এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) তাণ্ডবে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে Covid-19 মোকাবিলায় নতুন ওষুধের খোঁজ দিলেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী। তবে একটি নয়, দু'দুটি। গবেষকদের দাবি এই দুই ওষুধ একদিকে রোগীকে Covid-19-এ আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচাবে, তেমনই অন্যদিকে রোগীর শরীরে এই রোগের মারণ আকার ধারণ করার থেকেও প্রতিহত করবে। QIMR Berghofer Medical Research Institute-এর গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই দুটি ওষুধ মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পর করোনাভাইরাসের (Coronavirus) বদলে সেই ভাইরাসের মানুষের দেহের কোষে এই ভাইরাস প্রবেশের ফলে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তাকে লক্ষ্য করে। তাঁদের গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এই ভাইরাসের মানুষের শরীরের কোষে প্রবেশের একটি অজানা পদ্ধতি সম্বন্ধে জানতে পেরে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে।
এই ওষুধ তৈরি করার জন্য গবেষকরা দুই ধরণের পেপটাইড তৈরি করেন যা এই ভাইরাসের মানুষের শরীরে প্রবেশের পথ প্রতিহত করবে।এখনও পর্যন্ত Covid-19 আক্রান্ত রোগীর রক্তকোষ ও মানবিক কোষের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে। ফ্রান্সে অবস্থিত Infectious Disease Models and Innovative Therapies (IDMIT)-তে এই মুহূর্তে বেশ কিছু ইঁদুরের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই পরীক্ষার খুবই আশাপ্রদ ফলাফল পেয়েছেন তাঁরা। তাঁরা এও জানিয়েছেন যে এই ওষুধটি বিষাক্ত নয় এবং এর খুবই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
এছাড়াও গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই ওষুধগুলি সাধারণ ঘরোয়া তাপমাত্রায় ভাল থাকে। এর ফলে এই ওষুধ বণ্টনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রথম ওষুধটি মানব কোষের ACE2 রিসেপ্টর আটকে দিয়ে এই রোগের ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। ফলে ভাইরাস এই আটকে দেওয়া পেপটাইডগুলিকে মানুষের কোষ ভেবে ভুল করে সেখানেই আটকে যায়। যার ফলে সংক্রমণ ছড়ানো অনায়াসেই রোধ করা যায়। কিন্তু তারপরও যদি এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ওষুধটি ভাইরাসের আক্রমণের করার পদ্ধতি ও মানুষের শরীরে তার সংখ্যা বৃদ্ধির উপর আঘাত আনতে সক্ষম। এছাড়াও মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এই ভাইরাসকে চিনতে পারার ক্ষমতাও বাড়ায় এই ওষুধ।
QIMR Berghofer’s Gene Regulation and Translational Medicine Group-এর প্রধান ও এই গবেষণার অন্যতম সদস্য সুধা রাও জানিয়েছেন যে ক্লিনিকাল ট্রায়াল যদি সফল হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম ওষুধটি ভ্যাকসিনের সঙ্গেই মানুষকে দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে ভাইরাস মানব দেহের কোষে জাঁকিয়ে বসতে পারবে না। আর অন্যদিকে দ্বিতীয় ওষুধটি আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়া প্রতিহত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
IDMIT-য়ের অন্য আরেক বিজ্ঞানী নাবিলা সিদ্দিকি জানিয়েছেন যে Covid-19 যে নতুন স্ট্রেনগুলি আসছে, এই ওষুধগুলি সেইসব স্ট্রেনের উপরেও কার্যকারী হতে পারে। এছাড়া যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া একান্তই সম্ভব নয় তাঁদের ক্ষেত্রেও এই দুটি ওষুধ কার্যকারী হতে পারে বলে তার মত।
এই ওষুধ তৈরি করার জন্য গবেষকরা দুই ধরণের পেপটাইড তৈরি করেন যা এই ভাইরাসের মানুষের শরীরে প্রবেশের পথ প্রতিহত করবে।এখনও পর্যন্ত Covid-19 আক্রান্ত রোগীর রক্তকোষ ও মানবিক কোষের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে। ফ্রান্সে অবস্থিত Infectious Disease Models and Innovative Therapies (IDMIT)-তে এই মুহূর্তে বেশ কিছু ইঁদুরের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই পরীক্ষার খুবই আশাপ্রদ ফলাফল পেয়েছেন তাঁরা। তাঁরা এও জানিয়েছেন যে এই ওষুধটি বিষাক্ত নয় এবং এর খুবই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
এছাড়াও গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই ওষুধগুলি সাধারণ ঘরোয়া তাপমাত্রায় ভাল থাকে। এর ফলে এই ওষুধ বণ্টনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রথম ওষুধটি মানব কোষের ACE2 রিসেপ্টর আটকে দিয়ে এই রোগের ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। ফলে ভাইরাস এই আটকে দেওয়া পেপটাইডগুলিকে মানুষের কোষ ভেবে ভুল করে সেখানেই আটকে যায়। যার ফলে সংক্রমণ ছড়ানো অনায়াসেই রোধ করা যায়। কিন্তু তারপরও যদি এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ওষুধটি ভাইরাসের আক্রমণের করার পদ্ধতি ও মানুষের শরীরে তার সংখ্যা বৃদ্ধির উপর আঘাত আনতে সক্ষম। এছাড়াও মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এই ভাইরাসকে চিনতে পারার ক্ষমতাও বাড়ায় এই ওষুধ।
QIMR Berghofer’s Gene Regulation and Translational Medicine Group-এর প্রধান ও এই গবেষণার অন্যতম সদস্য সুধা রাও জানিয়েছেন যে ক্লিনিকাল ট্রায়াল যদি সফল হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম ওষুধটি ভ্যাকসিনের সঙ্গেই মানুষকে দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে ভাইরাস মানব দেহের কোষে জাঁকিয়ে বসতে পারবে না। আর অন্যদিকে দ্বিতীয় ওষুধটি আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়া প্রতিহত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
IDMIT-য়ের অন্য আরেক বিজ্ঞানী নাবিলা সিদ্দিকি জানিয়েছেন যে Covid-19 যে নতুন স্ট্রেনগুলি আসছে, এই ওষুধগুলি সেইসব স্ট্রেনের উপরেও কার্যকারী হতে পারে। এছাড়া যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া একান্তই সম্ভব নয় তাঁদের ক্ষেত্রেও এই দুটি ওষুধ কার্যকারী হতে পারে বলে তার মত।