুণের কারণেই সবাই এই ফলটি পছন্দ করেন। তবে এর উত্‍সেচক যাতে সঠিকভাবে কাজ করে, তা সুনিশ্চিত করতেই মূলত খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিকেলের পর কিন্তু পেঁপে খাবেন না।

Produced byশ্রাবণী অধিকারী | EiSamay.Com 28 Mar 2023, 12:20 pm
প্রায় সারা বছরই বাজারে পাকা-পেঁপে পাওয়া যায়। তবে আজ থেকে কিছু বছর আগেও পেঁপের কদর তেমন একটা ছিল না। অনাদরে পড়ে থাকত। কিন্তু এখন এমন অবস্থা যে পেঁপের দাম আকাশছোঁওয়া। তাই চাইলেও অনেক সময় কিনে ওঠা হয় না।
EiSamay.Com can we eat papaya on an empty stomach
Eating Papaya On Empty Stomach: খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়া কি আদৌ উচিত? বিজ্ঞান কী বলছে জেনে নিন


চিকিৎসক হোক কী পুষ্টিবিদ, সকলেই রোজের খাদ্যতালিকায় পাকা পেঁপে রাখার পরামর্শ দেন। কারণ প্রতিদিন একবাটি পাকা পেঁপে দিয়ে দিন শুরু করলে নানা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন A,C, K। আর রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও প্রোটিন। ফাইবারের সন্ধানও পাওয়া যায় পেঁপেতে। তাই তো নিয়মিত এই ফল খেলে হজমের সমস্যা কমে। এমনকী যাঁদের প্রতিদিন পেট পরিষ্কার হয় না, তাঁরাও পেঁপে খেতে পারেন। এই ফলের গুণে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা কমে। তাই তো প্রতিদিন পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্‍সকরা।

​হার্টকে ভালো রাখে​

নিয়মিত পেঁপে খেলে হার্টের সমস্যার আশঙ্কা কমে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞরা বলেন পেঁপের মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, ই রয়েছে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। যাদের ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে তারাও প্রতিদিন একবাটি পাকা পেঁপে খেতে পারেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

​হজম ক্ষমতা বাড়ায়

বিশেষজ্ঞরা বলেন, খিদে বাড়ানোর পাশাপাশি পেট পরিষ্কার করে পেঁপে। সেই সঙ্গে গ্যাস অম্বলের সমস্যা কমায় এই ফল। এমনকী যাদের অর্শ্ব রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রেও খুব ভালো কাজ করে পেঁপে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিনও বেরিয়ে যায়। তাই শরীর সুস্থ থাকে।

চোখ ভালো রাখে​

আজকাল খুব কম বয়স থেকেই শিশুরা চশমা ব্যবহার করছে। অল্প বয়সেই ক্ষীণ দৃষ্টির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে প্রতিদিন পাকা পেঁপে খেলে চোখের সমস্যা থেকে অনেকটাই রাহাই পাওয়া যায়। আসলে পেঁপের মধ্যে যে ভিটামিন থাকে তা চোখের জন্য উপকারী।

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়

পেঁপেতে কোনও ক্যালোরি নেই। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা উপকার পাবেন যদি প্রতিদিন একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই অন্যান্য রোগের আশঙ্কাও কমে যায়।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমে

পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রসঙ্গত, ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়

চুলের জন্যও পেঁপে খুব উপকারী। যে কারণে পেঁপে মেশানো শ্যাম্পুর প্রচলন বেশি। টক দইয়ের সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে চুলে মাখলে গোড়া শক্ত হয়। চুলের শাইনিং ভাব বজায় থাকে। প্রসঙ্গত, মাথায় উঁকুনের সমস্যা হলেও পেঁপে ভালো কাজ করে।

রূপচর্চায় কাজে আসে

পেঁপের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তো প্রতিদিন মুখে পেঁপে লাগালে ত্বকের লাবণ্য বজায় থাকে। এছাড়াও পাকা পেঁপে, মধু, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের অন্দরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের দাগ, ছোপ দূর হয়। ব্রণর সমস্যাও দূরে থাকে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রাবণী অধিকারী
"শ্রাবণী অধিকারী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় একজন সাব এডিটর হিসাবে। শ্রাবণীর ব্যতিক্রমী লেখা এবং সম্পাদনা নৈপুণ্যতার প্রকাশ পায়। সংবাদ এবং লাইফস্টাইল-সহ বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। সহজ ও মনোগ্রাহী শব্দের ব্যবহারে শ্রাবণীর লেখা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যে কোনও বিষয়কে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাঁর লেখা বহুমুখী যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। লেখার মাধ্যমে কী ভাবে পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় তা তাঁর লেখনীতে প্রকাশ পায়। শ্রাবণী গত ৩ বছর ধরে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনার লাইফস্টাইল বিভাগ পরিচালনা করে আসছেন। এই বিভাগে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ পাওয়া যায়। এই সংস্থার লাইফস্টাইল বিভাগটিতে পাঠকদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক এবং চিত্তাকর্ষক লেখনী দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। লেখার প্রতি তাঁর আবেগ প্রতিটি নিবন্ধেই স্পষ্ট, যা প্রকাশনার জন্য অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে।"... আরও পড়ুন

পরের খবর