অ্যাপশহর

Ayurveda Tips: গরমে ক্লান্তি চেপে বসেছে? এই আয়ুর্বেদ 'রুট ওয়াটার' পান করেই হয়ে উঠুন চনমনে...

Ayurveda: গরমে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কেউ সরবত, কেউ নরম পানীয়ের আশ্য় নেন। তবে এ সবই চিনি ও রং মেশানো থাকে যা উপকারের বদলে অপকারই বেশি হয়। গরমে খুসের মূল থেকে তৈরি পানীয় শরীরে শীতলতা এনে দেয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেখা রাধামণিতাঁর ইনস্টাগ্রামে এক জাদুকরী মূলের উপকারিতা শেয়ার করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিকড়গুলি খুব সুগন্ধি এবং শীতল।

EiSamay.Com | 8 Apr 2022, 8:26 am
EiSamay.Com beat the summer heat with khus roots
Ayurveda Tips: গরমে ক্লান্তি চেপে বসেছে? এই আয়ুর্বেদ 'রুট ওয়াটার' পান করেই হয়ে উঠুন চনমনে...
চৈত্রর প্রখর দাবদাহে গলা শুকিয়ে কাঠ। একটু কাজ করলেই ঘেমে-নেয়ে একসা! গরম পড়তেই না পড়তেই এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন ছোট থেকে বড় সকলেই। গরমে বড় সমস্যা কিন্তু ডিহাইড্রেশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে দু থেকে চার লিটার জল খাওয়া উচিত। কারণ গরমকালে শরীরকে হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। তবে জল ছাড়াও এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলি খেলে শরীরে জলের ঘাটতি মেটায়, Ayurveda বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেখা রাধামণি গ্রীষ্মে হাইড্রেটেড থাকতে সমাধান বলেছেন। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি শিকড়ের ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন যা জলের সঙ্গে মেশানো হলে তা কেবল শরীর শীতল করে না, হজমশক্তিও উন্নত করে।

এই মূলের নাম 'ভেটিভার' বা 'খুস'। হিন্দিতে যা খসখস, বাংলায় খুস। ভিডিওয়োতে ভেটিভার সম্পর্কে জানিয়েছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ। এটি এমন একটি হাইড্রেটিং (Summer Remedy) পানীয়, যা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পাশাপাশি শীতল। এছাড়া গরমে তৈরি পানীয় পান করার উপকারিতাও জানিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'গরমে স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে সবচেয়ে ভালো উপায় হল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। যেহেতু ভেটিভারের শিকড় খুব ঘন এবং ঠান্ডা, তাই গরমের দিনে এটি পান করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরে জলের অভাব হয় না।

খুস কী?

ঘাসের নাম ভেটিভার। এর সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘ পরিচয়। হিন্দিতে যা খসখস, বাংলায় খুস, তা-ই হল ভেটিভার। ছেলেবেলায় সরকারি দফতরগুলিতে গরমের তাপ কমাতে লাগানো হত এই ঘাসের পরদা। এর মধ্যে জল ছিটিয়ে দিলে অদ্ভুত সুগন্ধ ছ়ড়িয়ে পড়ত। এর থেকে সুগন্ধী তেলও তৈরি হয়। এর থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ, নানা হস্তশিল্পও তৈরি হয়। এই সবুজ সংমিশ্রণটি খস শিকড় ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়, যা দেখতে সবুজ সরবতের মতো। আপনি চাইলে বাজার থেকেও কিনে নিতে পারেন। তবে বাজারের এই সহজলভ্য পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং রং থাকে। আপনি চাইলে বড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন।

​কেন এই জল পান করবেন?

ডাঃ রাধামণির মতে, ভেটিভার শিকড় শীতল হওয়া ছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে, জ্বর, তৃষ্ণা কমাতে এবং জ্বালাপোড়া করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি রক্ত পরিশোধকও করে। এছাড়া এটি প্রস্রাব ধরে রাখতেও সহায়ক।


আরও পড়ুন: World Health Day: জীবনের অর্ধেক বসন্ত পেরিয়ে এসেছেন? মহিলাদের কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, জানুন...

জেনে নিন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

View this post on Instagram A post shared by Dr. Rekha Radhamony, Ayurveda (@doctorrekha)

​খুসের উপকারিতা

  • গরমে ঘামের গন্ধ হয় না। সামগ্রিকভাবে, খুসের শিকড় দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
  • গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘামের কারণে যদি আপনার শরীরে দুর্গন্ধ হয়, তাহলে এর শিকড়ে দিয়ে তৈরি জল ফুটিয়ে স্নানের জলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
  • এই গাছের মূল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস, তাই এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
  • আয়ুর্বেদ মতে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • এর মূলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের যেকোনো ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
  • PCOD এর মতো হরমোনজনিত রোগের জন্য এটি একটি ভালো চিকিৎসা।
  • এই মূল ইউটিআই এবং জ্বর দূর করতেও সহায়ক।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুসের মূলকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
  • ভেটিভার অন্যান্য খনিজ যেমন আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন B6 সমৃদ্ধ। এই সমস্ত খনিজ পদার্থ শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন: Morning Drink: চা-কফি নয়, সকালে খালি পেটে এই পানীয়গুলি পান করেন বলিউডের অভিনেত্রীরা!

কেমন করে তৈরি করবেন এই পানীয়?

  • খুসের শিকড় ভালো করে পরিষ্কার করুন।
  • এটি তিন দিন পানীয় জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপর এই জলটি ফিল্টার করে পান করুন।
  • আপনার গ্রীষ্মের শীতল পানীয় প্রস্তুত।
  • খুসের শিকড় একটি পানীয় তৈরি করতে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বোতল থেকে বের করে কিছুক্ষণ রোদে রেখে আবার ব্যবহার করুন।
  • ডক্টর রাধামণির মতে, এটি অন্যভাবেও তৈরি করা যেতে পারে। এর জন্য এক লিটার ফুটন্ত জলে খুস দানা দিন।
  • জল ছেঁকে পান করুন, অনেক স্বস্তি পাবেন।
  • আপনিও যদি গরমে নিজেকে হাইড্রেটেড এবং সুস্থ রাখতে চান, তাহলে খস পানীয় খাওয়া শুরু করুন।
  • যেহেতু এটি একটি আয়ুর্বেদিক পানীয়, তাই এটি খাওয়ার আগে সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: Diabetes Diet: পাকা লাল তরমুজে ভরা বাজার, রোজ খেলে সুগার বেড়ে যাবে না তো?

পরের খবর