এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: অ্যাসপিরিন (Aspirin) ওষুধটি বহু মানুষ প্রতিদিনই খান। এই জাতীয় ওষুধ রক্ত তরল করে। তবে বর্তমান এক গবেষণা দেখে চক্ষু চরকগাছে ওঠার মতো অবস্থা! এই গবেষণা অনুযায়ী, অ্যাসপিরিন খেলে নাকি হার্ট ফেলিয়রের ঝুঁকি (Heart Failure) ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এছাড়া অ্যাসপিরিন ছাড়াও ধূমপান (Smoking), হাই প্রেশার (High Blood Pressure), মোটা শরীর (Obesity), কোলেস্টেরল বেশি থাকা (High cholesterol), ডায়াবিটিস (Diabetes) ও অন্যান্য কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (Cardiovascular disease) থাকলেও হার্ট ফেলিয়রের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষকদের কথায়, হার্ট ফেলিয়রের সঙ্গে অ্যাসপিরিনের সম্পর্ক করা খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়। আমরা চেষ্টা করেছি, এই রোগটির সঙ্গে অ্যাসপিরিন ওষুধটির যোগ খুঁজে পাওয়ার। এই দিকটি মানুষের কাজে লাগবে। উন্নতি হবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের। এই গবেষণায় প্রায় ৩১ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। গবেষণায় তাঁরাই অংশগ্রহণ করেন যাঁদের হার্ট ফেলিয়রের ঝুঁকি ইতিমধ্যেই রয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকেরই বয়স ৪০ বছর বা তার বেশি। নাম নথিভুক্ত করার সময়ই দেখে নেওয়া হয়, তাঁরা অ্যাসপিরিন খান নাকি খান না। এরপর কয়েক বছর ধরে নজরদারি করে দেখা হয়, তাঁদের কি কোনও হার্ট ফেলিয়রের সমস্যা হয়েছে কি না। তারপরই ফলাফল মিলিয়ে দেখা হয়।
এক্ষেত্রে জানা যায়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৬৭ বছর। তাঁদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ছিলেন মহিলা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ অ্যাসপিরিন খাচ্ছিলেন। শেষে দেখা যায়, ৫.৩ বছরের মধ্যে ১৩৩০ জনের হার্ট ফেলিয়র হয়েছে।
এই গবেষক দল, হার্ট ফেলিয়র হওয়া মানুষগুলির লিঙ্গ, বয়স, বিএমআই, ধূমপান, মদ্যপান, কোলেস্টেরল, ক্রিয়েটিনিন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, কার্ডিওভাস্কুলার সহ অন্য রোগ ইত্যাদি নানান বিষয় মাথায় রাখেন। তারপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত আসেন।
তবে এই রিপোর্টকে এখনই মান্যতা দিতে নারাজ বহু বিশেষজ্ঞ। তাঁদের কথায়, এই ওষুধটি বারংবার নিজেকে প্রমাণ করেছে। তাই এই ওষুধটিকে দোষ দেওয়ার আগে আমাদের নিজেদের আবারও ভেবে দেখতে হবে। চাই আরও গবেষণা, বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট। তবেই কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে।